অ্যাপশহর

অজয়ের তীরে চড়ুইভাতিতে ডিজে-র দৌরাত্ম্য

আগে চড়ুইভাতি মানে ছিল খাওয়াদাওয়া আর জমিয়ে আড্ডা। তবে যত দিন যাচ্ছে সেই ছবি পাল্টাতে শুরু করেছে। এখন পিকনিক মানে বড় বড় বক্স আর সাজানো মাইকের চোঙ। কোথাও আবার ডিজে। শব্দের তাণ্ডবে একে অপরের কথা শোনাই দায়, আড্ডা তো দূরে থাক। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে বাঙালির চড়ুইভাতির মরশুম।

EiSamay 14 Jan 2019, 1:05 pm
এই সময়, কাটোয়া: আগে চড়ুইভাতি মানে ছিল খাওয়াদাওয়া আর জমিয়ে আড্ডা। তবে যত দিন যাচ্ছে সেই ছবি পাল্টাতে শুরু করেছে। এখন পিকনিক মানে বড় বড় বক্স আর সাজানো মাইকের চোঙ। কোথাও আবার ডিজে। শব্দের তাণ্ডবে একে অপরের কথা শোনাই দায়, আড্ডা তো দূরে থাক। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে বাঙালির চড়ুইভাতির মরশুম। রবিবারও কাটোয়ার অজয় নদের ধারে চোখে পড়ল পিকনিকের ছবি। সেই সঙ্গে দেখা গেল পিকনিক ঘিরে শব্দদানবের তাণ্ডব। ভাগীরথীর ধারে নয়াচর বা পানুহাট এলাকাতেও পিকনিক ঘিরে শব্দ দূষণের ছবি দেখা গিয়েছে এদিন। অন্য দিকে, নৌকা নিয়ে বক্স বাজিয়ে ভাগীরথীর বুকেও পিকনিক করতে দেখা যায় বেশ কয়েকটি দলকে।
EiSamay.Com Capture3


কাটোয়া শহরের বাইরে অজয় নদের ধারে প্রতি বছরই প্রচুর মানুষ চড়ুইভাতি করতে আসেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২৫ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে পিকনিকের ধুম। সেই সঙ্গেই তারস্বরে বক্স বাজানো। অন্যান্য দিনের তুলনায় রবিবার অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে অজয় তীরবর্তী এলাকায় পিকনিক করতে দেখা যায়। এদিন কাটোয়াতে কম করেও ১৫টি দলকে দেখা যায় যারা পিকনিক করতে এসেছে। তার মধ্যে একাংশ কাটোয়া শহরেরই বাসিন্দা। পানুহাট, দাঁইহাট এলাকা থেকেও অনেকে এসেছিলেন। অজয়ের বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় যে পিকনিক হচ্ছে কাটোয়া শহর থেকেই তার আন্দাজ করা যাচ্ছিল এদিন। কারণ একটাই, তীব্র শব্দ। পিকনিকে উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল শহর থেকেও। পিকনিক স্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি দলই বড় বড় বক্স ও মাইক সাজিয়ে নিয়ে পিকনিক করতে এসেছে।

প্রতিটি দল কম করেও চারটি বক্স ও গোটা আটেক করে মাইক বাজিয়ে চড়ুইভাতি করছে। তার শব্দে এলাকায় টেকা দায়। শব্দদূষণের কথা বলতে রুষ্ট হয় পিকনিকে আসা লোকজন। তাদের জবাব, 'সবেতেই এখন সমস্যা। আমরা তো রোজ বাজাচ্ছি না। একদিন আনন্দ করতে এসে একটু বক্স বাজাবো না?' স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই যন্ত্রণা চলছে প্রত্যেক রবিবারই। ছুটির দিনে পিকনিক করতে এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বক্স বাজিয়ে চলছে নাচ-গান। দূষণ মাত্রার পরোয়া করছে না কেউই। এ বিষয়ে কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল বলেন, 'নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকেরই একটা দায়িত্ব আছে এটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। তাই যাঁরা এ ভাবে শব্দ করছেন তাঁদের একবার ভাবা উচিত বিষয়টা। আমরা আবারও শব্দদূষণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করব। তারপর আইনি পদক্ষেপের পথে যাওয়া হবে।' কাটোয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দূষণ ছড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি ডিজে মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল