তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি কর্মিসভা করেন তিনি। এদিকে তাঁর এই সভায় ডাক পেলেন না রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী (Paresh Chandra Adhikary)। এই সভায় পরেশ হাজির থাকেন কিনা সেই দিকেই নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশের। যদিও সেই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বরং সকাল থেকেই মেখলিগঞ্জের (Mekliganj) বাড়িতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে দলনেত্রীর সভায় পরেশ অনুপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে বক্তব্যও রাখতে দেখা দিয়েছিল তাঁকে। এই সভায় যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন, "সভায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। আয়োজকদের তরফে ডাক পেয়েছি তাই গিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী ভালো করে কাজ করার কথা বলেছেন।"
SSC দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে পড়ে পরেশের। এই মামলায় CBI-এর দফতরে তিনবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এরপরও তাঁকে তলব করা হতে পারে বলে CBI-এর তরফে বলা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে তলব করা হয়নি। এই মুহূর্তে মেখলিগঞ্জেই রয়েছেন। কয়েকদিন আগে কলকাতা থেকে মেখলিগঞ্জে তিনি পৌঁছনোর পরই তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, "কলকাতায় আর যেতে হবে না। দল পাশে রয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। দলের কাজ শুরু করছি। আমি আবার আগের মতো সব জায়গায় যাব।"
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের। নাম জড়িয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অঙ্কিতা অধিকারীকে স্কুলের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অবশ্য দলীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খোলেনি তৃণমূল। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে পরেশের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় পরেশের দেখা মেলেনি। পাশাপাশি দলের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কেউ দোষ করলে তাকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। যদিও এই কথা মানতে নারাজ মন্ত্রী। তাঁর দাবি, "আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল নেতৃত্বদের নিয়ে কর্মীসভা। তাই কোচবিহারের কাউকে ডাকা হয়নি।"
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের। নাম জড়িয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অঙ্কিতা অধিকারীকে স্কুলের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অবশ্য দলীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খোলেনি তৃণমূল। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে পরেশের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় পরেশের দেখা মেলেনি। পাশাপাশি দলের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কেউ দোষ করলে তাকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। যদিও এই কথা মানতে নারাজ মন্ত্রী। তাঁর দাবি, "আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল নেতৃত্বদের নিয়ে কর্মীসভা। তাই কোচবিহারের কাউকে ডাকা হয়নি।"