অ্যাপশহর

চিন্তা নিয়েই আজ সর্বদল বৈঠকে মোর্চা

যদিও আজকের বৈঠকে কর্নেল আলের মতো কিছু নেতা থাকলেও মোর্চার শীর্ষনেতাদের কারও হাজির হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই৷

EiSamay.Com 29 Jun 2017, 10:39 am
চিত্রদীপ চক্রবর্তী, দার্জিলিং
EiSamay.Com all party meeting by pro gorkhaland parties today
চিন্তা নিয়েই আজ সর্বদল বৈঠকে মোর্চা


মান রাখি না কুল রাখি! সর্বদল বৈঠকের আগেই পাহাড়ে ‘অল আউট’ আন্দোলনে নেমে এখন এই সঙ্কটে পড়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা৷ দার্জিলিং সদরের কিছু জায়গায় যদিও বা তাদের নির্দেশ মেনে এখনও অশান্তিহীন আন্দোলন চলছে, কিন্ত্ত বাকি এলাকার নিয়ন্ত্রণ কার্যত হারিয়ে ফেলেছেন মোর্চার নেতারা৷ একের পর এক এলাকায় সরকারি দপ্তরে হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাঁরা এখন প্রায় দিশাহীন৷

রাজনৈতিক মহলের মতে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই ধ্বংসাত্মক আন্দোলন বন্ধ করতে আজ, বৃহস্পতিবারের পাহাড়ের সর্বদলীয় বৈঠককেই হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেবেন মোর্চার নেতারা৷ এমনিতেই জিএনএলএফ এবং জাপের মতো দলগুলির প্রস্তাবে মোর্চার রীতিমতো কঠিন অবস্থা৷ দু’টি দলই জানিয়ে দিয়েছে, তারা চায় মোর্চার তিন বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে এই আন্দোলনে পুরোপুরি যোগ দিন৷ কিন্ত্ত মোর্চার অন্দরেই এই নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে৷ কারন , জিটিএ ছাড়ার পর অন্য সব জায়গা থেকে ইস্তফা দিলে পাহাড়ের মানুষের কাছে এলাকার শাসকদলের স্বীকৃতি তাদের সঙ্গে আর থাকবে না৷ সেক্ষেত্রে জিএনএলএফের মতো দল ঘোলা জলে মাছ ধরার খেলায় নেমে পড়তে পারে৷ মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং এ দিন কোর কমিটির মিটিংয়ে পরিষ্কার বলেছেন এখনি বিধায়ক পদ ছাড়া বা পুরসভাগুলি থেকে সরে আসার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি৷ মোর্চার নেতাদের ব্যাখ্যা , এমনিতেই রাজ্য সরকার জিটিএ -তে প্রশাসক বসিয়ে দিতে পারে৷ অন্য দিকে , বিধায়কদের সে অর্থে ছাড়া বা না ছাড়ার মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকবে না৷ আবার সদ্য দখল করা পুরসভাগুলি থেকে সরে এলে সেখানেও প্রশাসক বসে যেতে পারে৷ যাতে আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাঁরাই৷ তাই আপাতত আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হোক৷ এ দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অন্যান্য দলের নেতাদের কথা মাথায় রেখে এ বারের সর্বদলীয় বৈঠক কালিম্পঙে করা হবে৷ ওই জেলাতেই সিপিআরএম , জাপের মতো দলের শীর্ষ নেতারা থাকেন৷ যদিও আজকের বৈঠকে কর্নেল আলের মতো কিছু নেতা থাকলেও মোর্চার শীর্ষনেতাদের কারও হাজির হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই৷

মোর্চা সূত্রের খবর , তাদের শীর্ষ নেতৃত্বও বুঝে গিয়েছেন পাহাড়ের মানুষ যেভাবে নেতাদের নির্দেশ না -মেনেই সরকারি দপ্তরগুলিতে হামলা শুরু করেছে তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে৷ বুধবার রাতেই লালকুঠি লাগোয়া জিটিএ -র পূর্ত দন্তরের অফিসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ রাজবাড়ির পঞ্চায়েত অফিস , কালিম্পঙের সেরিকালচার অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল মোর্চা নেতাদের নামে৷ অথচ আত্মগোপন করে থাকায় তারা নিচুতলার কর্মীদের না পারছেন কোনও নির্দেশ পাঠাতে , না সব খবর জানতে৷ ফলে এই মুহূর্তে অভিভাবকহীন আন্দোলন চলছে পাহাড় জুড়ে৷ সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবারের সর্বদল বৈঠকেই কার্যত নির্ধারিত হয়ে যাবে পাহাড়ের পরবর্তী আন্দোলন কোন দিকে যাবে বা মোর্চার হাতে আন্দোলন পরিচালনার রিমোট আদৌ থাকবে কি না৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল