অ্যাপশহর

সাফাইকর্মীদের সংবর্ধনা দুর্গাপুরে

তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের ভিড় রুখতে ঘোষ মার্কেট থেকে সব্জি বাজার দেশবন্ধুনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ক্রেতাদের একাংশ এখনও ঘোষ মার্কেটে ভিড় করছেন। কিছুতেই তাঁদের সচেতন করা যাচ্ছে না।’

EiSamay.Com 12 Apr 2020, 9:48 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণের আতঙ্ক উপেক্ষা করে শহরকে জঞ্জালমুক্ত রাখতে কাজ করছেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৪০০ সাফাইকর্মীকে সংবর্ধনা দিল দুর্গাপুর পুরসভা ২ নম্বর বরো। শনিবার সকালে ওই সাফাইকর্মীদের হাতে ফুল, মিষ্টির প্যাকেট ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়। বেনাচিতি ঘোষ মার্কেটে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার, মেয়র পারিষদ (নিকাশি) প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারি। প্রভাত বলেন, ‘সাফাইকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিয়মিত ওয়ার্ডের আবর্জনা সাফাই করছেন। কোনও প্রশংসা তাঁদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাঁরা যদি নিয়মিত সাফাই না করতেন তাহলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হত। বিশেষ করে বাজারগুলিতে। তাই আমরা সাফাই কর্মীদের হাতে ফুল-মিষ্টি তুলে দিয়ে সম্মান জানিয়েছি।’ সাফাইকর্মীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি বেনাচিতি বাজারে আসা ক্রেতাদের সচেতন করতে রাস্তার উপর করোনার ছবি এঁকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করা হয়। তবে এত প্রচারের পরেও বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে জানান ২ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার। তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের ভিড় রুখতে ঘোষ মার্কেট থেকে সব্জি বাজার দেশবন্ধুনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ক্রেতাদের একাংশ এখনও ঘোষ মার্কেটে ভিড় করছেন। কিছুতেই তাঁদের সচেতন করা যাচ্ছে না।’ একই ভাবে চণ্ডীদাস বাজারে ট্র্যাফিক বিভাগের কর্মীরা রাস্তার উপর সচেতনতামূলক বার্তা লিখে মানুষকে ঘরে থাকার আবেদন করেছেন। সেখানেও অবশ্য প্রতিদিন ভিড় দেখা যাচ্ছে।
EiSamay.Com sweeper falisitation at durgapur in lockdown
সাফাইকর্মীদের সংবর্ধনা দুর্গাপুরে


কাঁকসায় ক্যানালপাড়ে ব্যারিকেড: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কাঁকসা থানার অধীন ক্যানালপাড় বস্তির প্রবেশপথে ব্যারিকেড করে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানকার বাসিন্দারা পাড়ার প্রবেশপথে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। যাতে কোনও বহিরাগত পাড়ায় ঢুকতে না পারেন। একই সঙ্গে চলছে নজরদারিও। পাড়ার বাসিন্দারা সবসময় ওই পথে নজর রাখছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘ক্যানালপাড় খুবই ঘিঞ্জি এলাকা। সার দিয়ে সব বস্তি। এখানে কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে। বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে রাস্তার ওপর বেড়া দেওয়া হয়েছে।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল