অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় ■ নয়াদিল্লি
আগামী জানুয়ারিতে কলকাতায় চতুর্থ ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট ’-কে পাখির চোখ করে বিদেশি বিনিয়োগ পেতে ঝাঁপাল রাজ্য৷ শুক্রবার নয়াদিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে ইন্দোনেশিয়া , রোমানিয়া , বুলগেরিয়া , লুক্সেমবার্গ, হাঙ্গেরি , ফিনল্যান্ড , নরওয়ে , নেদারল্যান্ড , সিঙ্গাপুর সহ ৩১টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনাচক্রে মিলিত হন রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী অমিত মিত্র৷ ওই বৈঠকে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা এবং শিল্প বান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করে এঁদের সবাইকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় শিল্প সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান তিনি৷
প্রতি বছর আয়োজিত এই শিল্প সম্মেলেনর গুরুত্ব তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী ব্যাখ্যা দেন বাম জমানার লাল ফিতের ফাঁস থেকে বেরিয়ে রাজ্য কী ভাবে শিল্পোন্নয়নের নতুন দিশারি হয়েছে৷ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সামনে তিনি রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ও সরকারের শিল্পনীতি নিয়ে একটি উপস্থাপনাও পেশ করেন৷ গত তিনটি সম্মেলনে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলির প্রতিনিধিরা যেভাবে ভিড় জমিয়েছিলেন এবং যেভাবে তাঁরা রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উত্সাহ দেখিয়েছেন সেই বর্ণনা শোনার পরে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখান আলোচনায় যোগ দিতে আসা রাষ্ট্রদূতরা৷ বুলগেরিয়া , হাঙ্গেরি , ইন্দোনেশিয়া , সংযুক্ত আরব আমিরশাহী , ইজরায়েল এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা তো আলাদা করে বৈঠকও করেন অমিত মিত্রর সঙ্গে৷ জানতে চান , নিজের নিজের দেশের আগ্রহের শিল্পক্ষেত্রে কিভাবে বিনিয়োগ করা যায় তার বিস্তারিত তথ্য৷ এদিনের বৈঠকের সাফল্যে খুশি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী বলেন , ‘এই প্রথম কোন রাজ্যের ক্ষেত্রে এতো উত্সাহজনক সাড়া মিলেছে৷ আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের ৩১টি দেশের প্রতিনিধি৷ তার মধ্যে ২০ জন রাষ্ট্রদূত৷ তাঁরা রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহী৷
ওঁনারা বারবার বলেছেন , নিজেরাও ওই শিল্প সম্মেলনে আসবেন এবং নিজের দেশের শিল্প প্রতিনিধিদেরও নিয়ে আসবেন৷ রাজ্যের স্থিতিশীল সরকার এবং সেই সরকারের উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন তাঁরা৷ এঁরা সবাই তৈরি হয়েই এসেছিলেন৷ সবার লক্ষ রাজ্যে বিনিয়োগ করা৷ ’ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আগামী বছর ১৬ এবং ১৭ জানুয়ারি কলকাতায় আয়োজিত হবে চতুর্থ বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট৷ রাজ্যের এই শিল্প সম্মেলনের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে অমিত বাবু পুরো কৃতিত্বটাই দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে৷ শিল্পমন্ত্রী বলেন , ‘আমি দিল্লিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম , আপনি কি ম্যাজিক করেছেন যে আমরা এত সাড়া পাচ্ছি৷ দেশের অর্থনীতির সঙ্গে বাংলার অর্থনীতির তফাত্ হল বাংলার অর্থনীতি দ্রুতহারে এগিয়ে চলেছে৷ প্রথম ত্রৈমাসিকে গোটা দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার যখন ৫ .৭ শতাংশে নেমে এসেছে , পশ্চিমবাংলার অর্থনীতি এবং শিল্প সঠিক দিশায় এগিয়ে চলেছে৷ ’ বৈঠকের পরে অমিত বাবুর দাবি , বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা সব থেকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বন্দরগুলি নিয়ে৷ তিনি বলেন , ‘পোর্ট নিয়ে এঁরা খুব আগ্রহী৷ একজন রাষ্ট্রদূত বলেন যে, ওঁরা নিজেরাই ড্রেজিং -র কাজ করে নেবেন৷ তাঁরা রিফাইনারিতেও বিনিয়োগ করতে চান৷ এরই পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণেও অনেকে আগ্রহী দেখিয়েছেন৷ কনস্ট্রাকশন মেশিনারি এবং মাইনিং মেশিনারি নিয়েও অনেকের আগ্রহ রয়েছে৷ ’
উল্লেখ্য , সম্প্রতি সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল সংস্থা সৌদি আরামকোর প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করেন৷ সৌদি সংস্থাটি রাজ্যে একটি বন্দর ও তেল পরিশোধনাগার গড়ে তুলতে আগ্রহী৷
রাজ্য সরকারও এ বছর পেট্রোকেমিক্যালস হাব হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের সম্ভাবনার কথা বেশি করে প্রচার করার উপর জোর দিয়েছে৷ কিছুদিন আগেই বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের রোড-শো নিয়ে মুম্বইয়ে শিল্পপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হন অমিত মিত্র৷ সেখানেও তিনি রাজ্যে পেট্রোকেমিক্যালস শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনার তথ্য তুলে ধরেন৷
আগামী জানুয়ারিতে কলকাতায় চতুর্থ ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট ’-কে পাখির চোখ করে বিদেশি বিনিয়োগ পেতে ঝাঁপাল রাজ্য৷ শুক্রবার নয়াদিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে ইন্দোনেশিয়া , রোমানিয়া , বুলগেরিয়া , লুক্সেমবার্গ, হাঙ্গেরি , ফিনল্যান্ড , নরওয়ে , নেদারল্যান্ড , সিঙ্গাপুর সহ ৩১টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনাচক্রে মিলিত হন রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী অমিত মিত্র৷ ওই বৈঠকে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা এবং শিল্প বান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করে এঁদের সবাইকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় শিল্প সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান তিনি৷
প্রতি বছর আয়োজিত এই শিল্প সম্মেলেনর গুরুত্ব তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী ব্যাখ্যা দেন বাম জমানার লাল ফিতের ফাঁস থেকে বেরিয়ে রাজ্য কী ভাবে শিল্পোন্নয়নের নতুন দিশারি হয়েছে৷ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সামনে তিনি রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ও সরকারের শিল্পনীতি নিয়ে একটি উপস্থাপনাও পেশ করেন৷ গত তিনটি সম্মেলনে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলির প্রতিনিধিরা যেভাবে ভিড় জমিয়েছিলেন এবং যেভাবে তাঁরা রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উত্সাহ দেখিয়েছেন সেই বর্ণনা শোনার পরে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখান আলোচনায় যোগ দিতে আসা রাষ্ট্রদূতরা৷ বুলগেরিয়া , হাঙ্গেরি , ইন্দোনেশিয়া , সংযুক্ত আরব আমিরশাহী , ইজরায়েল এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা তো আলাদা করে বৈঠকও করেন অমিত মিত্রর সঙ্গে৷ জানতে চান , নিজের নিজের দেশের আগ্রহের শিল্পক্ষেত্রে কিভাবে বিনিয়োগ করা যায় তার বিস্তারিত তথ্য৷ এদিনের বৈঠকের সাফল্যে খুশি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী বলেন , ‘এই প্রথম কোন রাজ্যের ক্ষেত্রে এতো উত্সাহজনক সাড়া মিলেছে৷ আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের ৩১টি দেশের প্রতিনিধি৷ তার মধ্যে ২০ জন রাষ্ট্রদূত৷ তাঁরা রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহী৷
ওঁনারা বারবার বলেছেন , নিজেরাও ওই শিল্প সম্মেলনে আসবেন এবং নিজের দেশের শিল্প প্রতিনিধিদেরও নিয়ে আসবেন৷ রাজ্যের স্থিতিশীল সরকার এবং সেই সরকারের উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন তাঁরা৷ এঁরা সবাই তৈরি হয়েই এসেছিলেন৷ সবার লক্ষ রাজ্যে বিনিয়োগ করা৷ ’ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আগামী বছর ১৬ এবং ১৭ জানুয়ারি কলকাতায় আয়োজিত হবে চতুর্থ বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট৷ রাজ্যের এই শিল্প সম্মেলনের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে অমিত বাবু পুরো কৃতিত্বটাই দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে৷ শিল্পমন্ত্রী বলেন , ‘আমি দিল্লিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম , আপনি কি ম্যাজিক করেছেন যে আমরা এত সাড়া পাচ্ছি৷ দেশের অর্থনীতির সঙ্গে বাংলার অর্থনীতির তফাত্ হল বাংলার অর্থনীতি দ্রুতহারে এগিয়ে চলেছে৷ প্রথম ত্রৈমাসিকে গোটা দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার যখন ৫ .৭ শতাংশে নেমে এসেছে , পশ্চিমবাংলার অর্থনীতি এবং শিল্প সঠিক দিশায় এগিয়ে চলেছে৷ ’ বৈঠকের পরে অমিত বাবুর দাবি , বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা সব থেকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বন্দরগুলি নিয়ে৷ তিনি বলেন , ‘পোর্ট নিয়ে এঁরা খুব আগ্রহী৷ একজন রাষ্ট্রদূত বলেন যে, ওঁরা নিজেরাই ড্রেজিং -র কাজ করে নেবেন৷ তাঁরা রিফাইনারিতেও বিনিয়োগ করতে চান৷ এরই পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণেও অনেকে আগ্রহী দেখিয়েছেন৷ কনস্ট্রাকশন মেশিনারি এবং মাইনিং মেশিনারি নিয়েও অনেকের আগ্রহ রয়েছে৷ ’
উল্লেখ্য , সম্প্রতি সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল সংস্থা সৌদি আরামকোর প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করেন৷ সৌদি সংস্থাটি রাজ্যে একটি বন্দর ও তেল পরিশোধনাগার গড়ে তুলতে আগ্রহী৷
রাজ্য সরকারও এ বছর পেট্রোকেমিক্যালস হাব হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের সম্ভাবনার কথা বেশি করে প্রচার করার উপর জোর দিয়েছে৷ কিছুদিন আগেই বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের রোড-শো নিয়ে মুম্বইয়ে শিল্পপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হন অমিত মিত্র৷ সেখানেও তিনি রাজ্যে পেট্রোকেমিক্যালস শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনার তথ্য তুলে ধরেন৷