সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ি চারিপাশ জমজমাট থাকত। কোনও না কোনও লোক লেগেই থাকত। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আচমকা বদলে গিয়েছে পরিস্থিতিটা। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর নিচুপট্টির বাড়ি এখন পুরো শুনশান। শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) কর্মী থেকে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া বাড়িতে আর কাউকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যে এলাকা একটা সময় পুরো জমজমাট ছিল এখন সেখানে অদ্ভুত নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে।
অনুব্রত গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার সকালের দিকেই অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল CBI-এর প্রতিনিধি দল। অনুব্রতর বাড়ির প্রত্যেকটি গেটে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Arrest) রাস্তার ধারের নিরাপত্তারক্ষীদের অফিসে বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। খবর পেয়ে সেখানেই সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে কিছুটা সময় চান। তারপরই বাড়ির ভিতর গিয়ে শিব ভক্ত অনুব্রত মণ্ডল স্নান সেরে পুজো করেন। তারপর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে বেরিয়ে যান। এরপর বিকেল ৩টে ৪০ মিনিটে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেলার দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal) পরিণতি দেখতে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু উৎসুক মানুষ। অনুব্রতর অসুস্থতার কথা ভেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে অক্সিজেন সিলিন্ডারও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর সেখান থেকে আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য। তারপর হাসপাতাল থেকে তাঁকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।
এদিকে গতকাল অনুব্রত মণ্ডলকে যখন বাড়ি থেকে CBI নিয়ে যাচ্ছিল তখন সেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। স্থানীয় থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামীতে ভরে গিয়েছিল গোটা এলাকা। কিন্তু, শুক্রবার দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ছবি। বাড়ির সামনে একেবারেই শুনশান। বাড়ির উপর রয়েছেন মেয়ে। নীচে নিরাপত্তারক্ষীরা এখনও রয়েছেন। বাড়ির কয়েকজন পরিচারিকা নিজেদের মধ্যে কাজ করছেন। কিন্তু, তাঁরা কোনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। অনুব্রত গ্রেফতারের আগে ও পরে বাড়ির পরিবেশ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন দুপুরে বাড়ির দোতলা থেকে নবনির্মিত গাড়ি গ্যারেজে আমদরবার বসাতেন। তার আগে ঘণ্টাখানেক ধরে পুজো করতেন। গ্যারেজে সেখানে দলের নেতা কর্মী থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে যেতেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করতেন। আবার মধ্যাহ্ন ভোজের পর দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, নয়তো দলীয় কর্মসূচিতে যেতেন। বাড়িতে ফিরেই মধ্যরাত পর্যন্ত গল্পগুজব করতেন কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে। সারাদিন গমগম করত বাড়ি। লোক লেগেই থাকত। কিন্তু, এখন এসব অতীত। এখন ওই বাড়ি একেবারেই নিস্তব্ধ।
কেঁদে ভাসাচ্ছেন মেয়ে সুকন্যা
তবে এদিন বেলার দিকে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ওমরকে। অনুব্রতর জন্মভিটে হাটসেরান্দি গ্রামের কয়েকজন বোলপুরের (Bolpur) বাড়িতে আসেন। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বাড়িতে রয়েছেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তিনি সর্বক্ষণ কান্নাকাটি করছেন। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়াও পর্যন্ত করছেন না। তবে নিকটআত্মীয়রা সুকন্যার কাছাকাছি থেকে বাবার অভাবপূরণ করার চেষ্টা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুব্রতর এক প্রতিবেশী বলেন, "প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাস্তায় ভিড় জমে যেত। এলাকার মানুষের চলাফেরায় সমস্যা হত। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারত না। অবশ্য সেই সমস্যার কথা ভেবেই অফিসের পাশেই একটি জায়গা কিনে অতিথিদের বসার জায়গা বানিয়ে ফেলেছিলেন অনুব্রত। আগামী সোমবার তা উদ্বোধন করার কথা ছিল। সেই সঙ্গে ওইদিন বিশাল যজ্ঞের আয়োজনও করা হয়েছিল। সেই মতো বাড়ির ছাদে বিশাল প্যান্ডেল করা হয়েছিল। সেই প্যান্ডেল এদিন খুলে ফেলা হয়। সেই সঙ্গে অতিথি আবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে।"
অনুব্রত গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার সকালের দিকেই অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল CBI-এর প্রতিনিধি দল। অনুব্রতর বাড়ির প্রত্যেকটি গেটে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Arrest) রাস্তার ধারের নিরাপত্তারক্ষীদের অফিসে বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। খবর পেয়ে সেখানেই সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে কিছুটা সময় চান। তারপরই বাড়ির ভিতর গিয়ে শিব ভক্ত অনুব্রত মণ্ডল স্নান সেরে পুজো করেন। তারপর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে বেরিয়ে যান। এরপর বিকেল ৩টে ৪০ মিনিটে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেলার দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal) পরিণতি দেখতে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু উৎসুক মানুষ। অনুব্রতর অসুস্থতার কথা ভেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে অক্সিজেন সিলিন্ডারও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর সেখান থেকে আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য। তারপর হাসপাতাল থেকে তাঁকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।
এদিকে গতকাল অনুব্রত মণ্ডলকে যখন বাড়ি থেকে CBI নিয়ে যাচ্ছিল তখন সেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। স্থানীয় থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামীতে ভরে গিয়েছিল গোটা এলাকা। কিন্তু, শুক্রবার দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ছবি। বাড়ির সামনে একেবারেই শুনশান। বাড়ির উপর রয়েছেন মেয়ে। নীচে নিরাপত্তারক্ষীরা এখনও রয়েছেন। বাড়ির কয়েকজন পরিচারিকা নিজেদের মধ্যে কাজ করছেন। কিন্তু, তাঁরা কোনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন দুপুরে বাড়ির দোতলা থেকে নবনির্মিত গাড়ি গ্যারেজে আমদরবার বসাতেন। তার আগে ঘণ্টাখানেক ধরে পুজো করতেন। গ্যারেজে সেখানে দলের নেতা কর্মী থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে যেতেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করতেন। আবার মধ্যাহ্ন ভোজের পর দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, নয়তো দলীয় কর্মসূচিতে যেতেন। বাড়িতে ফিরেই মধ্যরাত পর্যন্ত গল্পগুজব করতেন কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে। সারাদিন গমগম করত বাড়ি। লোক লেগেই থাকত। কিন্তু, এখন এসব অতীত। এখন ওই বাড়ি একেবারেই নিস্তব্ধ।
কেঁদে ভাসাচ্ছেন মেয়ে সুকন্যা
তবে এদিন বেলার দিকে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ওমরকে। অনুব্রতর জন্মভিটে হাটসেরান্দি গ্রামের কয়েকজন বোলপুরের (Bolpur) বাড়িতে আসেন। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বাড়িতে রয়েছেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তিনি সর্বক্ষণ কান্নাকাটি করছেন। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়াও পর্যন্ত করছেন না। তবে নিকটআত্মীয়রা সুকন্যার কাছাকাছি থেকে বাবার অভাবপূরণ করার চেষ্টা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুব্রতর এক প্রতিবেশী বলেন, "প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাস্তায় ভিড় জমে যেত। এলাকার মানুষের চলাফেরায় সমস্যা হত। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারত না। অবশ্য সেই সমস্যার কথা ভেবেই অফিসের পাশেই একটি জায়গা কিনে অতিথিদের বসার জায়গা বানিয়ে ফেলেছিলেন অনুব্রত। আগামী সোমবার তা উদ্বোধন করার কথা ছিল। সেই সঙ্গে ওইদিন বিশাল যজ্ঞের আয়োজনও করা হয়েছিল। সেই মতো বাড়ির ছাদে বিশাল প্যান্ডেল করা হয়েছিল। সেই প্যান্ডেল এদিন খুলে ফেলা হয়। সেই সঙ্গে অতিথি আবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে।"