এই সময়, বর্ধমান: শহরের ডাম্পিং গ্রাউন্ড এখন বিভীষিকা। আশপাশের মানুষদের থাকাই এখন দায়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড উপচে ময়লা পড়ছে রাস্তায়। তার মধ্যেই আবর্জনা ফেলে যাচ্ছেন পুরসভার ট্র্যাক্টরচালকরা। সেই আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়েছে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে। পচন ধরছে আবর্জনার স্তূপে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বর্ধমান শহর থেকে কিছুটা দূরে কৃষি খামার এলাকায় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড। সেখানে এখনও গড়ে ওঠেনি প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাঁচিলের রক্ষণাবেক্ষণও হয় না ঠিক ভাবে। এলাকার বাসিন্দা সুখদেব সাহা বলেন, 'আমরা কী ভাবে বেঁচে আছি তা আমরাই জানি। বহুবার পুরসভাকে জানিয়েছি। কালনা-বর্ধমান রাস্তা অবরোধ হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।' শর্মিষ্ঠা সাহা নামে এক বাসিন্দা বলেন, 'এত দুর্গন্ধ যে, বমি হয়ে যাচ্ছে। খেতে পারি না আমরা গন্ধের জেরে। বৃষ্টিতে আরও সমস্যা বাড়ে। বহুদিনের সমস্যা এটা। সিপিএম আমলেও কিছু হয়নি, তৃণমূলের আমলেও কিছু হল না।'
ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বিপরীতে কৃষিখামার ছাড়াও এখানে রয়েছে মাটি-তীর্থ কৃষি কথার প্রাঙ্গণ। প্রতি বছর মাটি উৎসবের আয়োজন করা হয় এখানেই। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগে অবশ্য ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। তবে বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও গিয়েছিল একবার। বছর দুয়েক আগে তিনি মঞ্চ থেকেই জেলাশাসক সমেত বর্ধমান পুরসভাকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলে যান। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির যে কোনও পরিবর্তন হয়নি তা এলাকায় এলেই স্পষ্ট হবে। রাস্তা পার হওয়ার সময়ে নাকে চাপা দিয়ে যেতে হচ্ছে। অনির্বাণ ঘোষ নামে এক পথচারী বলেন, 'এখন অবশ্য একটু কষ্ট কম হয়। মুখে মাস্ক থাকায় গন্ধটা কম আসছে। এই রাস্তা দিয়ে দিনে তিন-চারবার আমাদের যাতায়াত করতে হয়। এত গন্ধ যে, এই এলাকা পার হওয়ার সময়ে দম বন্ধ করে যাই আমরা।'
নাম না প্রকাশের শর্তে বর্ধমান পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, 'শহর যত বড় হবে তার আবর্জনাও তত বাড়বে। শহরে এত আবাসন হয়েছে, লোকসংখ্যা প্রায়ই বাড়ছে। তার জঞ্জাল জমছে। আধুনিক পদ্ধতিতে এই জঞ্জাল নষ্ট করা বা পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা না হলে কারও কিছু করার নেই। জঞ্জালের পাহাড় রোজই বাড়বে।' শুধু দুর্গন্ধ বা রাস্তায় আবর্জনা জমে থাকছে তা নয়, এলাকায় মশা, মাছি, পোকামাকড়ের উপদ্রবও বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার প্রশাসনকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অমিত গুহ বলেন, 'ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যা আছে। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য।'
ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বিপরীতে কৃষিখামার ছাড়াও এখানে রয়েছে মাটি-তীর্থ কৃষি কথার প্রাঙ্গণ। প্রতি বছর মাটি উৎসবের আয়োজন করা হয় এখানেই। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগে অবশ্য ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। তবে বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও গিয়েছিল একবার। বছর দুয়েক আগে তিনি মঞ্চ থেকেই জেলাশাসক সমেত বর্ধমান পুরসভাকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলে যান। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির যে কোনও পরিবর্তন হয়নি তা এলাকায় এলেই স্পষ্ট হবে। রাস্তা পার হওয়ার সময়ে নাকে চাপা দিয়ে যেতে হচ্ছে। অনির্বাণ ঘোষ নামে এক পথচারী বলেন, 'এখন অবশ্য একটু কষ্ট কম হয়। মুখে মাস্ক থাকায় গন্ধটা কম আসছে। এই রাস্তা দিয়ে দিনে তিন-চারবার আমাদের যাতায়াত করতে হয়। এত গন্ধ যে, এই এলাকা পার হওয়ার সময়ে দম বন্ধ করে যাই আমরা।'
নাম না প্রকাশের শর্তে বর্ধমান পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, 'শহর যত বড় হবে তার আবর্জনাও তত বাড়বে। শহরে এত আবাসন হয়েছে, লোকসংখ্যা প্রায়ই বাড়ছে। তার জঞ্জাল জমছে। আধুনিক পদ্ধতিতে এই জঞ্জাল নষ্ট করা বা পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা না হলে কারও কিছু করার নেই। জঞ্জালের পাহাড় রোজই বাড়বে।' শুধু দুর্গন্ধ বা রাস্তায় আবর্জনা জমে থাকছে তা নয়, এলাকায় মশা, মাছি, পোকামাকড়ের উপদ্রবও বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার প্রশাসনকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অমিত গুহ বলেন, 'ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যা আছে। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য।'