অ্যাপশহর

রাস্তা নাকি নদী? বর্ধমানে এ কী অবস্থা!

বর্ধমান শহরে নার্সিং কলেজের সামনে থেকে মেডিক্যাল কলেজ ও হোস্টেলে যাওয়ার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এমনিতেই এই রাস্তায় সারা বছর জল জমে থাকে। এখন মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় নরক গুলজার অবস্থা।

EiSamay.Com 18 Jul 2019, 11:31 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নার্সিং কলেজের সামনের রাস্তা বেহাল। এই কলেজ থেকে মেডিক্যাল কলেজ যাওয়ার রাস্তা যাতায়াতের একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে। রাস্তার ধারের দোকানিদের বিক্রিবাটা শিকেয়। বহুবার এ নিয়ে দরবার করেও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী থেকে কলেজের পড়ুয়াদের। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হতে চলেছে।
EiSamay.Com road


বর্ধমান শহরে নার্সিং কলেজের সামনে থেকে মেডিক্যাল কলেজ ও হোস্টেলে যাওয়ার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এমনিতেই এই রাস্তায় সারা বছর জল জমে থাকে। এখন মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় নরক গুলজার অবস্থা। রাস্তার পাশে থাকা পুরসভার ভ্যাট থেকে উপচে পড়ছে ময়লা-আবর্জনা। নার্সিং কলেজের সামনের অবস্থাটা খুব করুণ। জলের সঙ্গে থকথকে কাদা। কলেজে পড়তে আসা মেয়েরা প্রতিদিনই সমস্যার মধ্যে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও লাভ হয়নি। এলাকার বাসিন্দারাও বিষয়টি নিয়ে বহুবার পুরসভা থেকে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন। তারপরেও কোনও ফল মেলেনি বলেই অভিযোগ।

যাঁদের দোকান একেবারে রাস্তার ধারে, কোনও গাড়ি গেলে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। তাঁদের ব্যবসা লাটে উঠেছে। আগে ক্রেতারা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে খাবার নিতেন। এখন খাবার কেনার সময় রাস্তা দিয়ে গাড়ি গেলে জমা জল ছিটকে তাঁদের গায়ে লাগছে। এলাকার এক ব্যবসায়ী শেখ কাঞ্চন বলেন, 'আমাদের অবস্থা এমনই খারাপ যে, বিক্রিবাটা আদৌ হবে কি না বুঝতে পারি না। রাস্তার জল পেরিয়ে অনেকেই আর আসছেন না। কোনওক্রমে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন।' শুভাশিস দে নামে আর এক ব্যবসায়ী বলেন, 'একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। সবার কাছে আমরা দরবার করেছি বহুবার, কিছুই হয়নি। আমাদের এলাকার কাউন্সিলরের কথা বাদই দিন।'

এই এলাকা ২৯ নম্বর ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার বসির আহমেদ ওরফে বাদশার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সুশান্ত প্রামানিক বলেন, 'রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, এটা আমরাও জানি। নার্সিং কলেজের মেয়েরাও বহুবার অভিযোগ করেছেন। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ থেকে আমরা সবাই আলোচনা করেছিলাম। সেখানে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও ছিলেন।' পুরসভার উপর দায় চাপিয়ে সুশান্ত বলেন, 'বিষয়টি পুরসভাকেও জানানো হয়েছিল। পরে পুরসভা দু'মাসের মধ্যে রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু, এখনও কাজ হল না।' বর্ধমান পুরসভা এখন প্রশাসকের অধীনে। পুরসভার সেক্রেটারি জয়রঞ্জন সেন বলেন, 'রাস্তার বিষয়টি আমরা জানার পরই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়েও গিয়েছে। দু'-চার দিনের মধ্যেই শুরু হবে রাস্তার কাজ।'

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল