সোমবারই কেন্দ্রের তরফে BSF জওয়ান সুদীপ সরকারকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র সম্মান দেওয়ার কথা কথা ঘোষণা করা হয়৷ আর এরপরই স্বামীর শহিদ বেদি করার দাবি তুললেন BSF জওয়ানের স্ত্রী রূম্পা সরকার। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন তাঁর বাড়িতে দাঁড়িয়ে এই দাবি করেন তিনি। সোমবারই কেন্দ্রের তরফে রুম্পাদেবীর স্বামী BSF জওয়ান সুদীপ সরকারকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র সম্মান দেওয়ার কথা কথা ঘোষণা হতেই সাংবাদিকরা তাঁর বাড়িতে গেলে সরকারের কাছে শহিদ বেদি করার আবেদন জানান রুম্পাদেবী৷ আগরতলার বাসিন্দা সুদীপ সরকার কোচবিহারের মেয়ে রুম্পাদেবীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাঁর পরিবার কোচবিহারের বাবুরহাট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে। তিনি BSF এর ১৬৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। গত ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া সেক্টরে সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই জঙ্গিরা প্রথমে গুলি চালায়। পালটা গুলি চালালে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এরপর জঙ্গিরা হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় BSF এর ১৬৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান সুদীপ সরকারের।
ঘটনার দু’বছর সুদীপ সরকারকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান কীর্তি চক্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। সোমবার তাঁর পরিবারকে সম্মানের বিষয়টি জানানো হয়। শহিদ সুদীপ সরকারের স্ত্রী রূম্পা সরকার বলেন, ‘‘যেহেতু আমার স্বামী দেশের জন্য জীবন দিয়ে গিয়েছেন৷ কীর্তি চক্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু সেটা সমাজ ক’দিন মনে রাখবে৷ আজ বাদে কাল সবাই ভুলে যাবে৷ আমি চাই যে ওকে যেন কেউ না ভুলতে পারে৷ সরকারের কাছে আমার আবেদন যে ওর একটা শহিদ বেদি করা হোক৷ যেহেতু আমার নিজের জায়গা নেই যে, শহিদ বেদি করব। আমি কোনও জায়গা দিতে পারব না৷ সরকার যেন এই দিকটা দেখে৷ সরকার যেন ওর একটা শহিদ বেদি তৈরি করে দেয়৷’’
শহিদ জওয়ান সুদীপ সরকারের মেয়ে শুভ্র সরকার বলে, ‘‘কীর্তি চক্র পাওয়াটা ভীষণ গর্বের এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই৷ কিন্তু বাবার জায়গাটা তো কেউ আমার জীবনে নিতে পারবে না৷ বাবার জায়গাটা আমার জীবনে খালি হয়ে গেল৷ মা অনেক চেষ্টা করে বাবার অসম্পূর্ণ জায়গাটা পূরণ করার৷ কিন্তু কোনও সমস্যা হলে বাবার সঙ্গে কথা বলা এবং বাবা সবসময় বলত, কোনও কিছু জানতে হলে ফোন করতে, বলে দেবে৷ সেটা তো আর কেউ করতে পারবে না৷’’
ঘটনার দু’বছর সুদীপ সরকারকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান কীর্তি চক্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। সোমবার তাঁর পরিবারকে সম্মানের বিষয়টি জানানো হয়। শহিদ সুদীপ সরকারের স্ত্রী রূম্পা সরকার বলেন, ‘‘যেহেতু আমার স্বামী দেশের জন্য জীবন দিয়ে গিয়েছেন৷ কীর্তি চক্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু সেটা সমাজ ক’দিন মনে রাখবে৷ আজ বাদে কাল সবাই ভুলে যাবে৷ আমি চাই যে ওকে যেন কেউ না ভুলতে পারে৷ সরকারের কাছে আমার আবেদন যে ওর একটা শহিদ বেদি করা হোক৷ যেহেতু আমার নিজের জায়গা নেই যে, শহিদ বেদি করব। আমি কোনও জায়গা দিতে পারব না৷ সরকার যেন এই দিকটা দেখে৷ সরকার যেন ওর একটা শহিদ বেদি তৈরি করে দেয়৷’’
শহিদ জওয়ান সুদীপ সরকারের মেয়ে শুভ্র সরকার বলে, ‘‘কীর্তি চক্র পাওয়াটা ভীষণ গর্বের এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই৷ কিন্তু বাবার জায়গাটা তো কেউ আমার জীবনে নিতে পারবে না৷ বাবার জায়গাটা আমার জীবনে খালি হয়ে গেল৷ মা অনেক চেষ্টা করে বাবার অসম্পূর্ণ জায়গাটা পূরণ করার৷ কিন্তু কোনও সমস্যা হলে বাবার সঙ্গে কথা বলা এবং বাবা সবসময় বলত, কোনও কিছু জানতে হলে ফোন করতে, বলে দেবে৷ সেটা তো আর কেউ করতে পারবে না৷’’