অ্যাপশহর

গভীর রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দেওয়াল, চাপা পড়ে মৃত শিশু-সহ ৩

মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। বৃহ্স্পতিবার গভীর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের গোবর্ধনপুরে। সারারাত ধংসস্তুপ সরিয়ে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

EiSamay.Com 28 Aug 2020, 1:53 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। তার উপরে মাটির বাড়ি হওয়ায় আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে যায়। মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের গোবর্ধনপুরে।
EiSamay.Com three person died
প্রতীকী ছবি


সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমতে যায় ওই পরিবার। রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকাই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বাড়ির দেওয়াল। পরিবারের পাঁচজন সেই বাড়ির মধ্যে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে গৃহকর্তী টগরা বিবি, তাঁর মেয়ে ও নাতনি দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান। বাকি দু’জন আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন। প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। সারারাত ধংসস্তুপ সরিয়ে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন, ওই তিনজন উদ্ধারের আগে মারা যায়।

আরও পড়ুন: দলের ছাত্রশাখাকেও আন্দোলনে সামিল করছেন মমতা

শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘটনার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়। পুলিশ দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, দেহগুলি ময়নাতদন্ত করানো হবে না, এই বলে দেহগুলি আটকে রাখে তাঁরা। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ প্রথমে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। তারা গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করলে উত্তেজিত হয়ে যায় তারা। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, সরকারি আবাস যোজনার আবেদন করা সত্ত্বেও তাঁদের সরকারি অনুদান দেওয়া হয়নি। তাই ভাঙা বাড়িতে বাস করতে হচ্ছিল। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার শহরে বেলেঘাটা মেন রোডে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। স্থানীয় সূত্রের খবর, ৫৫এফ বেলেঘাটা মেন রোডের ওই বাড়ির ছাদে বড় বড় গাছ গজিয়ে উঠেছে। বাড়িটিতে দু’টি ঘর। এ দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। তাঁর জানান, বাড়ির ভিতরের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন বছর কুড়ির ঋষভ সাহা। সামনের ঘরে ছিলেন তাঁর বাবা রাজেশ সাহা এবং ঠাকুরমা প্রতিমা সাহা (৭৫)। ঋষভ বেরিয়ে আসতে পারলেও রাজেশবাবু এবং প্রতিমাদেবী ছাদের ভাঙা অংশের নীচে চাপা পড়ে যান। পরে দমকল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে এন আর এসে নিয়ে যায়। সেখানে প্রতিমাদেবীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল