অনির্বাণ ঘোষ
শাসকদলের দাপট বোধ হয় একেই বলে! বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ছত্রছায়ায় থাকা যাবতীয় চিকিত্সক সংগঠন এখন মিলেমিশে অরাজনৈতিক৷ সরকারের বিরোধিতা তাঁরা করছেন বটে , কিন্ত্ত সাবধানে৷ আবার বরাবরের অরাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ ) রাজ্য শাখায় এখন ঘোর রাজনীতির ছায়া৷ নতুন ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (সিই ) আইন ঘিরে আজব মেরুকরণের সাক্ষী রাজ্যের চিকিত্সক মহল৷ বিগত এক মাসে অন্তত পাঁচটি বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন চিকিত্সকেরা৷ গত মাসের ৩ তারিখে পাস হয়েছে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (সিই ) আইন ২০১৭৷
তার পর থেকেই এর বিরোধিতায় চিকিত্সকদের তরফে মিটিং -মিছিল লেগেই রয়েছে কলকাতায়৷ ১০ মার্চ রোটারি সদনে ও ২৫ মার্চ বেঙ্গল টিউবারকিউলোসিস হলে সভা এবং ৮ এপ্রিল গান্ধীমূর্তি থেকে রোটারি সদন ও ১৪ এপ্রিল কলেজ স্কোয়্যার থেকে ওয়েলিংটন পর্যন্ত পদযাত্রা হয়েছে৷ সব ক’টির আয়োজকই ডক্টর্স ফর পেশেন্ট এবং ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম নামে সদ্যোজাত দু’টি সংস্থা৷ নতুন আইন আত্মপ্রকাশের পরই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এদের জন্ম৷ রবিবারও বেঙ্গল নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন ওই দুই সংগঠনের কর্তারা৷ নয়া আইনের বিরোধিতায় একটি কর্মসূচিতেও কিন্ত্ত চোখে পড়েনি কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানার৷ যা দেখে বিস্মিত রাজ্যের স্বাস্থ্যমহল৷ রাজ্যে কিন্ত্ত অন্তত পাঁচটি চিকিত্সক সংগঠন রয়েছে যারা রাজনৈতিক রংমুক্ত নয়৷ তৃণমূল , সিপিএম , কংগ্রেস , বিজেপি , এসইউসি (আই )-সকলেরই রয়েছে চিকিত্সক শাখা৷ কিন্ত্ত পেশার তাগিদে বিরোধী শিবিরের ওই সব সংগঠনের সদস্যরা কেউ -ই আর প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনৈতিক অবস্থান আঁকড়ে থাকছেন না৷ সকলের আশঙ্কা , যদি পেশাগত ক্ষতি হয়ে যায় !
বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় চিকিত্সক সংগঠন সিপিএমের চিকিত্সক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টর্সের (এএইচএসডি ) সভাপতি গৌতম মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন , সব রাজনৈতিক মতাদর্শের চিকিত্সককে যাতে একত্রে পাওয়া যায় , তাই রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার না -করার যৌথ সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ‘তবে ভয়ের পরিবেশ তো একটা আছেই৷ যদিও সেটা খুব বড় ব্যাপার নয় ,’ মন্তব্য গৌতমের৷ একই সুর এসইউসি (আই ) প্রভাবিত চিকিত্সক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাসের গলাতেও৷ শাসকদলের দাপটের কথা মেনে নিয়েও তিনি বলছেন ‘সকলকে সঙ্গে পাওয়া ’র কথাই৷ এক বাম চিকিত্সক নেতার কথায় , ‘কট্টর বিরোধিতা তো দূরের কথা৷ নিছক মতবিরোধ হয়েছিল৷
তা -ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় কারও সঙ্গে নয় , মনোমালিন্যটা ছিল নেহাতই চিকিত্সক নেতা কিংবা শাসক -ঘনিষ্ঠ স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে৷ তাতেই অন্তত ডজনখানেক চিকিত্সককে গত পাঁচ বছরে নানা ভাবে শাসকদলের কোপে পড়তে হয়েছে৷ কেউ হয়েছেন সাসপেন্ড , তো কারও হয়েছে এমন জায়গায় বদলি --যেখানে কাজের সুযোগটাই নেই৷ এই অবস্থায় কেউ পেশাগত ঝুঁকি নেবে কেন ?’ তাই ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইন নিয়ে চলা বিতর্কে কেউ নিজেকে জাহির করে সরাসরি বিরোধিতা করছেন না সরকারের৷ বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা সংগঠনগুলিও পতাকা ত্যাগ করেছে এই ইস্যুতে৷ উল্টো ছবি বরাবরের অরাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (আইএমএ )৷
চিকিত্সকদের এই বৃহত্তম সংগঠনের রাজ্য শাখা আপাদমস্তক রাজনৈতিক রঙ মেখে ফেলেছে বলে অভিযোগ চিকিত্সকদেরই৷ তাঁরা বলছেন , ‘তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু সেনের নেতৃত্বাধীন আইএমএ -র পশ্চিমবঙ্গ শাখার পরিচালন সমিতি বাস্তবে শাসকদলেরই ডক্টর্স সেলের প্রতিভূ৷ ’ এমনকি , কেন্দ্রীয় আইএমএ -র সাংগঠনিক অবস্থানের যে ভাবে বিরুদ্ধাচরণ করছে রাজ্য শাখা , তার নিন্দা করে সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি কে কে আগরওয়াল পর্যন্ত বলছেন , ‘শান্তনুদের বলেছি যাতে ওঁদের ব্যক্তিগত দলীয় আনুগত্য সাংগঠনিক কাজকর্মে নেতিবাচক ছাপ না -ফেলে৷’
শাসকদলের দাপট বোধ হয় একেই বলে! বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ছত্রছায়ায় থাকা যাবতীয় চিকিত্সক সংগঠন এখন মিলেমিশে অরাজনৈতিক৷ সরকারের বিরোধিতা তাঁরা করছেন বটে , কিন্ত্ত সাবধানে৷ আবার বরাবরের অরাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ ) রাজ্য শাখায় এখন ঘোর রাজনীতির ছায়া৷ নতুন ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (সিই ) আইন ঘিরে আজব মেরুকরণের সাক্ষী রাজ্যের চিকিত্সক মহল৷ বিগত এক মাসে অন্তত পাঁচটি বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন চিকিত্সকেরা৷ গত মাসের ৩ তারিখে পাস হয়েছে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (সিই ) আইন ২০১৭৷
তার পর থেকেই এর বিরোধিতায় চিকিত্সকদের তরফে মিটিং -মিছিল লেগেই রয়েছে কলকাতায়৷ ১০ মার্চ রোটারি সদনে ও ২৫ মার্চ বেঙ্গল টিউবারকিউলোসিস হলে সভা এবং ৮ এপ্রিল গান্ধীমূর্তি থেকে রোটারি সদন ও ১৪ এপ্রিল কলেজ স্কোয়্যার থেকে ওয়েলিংটন পর্যন্ত পদযাত্রা হয়েছে৷ সব ক’টির আয়োজকই ডক্টর্স ফর পেশেন্ট এবং ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম নামে সদ্যোজাত দু’টি সংস্থা৷ নতুন আইন আত্মপ্রকাশের পরই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এদের জন্ম৷ রবিবারও বেঙ্গল নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন ওই দুই সংগঠনের কর্তারা৷ নয়া আইনের বিরোধিতায় একটি কর্মসূচিতেও কিন্ত্ত চোখে পড়েনি কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানার৷ যা দেখে বিস্মিত রাজ্যের স্বাস্থ্যমহল৷ রাজ্যে কিন্ত্ত অন্তত পাঁচটি চিকিত্সক সংগঠন রয়েছে যারা রাজনৈতিক রংমুক্ত নয়৷ তৃণমূল , সিপিএম , কংগ্রেস , বিজেপি , এসইউসি (আই )-সকলেরই রয়েছে চিকিত্সক শাখা৷ কিন্ত্ত পেশার তাগিদে বিরোধী শিবিরের ওই সব সংগঠনের সদস্যরা কেউ -ই আর প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনৈতিক অবস্থান আঁকড়ে থাকছেন না৷ সকলের আশঙ্কা , যদি পেশাগত ক্ষতি হয়ে যায় !
বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় চিকিত্সক সংগঠন সিপিএমের চিকিত্সক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টর্সের (এএইচএসডি ) সভাপতি গৌতম মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন , সব রাজনৈতিক মতাদর্শের চিকিত্সককে যাতে একত্রে পাওয়া যায় , তাই রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার না -করার যৌথ সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ‘তবে ভয়ের পরিবেশ তো একটা আছেই৷ যদিও সেটা খুব বড় ব্যাপার নয় ,’ মন্তব্য গৌতমের৷ একই সুর এসইউসি (আই ) প্রভাবিত চিকিত্সক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাসের গলাতেও৷ শাসকদলের দাপটের কথা মেনে নিয়েও তিনি বলছেন ‘সকলকে সঙ্গে পাওয়া ’র কথাই৷ এক বাম চিকিত্সক নেতার কথায় , ‘কট্টর বিরোধিতা তো দূরের কথা৷ নিছক মতবিরোধ হয়েছিল৷
তা -ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় কারও সঙ্গে নয় , মনোমালিন্যটা ছিল নেহাতই চিকিত্সক নেতা কিংবা শাসক -ঘনিষ্ঠ স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে৷ তাতেই অন্তত ডজনখানেক চিকিত্সককে গত পাঁচ বছরে নানা ভাবে শাসকদলের কোপে পড়তে হয়েছে৷ কেউ হয়েছেন সাসপেন্ড , তো কারও হয়েছে এমন জায়গায় বদলি --যেখানে কাজের সুযোগটাই নেই৷ এই অবস্থায় কেউ পেশাগত ঝুঁকি নেবে কেন ?’ তাই ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইন নিয়ে চলা বিতর্কে কেউ নিজেকে জাহির করে সরাসরি বিরোধিতা করছেন না সরকারের৷ বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা সংগঠনগুলিও পতাকা ত্যাগ করেছে এই ইস্যুতে৷ উল্টো ছবি বরাবরের অরাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (আইএমএ )৷
চিকিত্সকদের এই বৃহত্তম সংগঠনের রাজ্য শাখা আপাদমস্তক রাজনৈতিক রঙ মেখে ফেলেছে বলে অভিযোগ চিকিত্সকদেরই৷ তাঁরা বলছেন , ‘তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু সেনের নেতৃত্বাধীন আইএমএ -র পশ্চিমবঙ্গ শাখার পরিচালন সমিতি বাস্তবে শাসকদলেরই ডক্টর্স সেলের প্রতিভূ৷ ’ এমনকি , কেন্দ্রীয় আইএমএ -র সাংগঠনিক অবস্থানের যে ভাবে বিরুদ্ধাচরণ করছে রাজ্য শাখা , তার নিন্দা করে সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি কে কে আগরওয়াল পর্যন্ত বলছেন , ‘শান্তনুদের বলেছি যাতে ওঁদের ব্যক্তিগত দলীয় আনুগত্য সাংগঠনিক কাজকর্মে নেতিবাচক ছাপ না -ফেলে৷’