রাজ আমলে নিয়ম নিষ্ঠা মেনে দিনহাটার মুস্তফী পরিবারে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2o22)। এবছর এই পুজো ৩৫৫ বছরে পড়বে। কোচবিহার জেলার প্রাচীন পুজাগুলির মধ্যে অন্যতম মুস্তফী পরিবারের পুজো। তবে শুধু সময়ের হিসেবে নয় রীতি -রেওয়াজের দিক থেকেও এই পুজো এক পৃথক জায়গা করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে এই পুজো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভিতরকুঠী গ্রামে হত। পরবর্তীতে গোবরাছরা ছোট ফলিমারী গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তৈরি করা দুর্গা মন্দিরে (Durga Mandir) চলত পুজো। এরপর পরিবারের বাকি সদস্যরা দিনহাটা শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোধূলীবাজারের বাড়িতে চলে যান। তারপর থেকে সেখানেই চলে পুজো। তবে পুজোর স্থান বদলালেও প্রাচীন রীতি-নীতিতে কোনো ছেদ পড়েনি।
পরিবারের প্রবীন সদস্য সিতাংশুশেখর মুস্তফী বলেন, "১৬৬৫ সালে তদানীন্তন কোচবিহারের রাজা মদননারায়ণ ( মোদনারায়ণ নামেও পরিচিত) এর আমন্ত্রণে ঢাকার নবাব দরবার থেকে কোচবিহার রাজ্যে এসেছিলেন এই পুজোর সূচনাকারী রুপচন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। সেই সময় নবাব প্রদও মজুমদার উপাধি ত্যাগ করে তিনি কোচবিহার অধিপতির দেওয়া মুস্তফী উপাধি গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ভিতরকুঠী গ্রামে জমিদারি পান। তখন থেকেই তিনি এই পুজো করে আসছেন।" পরিবারের অপর সদস্য তমাল মুস্তফী বলেন, "আমাদের বাড়িতে পুজিত দুর্গা রক্তবর্ণা, আতসী পুষ্পাবর্ণা নয়। মহিষাসুরের বর্ণ সবুজাভ, দেবীর বাহন সিংহের পাশাপাশি একটি বাঘও রয়েছে। এবং পুরো পুজা চলে তালপাতার পুঁথিতে লেখা মন্ত্র পড়ে।"
মৎসপুরান বিধি মেনে চলে পুজা, সঙ্গে সপ্তমী থেকে নবমী তিনদিনই চলে বলি প্রদান। তবে সবচেয়ে বেশি অবাক করা নিয়মটি হল এই পুজোর আয়োজন কোনও মহিলারা নন তা করেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। দশমীতে দুধ আর পান্তাভাত দিয়ে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে। এবং এদিন চলে প্রশস্তি বন্দনাও। তবে করোনাকাল কাটিয়ে বাইরে থাকা আত্মীয়রা পুজোয় সামিল হওয়ার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর কটাদিন জমজমাট থাকে মুস্তফী পরিবার।
পরিবারের প্রবীন সদস্য সিতাংশুশেখর মুস্তফী বলেন, "১৬৬৫ সালে তদানীন্তন কোচবিহারের রাজা মদননারায়ণ ( মোদনারায়ণ নামেও পরিচিত) এর আমন্ত্রণে ঢাকার নবাব দরবার থেকে কোচবিহার রাজ্যে এসেছিলেন এই পুজোর সূচনাকারী রুপচন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। সেই সময় নবাব প্রদও মজুমদার উপাধি ত্যাগ করে তিনি কোচবিহার অধিপতির দেওয়া মুস্তফী উপাধি গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ভিতরকুঠী গ্রামে জমিদারি পান। তখন থেকেই তিনি এই পুজো করে আসছেন।" পরিবারের অপর সদস্য তমাল মুস্তফী বলেন, "আমাদের বাড়িতে পুজিত দুর্গা রক্তবর্ণা, আতসী পুষ্পাবর্ণা নয়। মহিষাসুরের বর্ণ সবুজাভ, দেবীর বাহন সিংহের পাশাপাশি একটি বাঘও রয়েছে। এবং পুরো পুজা চলে তালপাতার পুঁথিতে লেখা মন্ত্র পড়ে।"
মৎসপুরান বিধি মেনে চলে পুজা, সঙ্গে সপ্তমী থেকে নবমী তিনদিনই চলে বলি প্রদান। তবে সবচেয়ে বেশি অবাক করা নিয়মটি হল এই পুজোর আয়োজন কোনও মহিলারা নন তা করেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। দশমীতে দুধ আর পান্তাভাত দিয়ে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে। এবং এদিন চলে প্রশস্তি বন্দনাও। তবে করোনাকাল কাটিয়ে বাইরে থাকা আত্মীয়রা পুজোয় সামিল হওয়ার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর কটাদিন জমজমাট থাকে মুস্তফী পরিবার।