অ্যাপশহর

Arpita Mukherjee: অর্পিতার পর নাম উঠে এল মোনালিসার! Shantiniketan-এ বেনামে ৭টি বাড়ির হদিশ

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) পর এবার ED-র নজরে উঠে মোনালিসা দাসের নাম। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা মোনালিসা দাসও (Monalisa Das)পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর ও অর্পিতার নামে বোলপুর-শান্তিনিকেতনে ৭টি বাড়ির হদিশ মিলেছে। এগুলি আদতে বেনামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি বলে সূত্রের খবর। যদিও বর্তমানে সবকটি বাড়িতেই তালা ঝুলছে। বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।

Produced byShukla Bhattacharjee | Lipi 23 Jul 2022, 9:19 pm
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) পর এবার ED-র নজরে উঠে এল আরেকজনের নাম, মোনালিসা দাস। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা মোনালিসা দাসও (Monalisa Das) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর ও অর্পিতার নামে বোলপুর-শান্তিনিকেতনে (Bolpur-Shantiniketan) ৭টি বাড়ির হদিশ মিলেছে। সেগুলির কোনটি দোতলা, কোনটি তিনতলা বাড়ি। এগুলি আদতে বেনামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বোলপুরের ফুলডাঙ্গার বাড়িটির নাম ‘অপা’। এই নাম নিয়ে অনেক গুঞ্জনও রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঝেমধ্যে এই বাড়িগুলিতে হাওয়া বদল করতে যেতেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। যদিও বর্তমানে সবকটি বাড়িতেই তালা ঝুলছে। বিষয়টি নিয়ে কেউ সরাসরি মুখ খুলতে চাইছে না।
আটক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়


Locket Chatterjee: "আগামীতে আরও অনেক কিছু দেখা যাবে", পার্থর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে লকেট
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) এলাকার ফুলডাঙা, বনভিলা, জাম্বুনি বাস স্ট্যান্ড ও প্রান্তিক এলাকায় ৭টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পরেই সেই বাড়িতে স্থানীয় মানুষজন উঁকি-ঝুঁকি মারতে শুরু করেছেন। কেননা রাতের অন্ধকারে এই বাড়িগুলিতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাত্রিবাস করতেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এই বাড়িগুলির কোনটির নাম অপা, কোনটি তিতলি, কোনটি চারবাড়ি ইত্যাদি। স্থানীয়দের দাবি, ফুলডাঙ্গার বাড়ির নাম অর্পিতা ও পার্থর নামের মিল করে দেওয়া হয়েছে ‘অপা’। এছাড়া জাম্বুনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চার হাজার স্কোয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতেন অর্পিতা।

Suvendu Adhikari: 'যা বেরোচ্ছে ভয়ঙ্কর', পার্থের অর্পিতা-মোনালিসা যোগ নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর
অন্য়দিকে, দুর্গাপুরের (Durgapur) বাসিন্দা মোনালিসা দাস (Monalisa Das) বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। সেখানেই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোনালিসা। তাঁর স্বামী ছিলেন বিমান চালক। স্বামীর মাধ্যমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোনালিসার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে সূত্রের খবর। সমালোচকদের দাবি, ২০১২ সালের পর থেকেই পার্থবাবুর শান্তিনিকেতন যাতায়াত বেড়ে যায়। এরপর তিনিই মোনালিসাকে আসানসোলের একটি কলেজে অধ্যাপিকা হিসাবে কাজে ঢুকিয়ে দেন। তারপর থেকেই শান্তিনিকেতন এলাকায় পার্থবাবু একের পর এক বাড়ি কিনতে শুরু করেন বলে সূত্রের খবর। পার্থবাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে মোনালিসার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বলেও অভিযোগ। এরপর ২০১৬ সালে অর্পিতার (Arpita Mukherjee) সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং তার ফলে মোনালিসার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ফলে বর্তমানে অধিকাংশ বাড়িই দেখভাল করতেন অর্পিতা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়িগুলির অধিকাংশই বাগানবাড়ি। মাঝেমধ্যেই পার্থবাবু এখানে এসে থাকতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

"ED, CBI থেকে মুখ্যমন্ত্রী সব জানত", পার্থর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অশোক
অর্পিতার জাম্বুনি ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৪ হাজার স্কোয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০১৩ সালে ফ্ল্যাটটি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেনেন। সেখানে মাঝেমধ্যেই অর্পিতা দামি দামি গাড়ি নিয়ে আসতেন। কিছুক্ষণ থেকে ফের বেরিয়ে যেতেন। বাড়ির ভিতর দামি দামি জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি সাজানোর কাজ করা হয়েছে। তবে ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ না দেওয়ায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁর বচসা হত। সে সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে চমকাতেন তিনি। তবে ওই ফ্ল্যাটে পার্থবাবু কোনদিন আসেননি। এই ফ্ল্যাটের চাবি এখন রয়েছে প্রশান্ত রায় নাম এক স্থানীয় বাসিন্দার কাছে।”

Asansol News: ২ মাসে কামড় ১০০ জনকে! পবনপুত্রের ঠেলায় ঘুম উড়েছে জামুড়িয়াবাসীর
অন্যদিকে, মোনালিসা দাস (Monalisa Das) আসানসোলের (Asansol) এসবি গরাই রোডের বিবেকানন্দ পল্লিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। প্রায় পাঁচবছর ধরে তিনি একা এই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু গত দু-সপ্তাহ ধরে তিনি এখানে আসেননি বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক বিবেক বর্মন।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Shukla Bhattacharjee

পরের খবর