অ্যাপশহর

রেশনের সামগ্রী পাচার নিয়ে অভিযোগ খারিজ

সাধারণ মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া রেশনের চাল ও গম পাচার করার অভিযোগ ওঠে ডিএসপি এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে। ২ এপ্রিল পুরসভার মেয়র পারিষদ (রেশন ও সড়ক) অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিকা পাঁচ মাথা মোড়ে সমবায় সংস্থার গুদামে অভিযান চালান।

EiSamay.Com 11 Apr 2020, 10:32 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রেশনের চাল-গম পাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সমবায় সংস্থা ও দুর্গাপুর পুরসভার মধ্যে টানাপোড়েন চলছেই। সংস্থার বক্তব্য, লকডাউন চলায় কর্মীরা ঠিক সময়ে কাজে যোগ দিতে পারেননি। সে কারণেই সংস্থার গুদামে মজুত চাল-গমের হিসেবে গরমিল ছিল। পরে সঠিক হিসেব দেওয়া হয়েছে খাদ্য দপ্তরকে। যদিও সংস্থার গুদামে অভিযান চালানো মেয়র পারিষদ এই যুক্তি মানতে রাজি নন।
EiSamay.Com 33
.


সাধারণ মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া রেশনের চাল ও গম পাচার করার অভিযোগ ওঠে ডিএসপি এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে। ২ এপ্রিল পুরসভার মেয়র পারিষদ (রেশন ও সড়ক) অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিকা পাঁচ মাথা মোড়ে সমবায় সংস্থার গুদামে অভিযান চালান। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিম বিভাগের রেশন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁরা সংস্থার রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করেন। অভিযোগ, রেজিস্টারে যে পরিমাণ চাল ও গম মজুতের উল্লেখ ছিল, সেই পরিমাণ সামগ্রী গুদামে ছিল না। সেই অভিযোগ জানানো হয় মহকুমাশাসকের কাছে। বৃহস্পতিবার সমবায় সংস্থার পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সমবায়ের বক্তব্য, কর্মীর সমস্যা থাকায় মজুত চাল-গমের হিসেব সঠিক সময় করা হয়নি। পরবর্তী সময় হিসেব করা হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা সেই হিসেব দেখে সমবায় সংস্থাকে ক্লিনচিট দিয়ে গিয়েছেন।

যদিও এই যুক্তি মানতে চাননি মেয়র পারিষদ। অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দুর্গাপুর পশ্চিম বিভাগের রেশন দপ্তরের ইনস্পেক্টর স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্টে গরমিলের উল্লেখ রয়েছে। মেয়র পারিষদ বলেন, ‘প্রায় ৮০২৭ বস্তা গম ও ৪ হাজার বস্তা চাল কম ছিল। রেশন দপ্তরের ইনস্পেক্টরের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে সমবায় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। সংস্থার রেজিস্টার মহকুমাশাসকের হাতে তুলে দিয়েছি। আমরা যদি ভুল অভিযোগ করে থাকি তাহলে সমবায় সংস্থা আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ–প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করছে না কেন?’ সমবায়কে ক্লিনচিট দেওয়ার বিষয়টিও জানেন না তিনি। এর জবাবে সমবায় সংস্থার সম্পাদক সুজয় নাথ বলেন, ‘এই সমবায়ের বোর্ড তৃণমূল পরিচালিত। আমরা দলকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের ক্লিনচিট দিয়েছে রাজ্য সরকারের দপ্তর। মেয়র পারিষদ কেন গুদামে হানা দিয়েছিলেন বলতে পারব না।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল