অ্যাপশহর

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে লরি, মন্তেশ্বরে মৃত চালক-খালাসি

ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা দুই ভাই মুকান্দর ও সিকান্দর দুর্গাপুরের একটি নির্মাণ সামগ্রী সংস্থায় কাজ করতেন। মালবহনকারী গাড়ির চালক-খালাসির কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁরা।

EiSamay.Com 23 Jan 2020, 11:17 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভোররাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লোহার রড বোঝাই লরি পড়ে গেল রাস্তা লাগোয়া ডোবায়। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে লরির চালক, খালাসি দু’জনেরই। মৃত চালকের নাম সিকান্দর আনসারি (২৮)। খালাসি মুকান্দর আনসারি (১৯) সিকান্দরের ভাই। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে পুলিশ দু’জনের দেহ উদ্ধার করে। বুধবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে মন্তেশ্বর থানার মামুদপুরে। চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান। কী কারণে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে গেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
EiSamay.Com ১১
.


ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা দুই ভাই মুকান্দর ও সিকান্দর দুর্গাপুরের একটি নির্মাণ সামগ্রী সংস্থায় কাজ করতেন। মালবহনকারী গাড়ির চালক-খালাসির কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা রড বোঝাই লরি নিয়ে দুর্গাপুর থেকে রওনা হন বর্ধমান, কুসুমগ্রাম, নাদনঘাট ও নদিয়ার কিছু জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বুধবার ভোর চারটে নাগাদ রড বোঝাই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মন্তেশ্বরের মামুদপুরে রাস্তার পাশে একটি ডোবায় পড়ে যায়। সিকান্দরের শরীর পাঁকের মধ্যে কিছুটা গেঁথে যায়। তাঁর নাকের উপর থেকে মাথার অংশ জলের উপরে ছিল। তা দেখে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধার করা হয় মুকান্দরের দেহও। স্থানীয় বাসিন্দা কমল শেখ বলেন, ‘একটা বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। সকলে বাইরে বেরিয়ে দেখি, লোহার রড বোঝাই লরি রাস্তার পাশে ডোবার মধ্যে উল্টে গিয়েছে। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম, হয়তো চালক ও খালাসি পালিয়ে গিয়েছে। পরে দেখি, জলের মধ্যে এক জনের মাথা দেখা যাচ্ছে। আর এক জনের দেহও উদ্ধার হয়। মৃত মুকান্দর ও সিকান্দরের আত্মীয় আসরাফ আনসারি বলেন, ‘দুই ভাই ঝাড়খণ্ড থেকে এখানে এসে গাড়ি চালানোর কাজ করত। বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী সংস্থার মালপত্র পৌঁছে দিত।’

স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য এই দুর্ঘটনার মধ্যে অন্য বিপদের আশঙ্কা করছেন। তাঁরা জানান, শীতের দিনে বিশেষ করে ভোরের দিকে চালক ও খালাসিরা ঘুমিয়ে পড়ছেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। রাস্তার ধারে বাড়ি হলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাগ্যিস ডোবায় পড়েছিল। কোনও বাড়িতে ধাক্কা মারলে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। শীতকালে ভোরের দিকে চালকরা যাতে ঘুমিয়ে না পড়েন, তার জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে চালকদের চা, জল দেওয়ার ব্যবস্থা হয় বিভিন্ন থানা এলাকায়। কালনা মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বিশেষ বিশেষ জায়গায় চালকদের চা, জল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কী ভাবে লরিটি দুর্ঘটনার শিকার হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল