ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার সরকার হাত মিলিয়ে এই পাবলিট সেক্টর ইউনিটকে বাঁচানো উচিত, বৃহস্পতিবার চিত্তরঞ্জন কারখানা বাঁচাও পদযাত্রায় অংশ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সমাজকর্মী (Social Worker) মেধা পাটকর (Medha Patkar) ৷ এদিন তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের উচিত এগিয়ে আসা৷ ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার সরকার হাত মিলিয়ে এই পাবলিট সেক্টর ইউনিটকে বাঁচানো উচিত৷’’ এদিন মেধা পাটেকরের চিত্তরঞ্জন বাঁচাও পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় চিত্তরঞ্জন শহরের তিন নম্বর গেটের সামনে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপনারায়ণপুরের ডাবর মোড় থেকে পদযাত্রা করে আসানসোলের (Asansol) চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার সদর দফতর পর্যন্ত যাওয়ার কর্মসূচি ছিল মেধা পাটকরের।
জানা গিয়েছে, মূলত বেশ কয়েকটি গণসংগঠন মিলে চিত্তরঞ্জন কারখানাকে বিলগ্নিকরণ থেকে বাঁচানোর পরিকল্পনা করেছে৷ তারই প্রেক্ষিতে এই আন্দোলন কর্মসূচি গৃহীত হয়। কিন্তু চিত্তরঞ্জন শহরে ঢোকার তিন নম্বর গেটের কাছে মেধা পাটেকরের মিছিল আসতেই RPF সেটাকে আটকে দেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, ব্যারিকেড দিয়ে থামানো হয় মিছিল। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা৷ এরপরই সেখানে বসেই মেধা পাটকর ধরনা আন্দোলন শুরু করেন৷ বেশ কিছুক্ষণ আন্দোলন চলার পর চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ পাঁচজনকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন৷
মেধা পাটকার বলেন, ‘‘যেভাবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে শুরু করে তাদের স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য সমস্ত কিছুই বেসরকারিকরণ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার, তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। আমরা কোনওভাবেই কারখানাকে বেসরকারিকরণ করতে দেব না। সেজনই আমরা আন্দোলনে নেমেছি৷’’ তাঁর দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সমঝোতা মিটিং হওয়া উচিত৷ কেন্দ্র এবং রাজ্যের লেবার কমিশনারের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত বলেও দাবি করেন তিনি৷ তিনি আরও জানান, ১৮ হাজার শ্রমিক দিয়ে কারখানা শুরু করার পর এখন মাত্র ন’ হাজার ৪০০ শ্রমিক রয়েছে৷
একসময় এখানে প্রচুর ইঞ্জিন তৈরি হত, যা বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছিল৷ এখন সেখানে বাইরে থেকে পার্টস এনে এটাকে অ্যাসেমব্লিং কারখানায় পরিণত করা হয়েছে৷ পুরনো পেনশন স্কিম বন্ধ করে ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে৷ কন্ট্রাক্টে শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, শ্রমিকদের কোনও মূল্য নেই? তাঁর অভিযোগ, যে কোনও কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবিয়ে দিচ্ছে৷ কেন তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না৷ তিনি দাবি করেন, বাউন্ডারি করে পুরোটা চিত্তরঞ্জন শহরটাকে কবজা করেছে৷ খেলার মাঠও নিয়ে নিয়েছে৷ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সের অ্যাপেয়মেন্ট বন্ধ করে শুধু রেফারেন্স সেন্টার করে দিয়েছে৷ স্কুলও বন্ধ করে দিয়েছে৷
জানা গিয়েছে, মূলত বেশ কয়েকটি গণসংগঠন মিলে চিত্তরঞ্জন কারখানাকে বিলগ্নিকরণ থেকে বাঁচানোর পরিকল্পনা করেছে৷ তারই প্রেক্ষিতে এই আন্দোলন কর্মসূচি গৃহীত হয়। কিন্তু চিত্তরঞ্জন শহরে ঢোকার তিন নম্বর গেটের কাছে মেধা পাটেকরের মিছিল আসতেই RPF সেটাকে আটকে দেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, ব্যারিকেড দিয়ে থামানো হয় মিছিল। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা৷ এরপরই সেখানে বসেই মেধা পাটকর ধরনা আন্দোলন শুরু করেন৷ বেশ কিছুক্ষণ আন্দোলন চলার পর চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ পাঁচজনকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন৷
মেধা পাটকার বলেন, ‘‘যেভাবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে শুরু করে তাদের স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য সমস্ত কিছুই বেসরকারিকরণ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার, তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। আমরা কোনওভাবেই কারখানাকে বেসরকারিকরণ করতে দেব না। সেজনই আমরা আন্দোলনে নেমেছি৷’’ তাঁর দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সমঝোতা মিটিং হওয়া উচিত৷ কেন্দ্র এবং রাজ্যের লেবার কমিশনারের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত বলেও দাবি করেন তিনি৷ তিনি আরও জানান, ১৮ হাজার শ্রমিক দিয়ে কারখানা শুরু করার পর এখন মাত্র ন’ হাজার ৪০০ শ্রমিক রয়েছে৷
একসময় এখানে প্রচুর ইঞ্জিন তৈরি হত, যা বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছিল৷ এখন সেখানে বাইরে থেকে পার্টস এনে এটাকে অ্যাসেমব্লিং কারখানায় পরিণত করা হয়েছে৷ পুরনো পেনশন স্কিম বন্ধ করে ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে৷ কন্ট্রাক্টে শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, শ্রমিকদের কোনও মূল্য নেই? তাঁর অভিযোগ, যে কোনও কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবিয়ে দিচ্ছে৷ কেন তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না৷ তিনি দাবি করেন, বাউন্ডারি করে পুরোটা চিত্তরঞ্জন শহরটাকে কবজা করেছে৷ খেলার মাঠও নিয়ে নিয়েছে৷ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সের অ্যাপেয়মেন্ট বন্ধ করে শুধু রেফারেন্স সেন্টার করে দিয়েছে৷ স্কুলও বন্ধ করে দিয়েছে৷