সাগরদিঘি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে হেলায় উড়িয়ে জয়ী হন কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। জয়ের পর থেকে বাইরনের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছিল। তিনমাস পর সেই জল্পনাই সত্যি হল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক। কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত একমাত্র বিধায়কের দলবদলের পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা মৃত্যুর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়। ২ মার্চ ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় তৃণমূলের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজারেরও বেশি পরাজিত করে বাইরন। ২০২১ নির্বাচনে রাজ্যের একটি আসনে জিততে পারেনি কংগ্রেস। বামেদের সমর্থন নিয়ে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিরোধী শিবির বাড়তি অক্সিজেন পায়।
বাইরনের তৃণমূলে যোগদানের পর তাঁকে পাশে বসিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভোটে জেতার পর বাইরনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। আজ আমি ওঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে সাগরদিঘি ফিরে গিয়ে মানুষের স্বার্থেই বাইরন কাজ করবে।
বাইরনের তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে বাম, কংগ্রেস ও বিরোধীদের কাছে বড় ধাক্কা। কারণ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল পর্যদুস্ত হওয়ার পর গোটা রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে 'সাগরদিঘি মডেল'-র কথা শোনা যায়। পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব দাবি করেন, বিজেপির ভোট কংগ্রেসের দিকে যাওয়ার ফলে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে।
সম্প্রতি এই সময়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বাইরন বলেন, 'মন্ত্রী লেভেলের একজন আমাকে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমি তৃণমূল যোগ দেব না। কংগ্রেস থেকে আমি অনেক সম্মান পাচ্ছি। আমি তাঁর মুখের উপর না বলতে পারিনি। ভেবে দেখছি বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছি। আমি হয়তো মন্ত্রী হব, লালবাতি গাড়ি চড়ব না। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি, আর দরকার নেই।'
উল্লেখ্য, নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে মুর্শিদাবাদের ভগবানপুরে পৌছনোর পর এলাকার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাইরনকে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের এই বক্তব্যের পর বাইরনের গলাতেও অভিষেককে নিয়ে শোনা গিয়েছিল প্রশংসার সুর। সেই সময় ফের বাইরনের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা ছড়ায়। এখন বাইরনকে তৃণমূল কোনও মন্ত্রিত্ব দেয় কিনা সেটাই দেখার।
Byron Biswas Video: বাইরনের বিরুদ্ধে এফআইআর, এরপর গ্রেফতার?
রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা মৃত্যুর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়। ২ মার্চ ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় তৃণমূলের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজারেরও বেশি পরাজিত করে বাইরন। ২০২১ নির্বাচনে রাজ্যের একটি আসনে জিততে পারেনি কংগ্রেস। বামেদের সমর্থন নিয়ে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিরোধী শিবির বাড়তি অক্সিজেন পায়।
বাইরনের তৃণমূলে যোগদানের পর তাঁকে পাশে বসিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভোটে জেতার পর বাইরনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। আজ আমি ওঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে সাগরদিঘি ফিরে গিয়ে মানুষের স্বার্থেই বাইরন কাজ করবে।
বাইরনের তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে বাম, কংগ্রেস ও বিরোধীদের কাছে বড় ধাক্কা। কারণ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল পর্যদুস্ত হওয়ার পর গোটা রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে 'সাগরদিঘি মডেল'-র কথা শোনা যায়। পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব দাবি করেন, বিজেপির ভোট কংগ্রেসের দিকে যাওয়ার ফলে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে।
সম্প্রতি এই সময়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বাইরন বলেন, 'মন্ত্রী লেভেলের একজন আমাকে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমি তৃণমূল যোগ দেব না। কংগ্রেস থেকে আমি অনেক সম্মান পাচ্ছি। আমি তাঁর মুখের উপর না বলতে পারিনি। ভেবে দেখছি বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছি। আমি হয়তো মন্ত্রী হব, লালবাতি গাড়ি চড়ব না। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি, আর দরকার নেই।'
উল্লেখ্য, নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে মুর্শিদাবাদের ভগবানপুরে পৌছনোর পর এলাকার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাইরনকে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের এই বক্তব্যের পর বাইরনের গলাতেও অভিষেককে নিয়ে শোনা গিয়েছিল প্রশংসার সুর। সেই সময় ফের বাইরনের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা ছড়ায়। এখন বাইরনকে তৃণমূল কোনও মন্ত্রিত্ব দেয় কিনা সেটাই দেখার।