এই সময়: পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। রবিবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া রিপোর্টে এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ জন। এর মধ্যে জামালপুর ব্লক এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২। এই নিয়ে জেলায় মোট ৩৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ ২৩০ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ১২৭। জেলায় মারা গিয়েছেন ২ জন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। এখনও অবধি জেলায় ৩৩ হাজার ১০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। টেস্ট করানো হয়েছে ৩১ হাজার ৯ জনের। এখন প্রতিদিন গড়ে ৬৫০-৭০০ জনের পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দপ্তরের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লক্ষণহীন রোগীদের নিয়ে সমস্যা সবচেয়ে বেশি।
ক'দিন আগেও জেলায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এখন সেখানে জেলায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৮০। যার মধ্যে শুধু বর্ধমান পুর এলাকায় রয়েছে ১০টি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, 'প্রতিদিনই আমরা জেলাজুড়ে টেস্ট করাচ্ছি। মহকুমা ও ব্লক হাসপাতালেও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। টেস্ট ছাড়া লক্ষণহীন বা লক্ষণযুক্ত রোগীদের বোঝার কোনও উপায় নেই। সামাজিক বিধি মানতেই হবে। মাস্ক পরতেই হবে। সরকারি ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।'
এদিকে করোনার প্রভাব পড়েছে বর্ধমানের 'লাইফ লাইন' ডাক্তারপাড়া খোসবাগানেও। ওই এলাকা লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। খোসবাগানে ঢোকার বিভিন্ন মুখ ঘিরে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া দিয়ে। আগামী ৭ দিন এই ব্যবস্থা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, 'পরিস্থিতি বিচার করেই ৭ দিনের জন্য বেশ কিছু আক্রান্ত এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে। কয়েকজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। মানুষের ভালোর জন্যই এই ব্যবস্থা। চিকিৎসা পরিষেবা পেতে কারও কোনও সমস্যা হবে না। সরকারি পরিষেবা সবই সচল রয়েছে।'
শুক্রবারই বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ২ রোগীর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁরা ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে। কাটোয়া ও মুর্শিদাবাদের ওই দুই বাসিন্দা ভর্তি হন ১৩ তারিখ। তাঁদের এক জন অনাময়ে ভর্তি হওয়ার আগে খোসবাগানের এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তার পরই কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে অনাময়ের ১০ জন চিকিৎসক, ১৪ জন নার্স সমেত কয়েকজন কর্মীকে।
তবে এত কিছুর পর এখনও বহু মানুষ সচেতন নন। এখনও চায়ের দোকান, বাজারে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। বিক্রির ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারিতেও খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেবল মাইকে প্রচার করেই পুরসভা দায়িত্ব পালন করছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। এখনও অবধি জেলায় ৩৩ হাজার ১০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। টেস্ট করানো হয়েছে ৩১ হাজার ৯ জনের। এখন প্রতিদিন গড়ে ৬৫০-৭০০ জনের পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দপ্তরের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লক্ষণহীন রোগীদের নিয়ে সমস্যা সবচেয়ে বেশি।
ক'দিন আগেও জেলায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এখন সেখানে জেলায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৮০। যার মধ্যে শুধু বর্ধমান পুর এলাকায় রয়েছে ১০টি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, 'প্রতিদিনই আমরা জেলাজুড়ে টেস্ট করাচ্ছি। মহকুমা ও ব্লক হাসপাতালেও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। টেস্ট ছাড়া লক্ষণহীন বা লক্ষণযুক্ত রোগীদের বোঝার কোনও উপায় নেই। সামাজিক বিধি মানতেই হবে। মাস্ক পরতেই হবে। সরকারি ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।'
এদিকে করোনার প্রভাব পড়েছে বর্ধমানের 'লাইফ লাইন' ডাক্তারপাড়া খোসবাগানেও। ওই এলাকা লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। খোসবাগানে ঢোকার বিভিন্ন মুখ ঘিরে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া দিয়ে। আগামী ৭ দিন এই ব্যবস্থা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, 'পরিস্থিতি বিচার করেই ৭ দিনের জন্য বেশ কিছু আক্রান্ত এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে। কয়েকজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। মানুষের ভালোর জন্যই এই ব্যবস্থা। চিকিৎসা পরিষেবা পেতে কারও কোনও সমস্যা হবে না। সরকারি পরিষেবা সবই সচল রয়েছে।'
শুক্রবারই বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ২ রোগীর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁরা ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে। কাটোয়া ও মুর্শিদাবাদের ওই দুই বাসিন্দা ভর্তি হন ১৩ তারিখ। তাঁদের এক জন অনাময়ে ভর্তি হওয়ার আগে খোসবাগানের এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তার পরই কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে অনাময়ের ১০ জন চিকিৎসক, ১৪ জন নার্স সমেত কয়েকজন কর্মীকে।
তবে এত কিছুর পর এখনও বহু মানুষ সচেতন নন। এখনও চায়ের দোকান, বাজারে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। বিক্রির ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারিতেও খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেবল মাইকে প্রচার করেই পুরসভা দায়িত্ব পালন করছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর।