এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কালী মানেই দেবীর উগ্রচন্ডা রূপ। চোখের সামনে ভেসে ওঠে, নরমুণ্ড দিয়ে কোমরবন্ধ, নগ্ন এক ভয়ালরূপী নারী। যুদ্ধংবেশী সেই নারী রূপেই মা কালী পূজিতা হন। কালো বর্ণের কালী শ্মশানকালী রূপে পূজিতা হন বিভিন্ন স্থানে। আবার নীল বর্ণের কালী শ্যামাকালী হিসাবেও বিভিন্ন স্থানে পূজিতা হন। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে মা কালী পূজিতা হন সাদা কালী রূপে। যা নজিরবিহীন। কুলটি বা আসানসোল কেন, সমগ্র পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কোথাও এরকম সাদা কালী দেখা যায় না। কালীপুজো নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কতই না গল্প কথা, কত মিথ। তবে কুলটির লালবাজার এলাকায় সাদা কালী রূপে দেবীর পূজিত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। কেবল বর্ণ বদল নয়, এখানে মায়ের রূপও উগ্র নয়, সৌম্য। নগ্ন নয়, পাথরের প্রতিমাকে শাড়ি পরিয়ে রাখা হয়। কেবল কালীপুজোর দিন নয়, এই রূপে দেবী এখানে সারাবছরই অধিস্থান করেন। ফলহারিণী কালী রূপেই পূজিত হল কুলটির লালবাজারের এই দেবী।
কুলটির লালবাজারের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত ফলহারিণী কালী মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান সেবাইত মধুময় ঘোষ নিজেই বছর ১৫ আগে এই সাদা বর্ণের ফলহারিণী কালীপুজো শুরু করেন। কালীভক্ত মধুময় ঘোষ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি কালীপুজো করি। কিন্তু, ২০০৫ সালে মা আমাকে স্বপ্নাদেশ দেন। তারপর মায়ের নির্দেশ মতোই আমি বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড় থেকে এই পাথরের মূর্তি নিয়ে আসি। তখন থেকেই সাদা বর্ণের ফলহারিনী কালীপুজো করে আসছি।’
জানা গিয়েছে, কুলটির লালবাজারে প্রথমদিকে ফলহারিণী কালী মন্দিরটি ছিল না। পরে এলাকার মানুষের সহায়তায় ফলহারিণী কালী মন্দির গড়ে তোলা হয়। এই মন্দিরের আরেক পুরোহিত স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিন নিত্যপুজো হয় এই কালীমন্দিরে। অমাবস্যায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে এই ফলহারিনী কালীর প্রধান পুজো হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে।’ তবে কালীপুজোর সময়ও বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন মধুময় ঘোষ। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, এই দেবীর কাছে কায়মনোবাক্যে কিছু প্রার্থনা করলে সেটি সফল হয়। তাই প্রতিদিনই, বিশেষ করে শনি ও মঙ্গলবার মন্দিরে ভক্তদের ভিড় জমে। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের ফলহারিণী কালীপুজোয় এবং কালীপুজোর দিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ মনোবাঞ্ছা পূরণের আশায় কুলটির লালবাজারের এই সাদা কালী ফলহারিণী মন্দিরে আসেন।
কুলটির লালবাজারের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত ফলহারিণী কালী মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান সেবাইত মধুময় ঘোষ নিজেই বছর ১৫ আগে এই সাদা বর্ণের ফলহারিণী কালীপুজো শুরু করেন। কালীভক্ত মধুময় ঘোষ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি কালীপুজো করি। কিন্তু, ২০০৫ সালে মা আমাকে স্বপ্নাদেশ দেন। তারপর মায়ের নির্দেশ মতোই আমি বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড় থেকে এই পাথরের মূর্তি নিয়ে আসি। তখন থেকেই সাদা বর্ণের ফলহারিনী কালীপুজো করে আসছি।’
জানা গিয়েছে, কুলটির লালবাজারে প্রথমদিকে ফলহারিণী কালী মন্দিরটি ছিল না। পরে এলাকার মানুষের সহায়তায় ফলহারিণী কালী মন্দির গড়ে তোলা হয়। এই মন্দিরের আরেক পুরোহিত স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিন নিত্যপুজো হয় এই কালীমন্দিরে। অমাবস্যায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে এই ফলহারিনী কালীর প্রধান পুজো হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে।’ তবে কালীপুজোর সময়ও বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন মধুময় ঘোষ। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, এই দেবীর কাছে কায়মনোবাক্যে কিছু প্রার্থনা করলে সেটি সফল হয়। তাই প্রতিদিনই, বিশেষ করে শনি ও মঙ্গলবার মন্দিরে ভক্তদের ভিড় জমে। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের ফলহারিণী কালীপুজোয় এবং কালীপুজোর দিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ মনোবাঞ্ছা পূরণের আশায় কুলটির লালবাজারের এই সাদা কালী ফলহারিণী মন্দিরে আসেন।