অ্যাপশহর

সুড়ঙ্গ দেখার ভিড় সামালে বাঁশ বেঁধে বেড়া পুলিশের

এদিকে আজ সোমবার কলকাতা থেকে আসছে পুরাতত্ত্ব দলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বেলা এগারোটা নাগাদ ওই দলের সদস্যরা পৌঁছে যেতে পারেন মাহাতা। ফলে মানুষের আরও আগ্রহ বাড়বে। তাই পুলিশ কোনও বাড়তি ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি।

EiSamay.Com 10 Feb 2020, 11:06 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মাটির নীচ থেকে সুড়ঙ্গ জেগে উঠতেই যেন মেলা বসে গিয়েছে ভাতারের মাহাতা গ্রামে। প্রতি মুহূর্তে পিল পিল করে আসছে মানুষ। সেই ভিড় ঠেকাতে এলাকা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিল পুলিশ। সুড়ঙ্গ দেখতে গিয়ে মাটির ধস নেমে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেই আশঙ্কাতেই পুলিশের এই বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
EiSamay.Com ২২
.


এদিকে আজ সোমবার কলকাতা থেকে আসছে পুরাতত্ত্ব দলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বেলা এগারোটা নাগাদ ওই দলের সদস্যরা পৌঁছে যেতে পারেন মাহাতা। ফলে মানুষের আরও আগ্রহ বাড়বে। তাই পুলিশ কোনও বাড়তি ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি।

ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গুজবও। কখনও শোনা গিয়েছে, ভিতরে রয়েছে গুপ্তধন। কেউ আবার মোহর পাওয়ার গল্পও শুনিয়েছে। সব মিলিয়ে মাহাতা গ্রামে জিয়ারুল ওরফে আপেল মল্লিকের বাড়ি তৈরি এখন বিশ বাঁও জলে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আপেল বলেন, ‘আমার কী হবে জানি না। পুলিশ জায়গার দখল নিয়েছে। কলকাতা থেকে বাবুরা আসছেন। তাঁরা দেখে সব পরীক্ষা করার পরে সিদ্ধান্ত নেবে ব্লক প্রশাসন। আমি এখানে আর বাড়ি করতে পারব কিনা জানতে পারব। কোনও রকমে টাকা-পয়সা জোগাড় করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছিলাম। সেখানে ভিত খুঁড়তে গিয়ে এত কাণ্ড। কাল থেকে এত মানুষ আসছে যে এলাকায় মেলা বসে গিয়েছে।’

তবে এই সুড়ঙ্গে ইতিহাস লুকিয়ে থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন ইতিহাসবিদরা। পুরাতত্ত্ব গবেষেক সর্বজিৎ যশ বলেন, ‘অজয় আর কুনুরের সংযোগস্থলে অনেক ইতিহাস লুকিয়ে আছে। কয়েক বছর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক যখন এলাকায় খননকাজ চালান, তখন সামুদ্রিক মাছের হাড়, পোড়া চাল এ সব পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো পরীক্ষার পরে জানা গিয়েছিল, দু’হাজার বছরের পুরোনো। এই এলাকার সঙ্গে সমুদ্রের যোগাযোগ ছিল। বাণিজ্যও হত জলপথে। হুসেন শাহের যে বিরাট সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছিল, তাঁর তৈরি মসজিদ আজও রয়েছে। মাহাতে থেকে তা খুব দূরে নয়। যেটুকু বোঝা গিয়েছে, গোটা এলাকা জুড়েই কিন্তু মাটির নীচে এই ইটের স্ট্রাকচার রয়েছে। ফলে শুধু যেখানে সুড়ঙ্গ বেরিয়েছে, সেখানেই শুধু নয়, লাগোয়া অন্যান্য জায়গাতেও খোঁড়ার প্রয়োজন রয়েছে। আশাকরি পুরাতত্ত্ব বিভাগ সেটা করবে।’ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রত্ন গবেষক রমেন সর বলেন, ‘যতটুকু দেখে মনে হচ্ছে, এর ইতিহাস আড়াই থেকে তিনশো বছরের বেশি পুরোনো হবে না। এখানে একসময় ইংরেজদের বসবাস ছিল। এটা তারই কোনও কাঠামো হতে পারে।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল