অ্যাপশহর

বাঁধ নির্মাণের জন্য সেচ দফতরের কর্তাদের পা ধরে কাতর আবেদন বৃদ্ধের

Cooch Behar-এ নদীভাঙন রোধে ভিটেমাটি হারিয়ে সেচ দফতরের (west bengal irrigation department)কর্তাদের পা ধরে বাঁধ নির্মাণের আবেদন জানালেন এক বৃদ্ধ। নদী ভাঙন রোধে দিনহাটার জারিধরলা গ্রামে সেচ দফতরের কর্তারা পরিদর্শনে আসেন। বুধবার তাঁদের মধ্যে জনৈক আধিকারিকের পা ধরে কাতর আবেদন জানান ওই বৃদ্ধ। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃদ্ধের আকুতি শুনে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন (west bengal irrigation department) সেচ দফতরের কর্তারা।

Lipi 6 Apr 2022, 8:43 pm
Cooch Behar-এ নদীভাঙন রোধে ভিটেমাটি হারিয়ে সেচ দফতরের কর্তাদের পা ধরে বাঁধ নির্মাণের আবেদন জানালেন এক বৃদ্ধ। নদীভাঙন রোধে দিনহাটার জারিধরলা গ্রামে সেচ দফতরের কর্তারা গেলে তাঁদের পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি করতে থাকেন ওই বৃদ্ধ। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেচ দফতরের কর্তারা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কবে সেই কাজ সম্পন্ন হয়, সেটাই দেখার৷
EiSamay.Com Cooch Behar
সেচ কর্তাদের কাতর আবেদন বৃদ্ধের

ফের পৃথক কামতাপুরের দাবিতে নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ কেপিপি
ধরলা নদী দ্বারা ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের দু’টি গ্রাম জারিধরলা ও দরিবস। নদীর ধারে গিতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই দু’টি গ্রামের পাশ দিয়ে ধরলা নদী চলে যাওয়ায় সারা বছরই কমবেশি চলে নদীভাঙন। এছাড়া ভরা বর্ষায় নদীর জল গ্রামে ঢুকে গ্রাম প্লাবিত করে দেয়। সেসময় এই জারিধরলা ও দরিবস গ্রামের বহু বাসিন্দা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
অনলাইনে জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত! দেনা মেটাতে অপহরণের গল্প ফেঁদে গ্রেফতার কলেজ পড়ুয়া
গত কয়েক বছরে দরিবস গ্রামের বহু বাড়ি নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৩০টির বেশি বাড়ি নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। তাই বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে গেলে জেলা সেচ দফতরের আধিকারিককে সামনে পেয়ে তাঁর পা জড়িয়ে ধরেন দরিবস গ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলাম৷ তাঁর পায়ে ধরে মিনতি করেন বাঁধ নদীতে বাঁধ দেওয়ার জন্য৷ বাসিন্দাদের এই আবেদনে এখন কতটা কাজ হয় সেটাই দেখার।
বাস আটকানোয় পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি!

নদীতে ভাঙনের ঘটনা নতুন কিছু নয়৷ অনেক নদীতে এমন ভাঙনের কথা শোনা যায়৷ আর বর্ষার সময় তো কথা নেই৷ প্রতি বছরই বর্ষার সময় বাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রাম কে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর আসে৷ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালেই এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ জলমগ্ন হয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বহু অংশ। টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব নদী ফুঁসতে শুরু করে। তোর্সা, রায়ডাক, মানসাই, ধরলা, সোহো সহ একাধিক নদী ফুঁসে ওঠে৷ পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে দাঁড়ায়৷ নাগাড়ে বৃষ্টিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে কোচবিহারের বাসিন্দাদের। প্রবল বর্ষণে আলিপুরদুয়ার পুরসভার কুড়িটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কালজানি-সংকোষে জল বাড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে। তিস্তাও তখন টানা বৃষ্টিতে জল থইথই অবস্থা৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল