এই সময়, বর্ধমান: রাজ্য রাজধানী কলকাতা থেকে মেরেকেটে দূরত্ব একশো কিমি। এলাকার খ্যাতিও রয়েছে বর্ধিষ্ণু হিসাবে। সেখানেই স্রেফ সন্দেহের বশে একটি পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কটের অভিযোগ উঠেছে জামালপুর থানার আবুজহাটি এক পঞ্চায়েতের মধ্যমপাড়া বারোয়ারি কমিটির বিরুদ্ধে। বয়কটের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তাপস ঘোষ।
জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান সবার কাছেই জানিয়েছেন তাঁর অভিযোগ। সপ্তাহখানেক আগে অভিযোগ দায়ের হলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ''এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। একটি পরিবারকে শুধু সন্দেহের বসে সামাজিক ভাবে বয়কট করা যায় না কি? এদের বিরুদ্ধে বিডিও, প্রধানদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'' জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার বক্তব্য, ''পরিবারটিকে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। এলাকার সমস্যা। পঞ্চায়েতের উচিত সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো।''
লিখিত অভিযোগে তাপস জানিয়েছেন, তাঁরা এক বছরের উপর সামাজিক বয়কটের শিকার। বলেন, ''এক বছর আগে আমাকে গ্রামের বারোয়ারি কমিটি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকার কোনও কাজে আমি অংশ নিতে পারব না। এর কারণ জানানো হয়নি। আমার ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।'' কিন্তু কারণ কী থাকতে পারে? তাপস বলেন, ''জেলা পরিষদের জায়গা গ্রামের বারোয়ারি কমিটির লোকেরা জোর করে দখল করছিল। সেটা নিয়ে কেউ জেলা পরিষদে অভিযোগ জানায়। এখন যেহেতু আমার বাড়ি লাগোয়া ওই জায়গা, তাই শুধুমাত্র সন্দেহের বশে ওরা আমাদের পরিবারের উপরে এই ফতোয়া জারি করেছে। এভাবে চললে আমরা সপরিবারে আত্মহত্যা করব। জেলাশাসক-সহ সবাইকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নেননি।'' পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ''খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
আবুজহাটি মধ্যমপাড়া বারোয়ারি কমিটির সম্পাদক সরোজ ঘোষ বলেন, ''আমাদের বারোয়ারির সদস্য সংখ্যা ৪৯ জন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাপস ঘোষকে সরানো হয়েছে। উনি গ্রামে থাকবেন অথচ বারোয়ারির সিদ্ধান্ত মানবেন না।'' এর পরেই সরোজ বলেন, ''আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, উনিই জেলা পরিষদের কাছে জায়গা দখলের বিষয়টি জানিয়েছেন। সরকারি জায়গা আমরা দখল করলে ওঁদের সমস্যা কোথায়? তাই ওঁকে পাড়ার কোনও কাজে ডাকা হয় না।'' তাপসের মেয়ে সঙ্গীতা বলেন, ''গ্রামের কিছু লোকের মনে হলো, আর তাঁরা আমাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করে দিলেন? এটা হতে পারে? এক বছরের উপর এটা চলছে। আমার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমার বাবা বয়স্ক মানুষ। কিছু ঘটলে তার দায় কে নেবে?'' আবুজহাটি এক পঞ্চায়েতের প্রধান আশরাফ আলি বলেন, ''খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। আধুনিক সমাজে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এলাকায় গিয়ে সবাইকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।'' রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে তারা জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করবে।
জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান সবার কাছেই জানিয়েছেন তাঁর অভিযোগ। সপ্তাহখানেক আগে অভিযোগ দায়ের হলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ''এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। একটি পরিবারকে শুধু সন্দেহের বসে সামাজিক ভাবে বয়কট করা যায় না কি? এদের বিরুদ্ধে বিডিও, প্রধানদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'' জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার বক্তব্য, ''পরিবারটিকে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। এলাকার সমস্যা। পঞ্চায়েতের উচিত সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো।''
লিখিত অভিযোগে তাপস জানিয়েছেন, তাঁরা এক বছরের উপর সামাজিক বয়কটের শিকার। বলেন, ''এক বছর আগে আমাকে গ্রামের বারোয়ারি কমিটি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকার কোনও কাজে আমি অংশ নিতে পারব না। এর কারণ জানানো হয়নি। আমার ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।'' কিন্তু কারণ কী থাকতে পারে? তাপস বলেন, ''জেলা পরিষদের জায়গা গ্রামের বারোয়ারি কমিটির লোকেরা জোর করে দখল করছিল। সেটা নিয়ে কেউ জেলা পরিষদে অভিযোগ জানায়। এখন যেহেতু আমার বাড়ি লাগোয়া ওই জায়গা, তাই শুধুমাত্র সন্দেহের বশে ওরা আমাদের পরিবারের উপরে এই ফতোয়া জারি করেছে। এভাবে চললে আমরা সপরিবারে আত্মহত্যা করব। জেলাশাসক-সহ সবাইকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নেননি।'' পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ''খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
আবুজহাটি মধ্যমপাড়া বারোয়ারি কমিটির সম্পাদক সরোজ ঘোষ বলেন, ''আমাদের বারোয়ারির সদস্য সংখ্যা ৪৯ জন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাপস ঘোষকে সরানো হয়েছে। উনি গ্রামে থাকবেন অথচ বারোয়ারির সিদ্ধান্ত মানবেন না।'' এর পরেই সরোজ বলেন, ''আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, উনিই জেলা পরিষদের কাছে জায়গা দখলের বিষয়টি জানিয়েছেন। সরকারি জায়গা আমরা দখল করলে ওঁদের সমস্যা কোথায়? তাই ওঁকে পাড়ার কোনও কাজে ডাকা হয় না।'' তাপসের মেয়ে সঙ্গীতা বলেন, ''গ্রামের কিছু লোকের মনে হলো, আর তাঁরা আমাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করে দিলেন? এটা হতে পারে? এক বছরের উপর এটা চলছে। আমার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমার বাবা বয়স্ক মানুষ। কিছু ঘটলে তার দায় কে নেবে?'' আবুজহাটি এক পঞ্চায়েতের প্রধান আশরাফ আলি বলেন, ''খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। আধুনিক সমাজে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এলাকায় গিয়ে সবাইকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।'' রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে তারা জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করবে।