অ্যাপশহর

নানা কাহিনি নিয়ে আজও জমজমাট কালনার জগদ্ধাত্রী

মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে ৩০০-৪০০ বছরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো। ওই সমস্ত পুজোকে ঘিরেই আনন্দে মেতে ওঠেন কালনার ধাত্রীগ্রাম, বৈদ্যপুর, মীরহাটের বাসিন্দারা।

EiSamay.Com 4 Nov 2019, 4:17 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে ৩০০-৪০০ বছরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো। ওই সমস্ত পুজোকে ঘিরেই আনন্দে মেতে ওঠেন কালনার ধাত্রীগ্রাম, বৈদ্যপুর, মীরহাটের বাসিন্দারা। কোথাও পুজো শুরু হয় সপ্তমী থেকে কোথাও আবার নবমীর দিনেই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হয়। পুজো ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনিও। অনেক জায়গায় পুজো ঘিরে যাত্রা, বাউল গানের আসর বসে। চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
EiSamay.Com Kalna celebrates Jagadhhatri Puja
জগদ্ধাত্রীর আরাধনা।


শনিবার রাতে ধাত্রীগ্রাম ফুটবল ময়দানের একটি পুজোর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এই পুজোয় দেড় হাজার মালসায় ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে। পরে তা বিলি করা হয়। প্রায় ৩৫০ বছরের প্রাচীন ধাত্রীগ্রাম সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর একটা ইতিহাস রয়েছে। শোনা যায়, বর্তমানে এই পুজো সর্বজনীন হলেও আসলে তা ছিল পারিবারিক পুজো। পুজোর প্রচলন করেন চন্দ্রপতি বংশের পণ্ডিত রামভদ্র। তার পূত্রবধূ পুকুরে স্নান করতে গিয়ে দেবী মূর্তির প্রতিচ্ছবি দেখেন। তিনি সেই ছবি সিঁদুর দিয়ে ঘড়ায় এঁকে নিয়ে আসেন। ওই রাতেই দেবীর স্বপ্নাদেশ পান রামভদ্র। পরের দিন সকালে পরিবারের সকলের সঙ্গে আলোচনার সময় তাঁর পূত্রবধূ দেবীকে দর্শনের কাহিনি জানান। শুরু হয় পুজো। এখানে দেবী থাকেন ঘটকমুখী সিংহের উপর। বৈদ্যপুর ও মীরহাটে মূল উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। সেখানে বেশ কয়েকটি পারিবারিক পুজো যেমন রয়েছে তেমন সর্বজনীন পুজোও রয়েছে।

বৈদ্যপুরের রাসতলা ও তেলিপাড়ার পুজোয় রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার। তেলিপাড়ার পুজোর বিশেষত্ব রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারাই যাত্রাপালা লিখে নিজেরাই তা মঞ্চস্থ করেন। মীরহাটে বিশাল উচ্চতার জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজোয় প্রতিমার উচ্চতা কখনও তিন ফুটের বেশি করা হয় না। সেই দিকটাতে বিশেষ ভাবে নজর রাখা হয়। প্রতিমা তৈরির সময় রীতিমতো ফিতে দিয়ে মেপে দেখা হয় উচ্চতা। কথিত আছে, দেবীর স্বপ্নাদেশেই এমনটা করে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। আগে পঞ্চমুণ্ডির আসনে দেবীর পুজো হত। দেবীর বাহন সিংহের পায়ের কাছে থাকে হাতির মুখ। এর কারণ হিসেবে পরিবারের সদস্যরা জানান, দেবী করিসুর নামে এক অসুরকে বধ করেছিলেন। তার মুখ ছিল হাতির মুখের মতো। সেই কারণেই পদতলে রাখা থাকে হাতির মুখ। ভোগে মাছ-ভাতের সঙ্গে নিবেদন করা হয় ফ্রায়েড রাইস, মাছের চপও।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল