Paresh Adhikari: ''ছোট ঘটনা...'', পরেশ অধিকারীকে CBI জেরা নিয়ে মন্তব্য কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতির
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) ইস্যুতে কোচবিহার জেলায় অনেকটাই কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় (Partha Pratim Roy)। তিনি গোটা ঘটনাটিকে 'ছোট-খাটো ঘটনা' তকমা দিয়ে বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। এসব ছোট-খাটো কোনও ঘটনা জেলায় দলের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।"
হাইলাইটস
- পরেশ অধিকারী ইস্যুতে কোচবিহার জেলায় অনেকটাই কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস।
- গোটা ঘটনাটিকে 'ছোট-খাটো ঘটনা' তকমা দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।
- অঙ্কিতার চাকরি যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ পার্থপ্রতিম।
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) ইস্যুতে কোচবিহার জেলায় অনেকটাই কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় (Partha Pratim Roy)। পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি নিয়ে দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হলেও সম্পূর্ণ দায় পরোক্ষে এককভাবে মন্ত্রীর উপরই চাপাচ্ছেন জেলা সভাপতি। বিষয়টিকে ছোট-খাটো ঘটনা তকমা দিয়ে তিনি (Partha Pratim Roy) বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। গোটা রাজ্যের দল চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখের দিকে তাকিয়ে। কাজেই ছোট-খাটো কোনও ঘটনা জেলায় দলের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।" যদিও মন্ত্রীর কীর্তিতে যে দলের অনেক নেতা-ই অস্বস্তিতে পড়েছেন, তা তাঁদের আচরণেই স্পষ্ট। বলা যায়, একেবারেই সাংবাদিকদের সামনে আসতে নারাজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তবে মন্ত্রিকন্যা অঙ্কিতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার একটা বড় অংশের বাসিন্দারা। যদিও পরেশ অধিকারীর সবিআই তলবের পর বিষয়টিকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলে দাবি জানিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় (Partha Pratim Roy)। কিন্তু SSC চাকরি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, সিবিআই তলব যে একেবারে মিথ্যা ছিল না, তা মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikari) চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘটনাতেই স্পষ্ট। তাই এবার পরোক্ষে গোটা ঘটনাটির দায় জেলা তৃণমূল সভাপতি (Partha Pratim Roy) যে পরেশ অধিকারীর উপরই চাপিয়ে দিলেন তা তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। যদিও অঙ্কিতার চাকরি পাওয়া বা তাঁকে বরখাস্ত করা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পার্থপ্রতিম রায়।
অঙ্কিতা ইস্যু জেলার বেকার যুবকদের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না? প্রশ্নের জবাবে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের (Partha Pratim Roy) সতর্ক মন্তব্য, "যেহেতু এটা বিচার বিভাগীয় ব্যাপার, সেজন্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।" তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি গোটা বিষয়টি নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব পোষণ করলেও জেলার তৃণমূল নেতারা যে বেশ অস্বস্তিতে, তা তাঁদের আচরণেই স্পষ্ট। শীর্ষ নেতৃত্বদের কেউই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে নারাজ। বলা যায়, পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) ইস্যুতে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, CBI আধিকারিকরা যেভাবে দফায়-দফায় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari) জেরা করছেন,তাতে জেলার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা অস্বস্তিতে পড়েছেন। বিশেষত, পরেশ অধিকারীর তৃণমূলে যোগদান দেওয়ার পিছনে জেলা তৃণমূলের দুই নেতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে ঠিক কী শর্তে পরেশ অধিকারীকে তৃণমূলে নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরেশের পর এবার CBI-এর হাত সেই নেতাদের ঘাড়ে এসে পড়বে না তো, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা তৃণমূলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। আর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) নাম SSC-র মেধাতালিকা ওয়েটিং লিস্টে না থাকা সত্ত্বেও সেই নাম তালিকায় চলে আসে। পরবর্তীতে তাঁর চাকরি হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ওয়েটিং লিস্টের প্রথম সারিতে থাকা ববিতা সরকার (Babita Sarkar)।
তবে মন্ত্রিকন্যা অঙ্কিতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার একটা বড় অংশের বাসিন্দারা। যদিও পরেশ অধিকারীর সবিআই তলবের পর বিষয়টিকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলে দাবি জানিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় (Partha Pratim Roy)। কিন্তু SSC চাকরি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, সিবিআই তলব যে একেবারে মিথ্যা ছিল না, তা মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikari) চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘটনাতেই স্পষ্ট। তাই এবার পরোক্ষে গোটা ঘটনাটির দায় জেলা তৃণমূল সভাপতি (Partha Pratim Roy) যে পরেশ অধিকারীর উপরই চাপিয়ে দিলেন তা তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। যদিও অঙ্কিতার চাকরি পাওয়া বা তাঁকে বরখাস্ত করা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পার্থপ্রতিম রায়।
অঙ্কিতা ইস্যু জেলার বেকার যুবকদের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না? প্রশ্নের জবাবে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের (Partha Pratim Roy) সতর্ক মন্তব্য, "যেহেতু এটা বিচার বিভাগীয় ব্যাপার, সেজন্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।" তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি গোটা বিষয়টি নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব পোষণ করলেও জেলার তৃণমূল নেতারা যে বেশ অস্বস্তিতে, তা তাঁদের আচরণেই স্পষ্ট। শীর্ষ নেতৃত্বদের কেউই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে নারাজ। বলা যায়, পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) ইস্যুতে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, CBI আধিকারিকরা যেভাবে দফায়-দফায় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari) জেরা করছেন,তাতে জেলার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা অস্বস্তিতে পড়েছেন। বিশেষত, পরেশ অধিকারীর তৃণমূলে যোগদান দেওয়ার পিছনে জেলা তৃণমূলের দুই নেতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে ঠিক কী শর্তে পরেশ অধিকারীকে তৃণমূলে নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরেশের পর এবার CBI-এর হাত সেই নেতাদের ঘাড়ে এসে পড়বে না তো, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা তৃণমূলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। আর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) নাম SSC-র মেধাতালিকা ওয়েটিং লিস্টে না থাকা সত্ত্বেও সেই নাম তালিকায় চলে আসে। পরবর্তীতে তাঁর চাকরি হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ওয়েটিং লিস্টের প্রথম সারিতে থাকা ববিতা সরকার (Babita Sarkar)।