অ্যাপশহর

হেরিটেজ স্বীকৃতির পথে চিল্কিগড়

স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই এলাকাটি ‘প্লাস্টিক ফ্রি জোন’ হয়েছে৷

EiSamay.Com 24 Nov 2017, 12:06 pm
এই সময়: স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই এলাকাটি ‘প্লাস্টিক ফ্রি জোন’ হয়েছে৷ পর্যটকরা ঘুরতে এলে স্থানীয় মানুষই তাঁদের বলছেন, প্লাস্টিক ব্যবহার না করতে৷ স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগেই ৬১ একর বনাঞ্চলের বাইরে তৈরি করা হয়েছে ফেন্সিং৷ যাতে বহু পুরোনো কুচিলা, শাল, আকড়, তেলি কদম্ব গাছগুলির কোনও ক্ষতি না হয়৷ ক্ষতি না হয় সেই জঙ্গলে বসবাসকারী নানা প্রজাতির পাখি, প্রজাপতি কিংবা অন্য প্রাণীর৷ ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গা মন্দির ঘিরে বনখণ্ডটি জীব বৈচিত্র্যের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে আগেই চিহ্নিত হয়েছিল৷ এ বার শুরু হল সেটিকে বায়ো-ডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃতির প্রক্রিয়া৷
EiSamay.Com chilkigarh is going to be declared as biodiversity heritage site
হেরিটেজ স্বীকৃতির পথে চিল্কিগড়


শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসন, পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদ, স্থানীয় বায়ো ডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে বৈঠকে বনাঞ্চলটি রক্ষায় আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ এর আগে ধোত্রে এবং টোংলুকে বায়ো ডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদ৷ পর্ষদের বিজ্ঞানী অনির্বাণ রায় বলেন, ‘চিল্কিগড়ের পবিত্র বনখণ্ড রক্ষায় স্থানীয় মানুষ এবং প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে৷ ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের এই বনখণ্ডটিকে বায়ো ডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইট ঘোষণার দাবি উঠেছে স্থানীয় স্তর থেকেই৷ যে দাবি যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গতও৷’

জামবনির বিডিও মহম্মদ আলি আনসারি জানান, সমীক্ষা চালিয়ে ৩৫০ প্রজাতির গাছের সন্ধান মিলেছে ওই বনখণ্ডে৷ পাখি এবং প্রজাপতিও রয়েছে ১৬০টিরও বেশি প্রজাতির৷ পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লকের উদ্যোগে সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই এলাকাটিকে প্লাস্টিক -ফ্রি জোন ঘোষণা করা হয়েছিল৷ আগে কনকদুর্গা মন্দির পর্যন্তই গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেত৷ কিন্ত্ত এখন সেই মন্দিরে যেতে হলে গাড়ি রাখতে হয় বাইরে৷ জঙ্গলের ভিতরে পিকনিক বন্ধ করা হয়েছিল আগেই৷ বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে বাইরে ডুলুং নদীর ধারে পিকনিক করা হত৷ তাতেও ক্ষতি হচ্ছিল পরিবেশের৷ সে কারণে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানেও আর পিকনিকের অনুমতি দেওয়া হবে না৷ বেশ কিছু এলাকায় মন্দির, মসজিদ, কবরস্থান, টিলা, জঙ্গল ঘিরে মানুষের নানা রকম বিশ্বাস রয়েছে৷ ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, সেই বনাঞ্চলগুলি এড়িয়ে চলেন মানুষ৷ ফলে সে-সব এলাকায় যে সমস্ত প্রাণি ও উদ্ভিদ রয়েছে, সেগুলি রক্ষা পায়৷ এই এলাকাগুলিকেই বলা হয় ‘পবিত্র বনখণ্ড’৷

জামবনি বায়ো ডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি সমীর ঢল জানান, কনকদুর্গা মন্দির ঘিরে এই বনাঞ্চলটিতে বহু প্রাচীন বিরল প্রজাতির গাছ ছাড়াও রয়েছে লতানে কাঞ্চন, ভূত শালের মতো বহু ধরনের কাষ্ঠল লতা৷ এটি হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পেলে সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে সুবিধা হবে৷ চিল্কিগড়ডুলুং নদীকনকদুর্গা মন্দিরদার্জিলিং জেলার ধোত্রে এবং টোংলু৷ ঔষধি গাছের সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ২০১৫ সালের ২০ মার্চ তকমা দেয় রাজ্য পরিবেশ দন্তরদেশের জীববৈচিত্র্য হেরিটেজ সাইটবেঙ্গালুরুর নাল্লুর ট্যামারিন্ড গ্রোভ৫৪ একর জুড়ে গাছের বৈচিত্র্যচিকমাগালুরের হোগরেকান শোলা এবং ঘাসের বন৷ বন্য জীবজন্ত্তর যাতায়াতের করিডরবেঙ্গালুরুর জিকেভিকে ক্যাম্পাসবিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে জীববৈচিত্র্যের বিপুল সম্ভারশিমোগার আম্বারাগুড়াপশ্চিমঘাট পর্বতমালায় আদিম ঘাসের বনমহারাষ্ট্রের আল্লাপাল্লি৬ একরের বিশেষ অভয়ারণ্যরাজ্যের এমন হেরিটেজ সাইট৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল