এই সময় : বছর আড়াইয়ের ভাইকে নিয়ে সাড়ে চার বছরের দিদি গিয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (Anganwadi Center Anganwadi Center)। সেখানে খিচুড়ি খেয়ে ঘুরতে ঘুরতে তারা চলে আসে গ্রামেরই গাছ-গাছালি ঘেরা একটি পুকুরের পাড়ে। এর কিছু পরেই দুই শিশুর দেহ জলে ভাসতে দেখা যায়। দু'জনকেই কালনা মহকুমা হাসপাতালে (Kalna Sub Divisional & Super Speciality Hospital) নিয়ে আনা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কালনার নান্দাই বাগানপাড়ায়। মৃত দিদি ও তার ভাইয়ের নাম দেবিকা টুডু ও দীপ টুডু। কী ভাবে তারা জলে তলিয়ে গেল তা কেউ দেখতে পায়নি। তবে পুকুরপাড়ে সাবান ও জামাকাপড় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের অনুমান, পুকুরে স্নান করতে নেমে কোনও ভাবে তলিয়ে যায় তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই ভাই-বোনকে একসঙ্গেই ঘুরতে দেখা যেত। এদিন সকালে তারা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়িও খেয়ে আসে। বাবা জেনা টুডু সাব-মার্সিবল বসানোর কাজ করেন। এদিন সকালে কালনারই বৈদ্যপুরে সেই কাজের জন্য বেরিয়ে যান তিনি। মা মিনতি টুডু খেতমজুর। তিনিও সকালে কাজে বেরিয়ে পড়েন। দাদু বলাই টুডু ও ঠাকুমা দুলারি টুডু খেতমজুরের কাজ করেন। তাঁরাও বাড়ি ছিলেন না এদিন। বাড়িতে ছিল দেবিকা ও দীপের বড়দিদি বছর নয়েকের মনীষা।
বিষয়টি জেনে শোকে ভেঙে পড়েন বাবা জেনা টুডু। বলেন, ''এদিন সকালে কাজে বেরিয়ে যাই। আমার এক সঙ্গী এদিন কাজে আসেনি। ফোন করে সে বলল, ছেলে আর মেয়ের শরীর খুব খারাপ। তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসার কথা বলে। বাড়ি এসে দেখি, দু'জনের নিথর দেহ উঠোনে পড়ে রয়েছে।'' জানান, বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। তবে কেউ দেখেনি। তাই ঠিক কী ঘটেছিল তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। সকলে বাড়ির বড়রা সবাই কাজে চলে যাওয়ায় ভাই-বোনের দেখভাল করত দিদি মনীষা। এমন ঘটনার পর বাকরুদ্ধ সে।
দেহ জলে ভাসতে প্রথম দেখেন প্রতিবেশী বিকাশ সরেন। তিনি বলেন, ''আমার মেয়ে পুকুরের দিকে দেখিয়ে বলে, দেখ বাবা কী ভাসছে। দেখি ছোট মতো কিছু একটা ওঠানামা করছে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারি, কোনও শিশু।'' স্থানীয়দের দাবি, জলে নেমে দেবিকাকে উদ্ধার করে তার পেট থেকে জল বের করা হয়। মিনিট পাঁচেক পরে ভেসে ওঠে দীপেরও দেহ। দু'জনকেই তড়িঘড়ি নিয়ে আনা হয় হাসপাতালে। কিন্তু লাভ হয়নি। দাদু বলাই টুডু বলেন, ''ভাবতেই পারছি না নাতি-নাতনি আর নেই। কী করব, পেটের তাগিদেই আমাদের সবাইকে কাজে যেতে হয়। ওরা যে এ ভাবে পুকুরের জলে নেমে পড়বে, ভাবতে পারিনি।''
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই ভাই-বোনকে একসঙ্গেই ঘুরতে দেখা যেত। এদিন সকালে তারা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়িও খেয়ে আসে। বাবা জেনা টুডু সাব-মার্সিবল বসানোর কাজ করেন। এদিন সকালে কালনারই বৈদ্যপুরে সেই কাজের জন্য বেরিয়ে যান তিনি। মা মিনতি টুডু খেতমজুর। তিনিও সকালে কাজে বেরিয়ে পড়েন। দাদু বলাই টুডু ও ঠাকুমা দুলারি টুডু খেতমজুরের কাজ করেন। তাঁরাও বাড়ি ছিলেন না এদিন। বাড়িতে ছিল দেবিকা ও দীপের বড়দিদি বছর নয়েকের মনীষা।
বিষয়টি জেনে শোকে ভেঙে পড়েন বাবা জেনা টুডু। বলেন, ''এদিন সকালে কাজে বেরিয়ে যাই। আমার এক সঙ্গী এদিন কাজে আসেনি। ফোন করে সে বলল, ছেলে আর মেয়ের শরীর খুব খারাপ। তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসার কথা বলে। বাড়ি এসে দেখি, দু'জনের নিথর দেহ উঠোনে পড়ে রয়েছে।'' জানান, বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। তবে কেউ দেখেনি। তাই ঠিক কী ঘটেছিল তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। সকলে বাড়ির বড়রা সবাই কাজে চলে যাওয়ায় ভাই-বোনের দেখভাল করত দিদি মনীষা। এমন ঘটনার পর বাকরুদ্ধ সে।
দেহ জলে ভাসতে প্রথম দেখেন প্রতিবেশী বিকাশ সরেন। তিনি বলেন, ''আমার মেয়ে পুকুরের দিকে দেখিয়ে বলে, দেখ বাবা কী ভাসছে। দেখি ছোট মতো কিছু একটা ওঠানামা করছে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারি, কোনও শিশু।'' স্থানীয়দের দাবি, জলে নেমে দেবিকাকে উদ্ধার করে তার পেট থেকে জল বের করা হয়। মিনিট পাঁচেক পরে ভেসে ওঠে দীপেরও দেহ। দু'জনকেই তড়িঘড়ি নিয়ে আনা হয় হাসপাতালে। কিন্তু লাভ হয়নি। দাদু বলাই টুডু বলেন, ''ভাবতেই পারছি না নাতি-নাতনি আর নেই। কী করব, পেটের তাগিদেই আমাদের সবাইকে কাজে যেতে হয়। ওরা যে এ ভাবে পুকুরের জলে নেমে পড়বে, ভাবতে পারিনি।''