অ্যাপশহর

গভীর জঙ্গলে গাছের কোটরে সকালবেলা পুজো পান কাঁকসা বনকালী

গাছের কোটরে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা হয় দেবী কালিকার... মানুষের বিশ্বাসে বনকালী অতি জাগ্রত দেবী। পাঁচটা পুজোর থেকে একেবারে আলাদা এই পুজো তাই বিশ্বাসে ভর করে জমা হন বহু মানুষ।

Lipi 5 Nov 2021, 10:37 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজোর রাত ভোর হল জঙ্গলের ভিতর বেজে ওঠে ঢাক। ভিড় জমতে শুরু করে। হাঁড়িকাঠে নতুন করে মাটি পড়ে। গাছের কোটরে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা হয় দেবী কালিকার। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার অন্তর্গত রাজকুসুম গ্রামের এই পুজো বনকালী পুজো নামেই পরিচিত। আর পাঁচটা পুজোর থেকে একেবারে আলাদা এই পুজো দেখতে তাই আশপাশের এলাকার মানুষ ভিড় জমান জঙ্গলে। মানুষের বিশ্বাসে বনকালী অতি জাগ্রত দেবী। তাঁর আশীর্বাদে মনস্কামনা পূরণ হয় সকলের।
EiSamay.Com kaksa ma kali



এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। তবে শুধু কাঁকসা গোপালপুরের ভট্টাচার্য পরিবার এবং রাজকুসুম গ্রামের রায় পরিবারের যৌথ পুজো এটি। পুজো ঘিরে রয়েছে অনেক জনশ্রুতি। রায় পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য বলেন, আগে এই গ্রাম ছিল খুবই প্রত্যন্ত। জঙ্গল ছিল আরও গভীর, নানা শ্বাপদে পরিপূর্ণ। সে সব উপেক্ষা করেই গোপালপুরের ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্য ও তাঁদের পুরোহিত আসতেন জঙ্গলের ভিতরে গভীর রাতে বন কালীর পুজো করতে। মূর্তি স্থাপন করে পুজো হত। সঙ্গে আসত লেঠেল বাহিনী। লেঠেলদের পাহারা না বসিয়ে এই জঙ্গলে প্রবেশ করা সম্ভব ছিল না।

নিত্যযাত্রীদের চা চাখিয়ে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করছেন এমএ পাশ 'চা-ওয়ালি'


জনশ্রুতি বলে, এক বার কালীপুজোর রাতে ঝড়-বৃষ্টিতে খুব ভোগান্তিতে পড়লেন ভট্টাচার্য পুরোহিত। অভিমান করে তিনি মা কালীকে বলে বসলে, আমি আর এ ভাবে পুজো করতে আসতে পারব না। অন্য কোনও ব্যবস্থা কর তুমি। সে রাতে দেবী স্বপ্নাদেশ দিলেন ভট্টাচার্য পরিবারের কোনও সদস্যকে। গোপালপুরে প্রতিষ্ঠিত হল বড় কালীর মন্দির। ভট্টাচার্যদের পারিবারিক মন্দির। তারপর থেকে তাঁরা কার্তিকী অমাবস্যার রাতে সেখানেই পুজো করেন।

দৈনিক সংক্রমণে স্বস্তি মিললেও এখনও চিন্তার কাঁটা কলকাতা

রাজকুসুম গ্রামের জঙ্গলে পুজো করতে শুরু করেন রায় পরিবারের সদস্যরা। তবে রাতে নয়। কালীপুজোর পরের দিন সকালে পুজো হয় এখানে। দেওয়া হয় ছাগ বলি। দুই পরিবারের নামে দু’টি। আরও অনেকে ছাগল মানত করেন। তাঁদের নামেও বলি উৎসর্গ করা হয় দেবীকে।
গভীর জঙ্গলের ভিতরেই ফুল মালা দিয়ে সাজান হয় তোরণ। ভোর থেকেই ভক্ত সমাগম হয়। স্থানীয় মানুষ তো বটেই বাইরে থেকেও বহু মানুষ পুজো দেখতে আসেন ।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল