ভয়াবহ ধসে ফাটল বারাবনির জামগ্রামে
ওই এলাকা বেগুনিয়া কোলিয়ারির অধীন। তার ম্যানেজার বিজয় কুমার ঠাকুর বলেন, ‘বহিরাগতদের তৈরি করা ২০টি অবৈধ খনন আমরা কয়েকদিন আগেই পুলিশ, সিআইএসএফ এবং নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।
EiSamay.Com 6 Dec 2019, 11:01 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভয়াবহ ধসে বিশাল এলাকা জুড়ে ফাটল তৈরি হল বারাবনির জামগ্রামে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ জামগ্রামের কোলপাড়ায় ধসের ঘটনা ঘটে। অবৈধ কয়লা খননের ফলেই এমন ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। প্রায় পাঁচশো মিটার এলাকা জুড়ে বিশাল গর্ত ও ফাটল তৈরি হয়েছে। হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও আশপাশের কোল পাড়া, ভুঁইয়াপাড়ার অন্তত ১০০ পরিবারের বাসিন্দা আতঙ্কিত। ধসের সময় তারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। আতঙ্কে এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের পাঠাতেও ভয় পাচ্ছে অভিভাবকরা।
ওই এলাকা বেগুনিয়া কোলিয়ারির অধীন। তার ম্যানেজার বিজয় কুমার ঠাকুর বলেন, ‘বহিরাগতদের তৈরি করা ২০টি অবৈধ খনন আমরা কয়েকদিন আগেই পুলিশ, সিআইএসএফ এবং নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে এখানে অনেকের বাড়ির চৌহদ্দিতেই অবৈধ কয়লা খনি চলছে। তা লিখিত আকারে আমরা জানতে পারি। হিরাপুরের সিআই এখানে এসেছিলেন। জেসিবি দিয়ে আমরা এমন কয়েকটি কুয়ো বন্ধ করে দিয়েছি। তার পর ফের গতকাল একটি অবৈধ খনি চালু হয়েছে। আজ সেখানেই বড় ধরনের ধস ও ফাটল দেখা গিয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা ইসিএলের সদর দপ্তর ও পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটর এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি। বারাবনির পুলিশকে বলেছি, বিষয়টি নজরে রাখতে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসিএলকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত অবৈধ খনন বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সীমন্তি কোরা বলেন, ‘আমাদের ভুঁইয়াপাড়া এবং কোড়াপাড়া লাগোয়া এলাকায় গত এক বছর ধরে অবৈধ খনন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। আগেই অন্তত ২৫-৩০টি অবৈধ খনন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আবার ভূগর্ভস্থ খনির পিলারগুলো ওরা কেটে নিচ্ছে। ফলে মাটি ক্রমশ নীচে বসে যাচ্ছে। মাটিতে ভয়ঙ্কর ফাটল দেখা যাচ্ছে। এখানে ছোট ছোট কুয়োর মতো গর্ত তৈরি করা হয়েছে। এতে যে কোনও মুহূর্তে গোটা বাড়ি ধসে যাবে। আমরা এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে কয়লা মাফিয়ারা বলছে, তোমাদের খুন করে ফেলে দেওয়া হবে। চুপ করে থাক।’ শনি ঠাকুর, অনিতা দেবী ঠাকুর নামে দুই মহিলার কথায়, ‘বহু বছর ধরে আমরা এখানে আছি। কিন্তু আজ আমাদের ঘরবাড়ি বিপন্ন। আমাদের বাচ্চারা এখানে স্কুলে যাবে, সেটা ভাবতেও ভয় লাগে। রাতে মাফিয়াদের আতঙ্ক তাড়া করে। বাধা দিতে গেলে হুমকি দেয়। বুঝতে পারি না রাত কাটবে কিনা। যে কোনও দিন তলিয়ে যেতে পারে।’ বাসিন্দা সরিতা ভুঁইয়া বলেন, ‘এখানে আমাদের শৌচাগার নেই। রাতে বাইরে যেতে হয়। টানা ধসে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি আমরা।’
কোলিয়ারি ম্যানেজার বিজয় কুমার ঠাকুরের বক্তব্য, ২০১৮-র জুন থেকে বেসরকারি সংস্থা এখানে কয়লা উত্তোলনের কাজ করছে। এখানে মোট ১৩ মিলিয়ন টন কয়লা রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেই কয়লা তোলা হবে। তবে এলাকায় যে অবৈধ কয়লার রমরমা রয়েছে তা স্বীকার করে নেন তিনি। এই ধসের মেরামতিতে তাঁরাই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন বিজয় কুমার ঠাকুর।
ওই এলাকা বেগুনিয়া কোলিয়ারির অধীন। তার ম্যানেজার বিজয় কুমার ঠাকুর বলেন, ‘বহিরাগতদের তৈরি করা ২০টি অবৈধ খনন আমরা কয়েকদিন আগেই পুলিশ, সিআইএসএফ এবং নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে এখানে অনেকের বাড়ির চৌহদ্দিতেই অবৈধ কয়লা খনি চলছে। তা লিখিত আকারে আমরা জানতে পারি। হিরাপুরের সিআই এখানে এসেছিলেন। জেসিবি দিয়ে আমরা এমন কয়েকটি কুয়ো বন্ধ করে দিয়েছি। তার পর ফের গতকাল একটি অবৈধ খনি চালু হয়েছে। আজ সেখানেই বড় ধরনের ধস ও ফাটল দেখা গিয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা ইসিএলের সদর দপ্তর ও পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটর এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি। বারাবনির পুলিশকে বলেছি, বিষয়টি নজরে রাখতে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসিএলকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত অবৈধ খনন বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সীমন্তি কোরা বলেন, ‘আমাদের ভুঁইয়াপাড়া এবং কোড়াপাড়া লাগোয়া এলাকায় গত এক বছর ধরে অবৈধ খনন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। আগেই অন্তত ২৫-৩০টি অবৈধ খনন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আবার ভূগর্ভস্থ খনির পিলারগুলো ওরা কেটে নিচ্ছে। ফলে মাটি ক্রমশ নীচে বসে যাচ্ছে। মাটিতে ভয়ঙ্কর ফাটল দেখা যাচ্ছে। এখানে ছোট ছোট কুয়োর মতো গর্ত তৈরি করা হয়েছে। এতে যে কোনও মুহূর্তে গোটা বাড়ি ধসে যাবে। আমরা এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে কয়লা মাফিয়ারা বলছে, তোমাদের খুন করে ফেলে দেওয়া হবে। চুপ করে থাক।’ শনি ঠাকুর, অনিতা দেবী ঠাকুর নামে দুই মহিলার কথায়, ‘বহু বছর ধরে আমরা এখানে আছি। কিন্তু আজ আমাদের ঘরবাড়ি বিপন্ন। আমাদের বাচ্চারা এখানে স্কুলে যাবে, সেটা ভাবতেও ভয় লাগে। রাতে মাফিয়াদের আতঙ্ক তাড়া করে। বাধা দিতে গেলে হুমকি দেয়। বুঝতে পারি না রাত কাটবে কিনা। যে কোনও দিন তলিয়ে যেতে পারে।’ বাসিন্দা সরিতা ভুঁইয়া বলেন, ‘এখানে আমাদের শৌচাগার নেই। রাতে বাইরে যেতে হয়। টানা ধসে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি আমরা।’
কোলিয়ারি ম্যানেজার বিজয় কুমার ঠাকুরের বক্তব্য, ২০১৮-র জুন থেকে বেসরকারি সংস্থা এখানে কয়লা উত্তোলনের কাজ করছে। এখানে মোট ১৩ মিলিয়ন টন কয়লা রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেই কয়লা তোলা হবে। তবে এলাকায় যে অবৈধ কয়লার রমরমা রয়েছে তা স্বীকার করে নেন তিনি। এই ধসের মেরামতিতে তাঁরাই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন বিজয় কুমার ঠাকুর।