লকেট চট্টোপাধ্যায় গ্রাম থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হলেও শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) মৃত শিশুর বাড়িতে ঢুকতে সমর্থ হলেন রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । শুধু বাড়িতে যাওয়া নয়, শিবমের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। দোষীরা যাতে কোনভাবে ছাড়া না পায়, সেটা দেখার জন্য রাজ্য BJP সভাপতির কাছেও আবেদন জানিয়েছে শিবমের পরিবার। প্রয়োজনে তাঁদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সুকান্তও।
এদিন দুপুরে রাজ্য সভাপতির সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে প্রথমে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মোলডাঙা গ্রামে মহামিছিল বের করার পরিকল্পনা ছিল BJP-র। কিন্তু সেই মিছিলের শুরুতেই বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসী। তারপর সুকান্ত মজুমদার সহ BJP নেতৃত্ব শিবমের বাড়িতে যেতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হন। এরপর দলীয় পতাকা ছাড়াই কেবল ৫ জনপ্রতিনিধি শিবমের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে জানান রাজ্য BJP সভাপতি (Sukanta Majumdar) । অবশেষে তাঁর সেকথা মেনে ৩ বিধায়ক সহ BJP-র ৫ জনপ্রতিনিধিকে শিবমের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়। তাঁরা শিবমের খুন ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে তার বাবা, মা ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন।
শিবমের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মৃত শিশুর বাবা, মায়ের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। যদি ওই পরিবারের কোনরকম আইনি সহায়তার দরকার হয় তা আমরা দেব। পরিবারের সকলে বারবার একটাই কথা বলছেন, ওই মহিলা একা এই ঘটনা ঘটাতে পারে না। দোষীরা যাতে ফাঁসির সাজা পায়, সেটা দেখতে বলেছে।" তবে পুলিশের তদন্তে নিয়ে শিবমের পরিবারের সংশয় রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে দেন রাজ্য BJP সভাপতি তিনি বলেন, "মৃতের জ্যেঠু আমাকে বলেছেন, কোনভাবে পুলিশ যেন হালকা ধারা দিয়ে ওই মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে। আমাদের দেখতে বলেছে। অর্থাৎ ওঁদের আশঙ্কা আছে, পুলিশ হালকা ধারা দিয়ে ওদের ছেড়ে দিতে পারে। আমরা বিষয়টা দেখব বলে আশ্বাস দিয়েছি।"
এদিন গ্রামে ঢোকার মুখে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, তারা গ্রামবাসী নয় বলেই দাবি সুকান্ত মজুমদারের। নাম না করে পরোক্ষে শাসকদলকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, "এই ঘটনায় আমরা রাজনীতির রং দিতে চাই না। তাই আমরা বলেছিলাম, দলীয় পতাকা নিয়ে ঢুকব না। ৫ জন জনপ্রতিনিধি ঢুকব। ঢোকার সময় যারা বাধা দিচ্ছিল, আমরা বেরোনোর সময় তারা আর নেই।" শিবমের বাড়িতে ঢোকার সময়ও সুকান্ত মজুমদার বলেন, "অন্যরা গ্রামবাসীদের পিছনে কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করছিল। গ্রামবাসীরা ভালো, তাদের যখন বোঝালাম তারা বুঝেছে। তাই আমাদের যেতে দিচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার BJP নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও (Locket Chatterjee) শিবমের বাড়িতে ঢুকতে গেলে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন। 'গো ব্যাক' স্লোগান দিয়ে তাঁকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা গ্রামবাসী নয়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে তখনই সরব হয়েছিলেন লকেট। পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডা একসঙ্গে কাজ করছে অভিযোগ তুলে শান্তিনিকেতন থানার সামনে বসে বিক্ষোভও দেখান তিনি। এদিন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যেও সেই একই সুর শোনা গেল। এদিন সুকান্ত মজুমদার সঙ্গে দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, হুগলির পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা এবং জেলার দুই সাংগঠনিক নেতৃত্ব শিবমের বাড়িতে যান।
এদিন দুপুরে রাজ্য সভাপতির সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে প্রথমে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মোলডাঙা গ্রামে মহামিছিল বের করার পরিকল্পনা ছিল BJP-র। কিন্তু সেই মিছিলের শুরুতেই বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসী। তারপর সুকান্ত মজুমদার সহ BJP নেতৃত্ব শিবমের বাড়িতে যেতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হন। এরপর দলীয় পতাকা ছাড়াই কেবল ৫ জনপ্রতিনিধি শিবমের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে জানান রাজ্য BJP সভাপতি (Sukanta Majumdar) । অবশেষে তাঁর সেকথা মেনে ৩ বিধায়ক সহ BJP-র ৫ জনপ্রতিনিধিকে শিবমের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়। তাঁরা শিবমের খুন ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে তার বাবা, মা ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন।
শিবমের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মৃত শিশুর বাবা, মায়ের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। যদি ওই পরিবারের কোনরকম আইনি সহায়তার দরকার হয় তা আমরা দেব। পরিবারের সকলে বারবার একটাই কথা বলছেন, ওই মহিলা একা এই ঘটনা ঘটাতে পারে না। দোষীরা যাতে ফাঁসির সাজা পায়, সেটা দেখতে বলেছে।" তবে পুলিশের তদন্তে নিয়ে শিবমের পরিবারের সংশয় রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে দেন রাজ্য BJP সভাপতি তিনি বলেন, "মৃতের জ্যেঠু আমাকে বলেছেন, কোনভাবে পুলিশ যেন হালকা ধারা দিয়ে ওই মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে। আমাদের দেখতে বলেছে। অর্থাৎ ওঁদের আশঙ্কা আছে, পুলিশ হালকা ধারা দিয়ে ওদের ছেড়ে দিতে পারে। আমরা বিষয়টা দেখব বলে আশ্বাস দিয়েছি।"
এদিন গ্রামে ঢোকার মুখে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, তারা গ্রামবাসী নয় বলেই দাবি সুকান্ত মজুমদারের। নাম না করে পরোক্ষে শাসকদলকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, "এই ঘটনায় আমরা রাজনীতির রং দিতে চাই না। তাই আমরা বলেছিলাম, দলীয় পতাকা নিয়ে ঢুকব না। ৫ জন জনপ্রতিনিধি ঢুকব। ঢোকার সময় যারা বাধা দিচ্ছিল, আমরা বেরোনোর সময় তারা আর নেই।" শিবমের বাড়িতে ঢোকার সময়ও সুকান্ত মজুমদার বলেন, "অন্যরা গ্রামবাসীদের পিছনে কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করছিল। গ্রামবাসীরা ভালো, তাদের যখন বোঝালাম তারা বুঝেছে। তাই আমাদের যেতে দিচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার BJP নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও (Locket Chatterjee) শিবমের বাড়িতে ঢুকতে গেলে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন। 'গো ব্যাক' স্লোগান দিয়ে তাঁকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা গ্রামবাসী নয়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে তখনই সরব হয়েছিলেন লকেট। পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডা একসঙ্গে কাজ করছে অভিযোগ তুলে শান্তিনিকেতন থানার সামনে বসে বিক্ষোভও দেখান তিনি। এদিন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যেও সেই একই সুর শোনা গেল। এদিন সুকান্ত মজুমদার সঙ্গে দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, হুগলির পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা এবং জেলার দুই সাংগঠনিক নেতৃত্ব শিবমের বাড়িতে যান।