এই সময়,আলিপুরদুয়ার: বাংলাদেশের পরে এবার প্রতিবেশী দেশ ভুটানের সঙ্গেও রেলপথে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। আপাতত তিনটি রুটে যোগাযোগ স্থাপন করে বাণিজ্যিক উন্নয়নের দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। ধাপে ধাপে ওই তিনটি রুটে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো হবে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের নাগরিক ও পর্যটকরাও এই আন্তর্জাতিক রেল পথ ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রথমে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গ্যালিফু পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার রেলপথ পাতার কাজ শুরু করা হবে। তার প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শেষ স্তরে রয়েছে বলে জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার দিলীপ কুমার সিং। পরবর্তীতে হাসিমারা থেকে ভুটানের ফুন্টসোলিং পর্যন্ত রেল পথ পাতার পরিকল্পনা রয়েছে।এছাড়াও অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সামদ্রুপজংখা পর্যন্ত রেল রুট তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। এমনকী, কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা ও গীতালদহ রুট দিয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভুটানকে রেলপথে জোড়া যায় কি না, সে বিষয়েও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তবে এশিয়ায় এই প্রথম কোনও তিনটি দেশ আগামীতে রেলপথে জুড়ে যাবে বলে রেলের দাবি। যাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গতিবেগ আসবে বলে ধারনা রেল কর্তাদের।
এছাড়াও শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন ও ময়নাগুড়ি থেকে মাথাভাঙা হয়ে কোচবিহারের মধ্যে যোগাযোগকারী 'ওয়াই চ্যানেল' রেল পথেও ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ইতিমধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ফালাকাটা হয়ে নিউ আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ডাবল লাইন ও ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রুট গুলিতে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করার জন্য বিপুল টাকাও বরাদ্দ করেছে ভারতীয় রেল। তাতে একদিকে যেমন কমবে পরিবেশ দূষণ, অন্যদিকে বাড়বে ট্রেনের গতিবেগ। সুগম হবে যাত্রী পরিষেবা। সব মিলিয়ে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির যোগাযোগ সুগম করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী দুই দেশ ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গেও রেলপথে ভারতকে জোড়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে আগামীতে তিন দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পর্যটনে এক নতুন ও যুগান্তকারী দিশা আসতে চলেছে বলে দাবি রেল কর্তাদের।
আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে রেল পথে ভারতকে জুড়তে গিয়ে অনেকটাই তৈরি পরিকাঠামো পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের বিষয়টি একেবারেই নতুন। আমরা আশাবাদী ওই রেলপথ স্থাপিত হয়ে গেলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পর্যটনে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।'
এছাড়াও শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন ও ময়নাগুড়ি থেকে মাথাভাঙা হয়ে কোচবিহারের মধ্যে যোগাযোগকারী 'ওয়াই চ্যানেল' রেল পথেও ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ইতিমধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ফালাকাটা হয়ে নিউ আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ডাবল লাইন ও ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রুট গুলিতে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করার জন্য বিপুল টাকাও বরাদ্দ করেছে ভারতীয় রেল। তাতে একদিকে যেমন কমবে পরিবেশ দূষণ, অন্যদিকে বাড়বে ট্রেনের গতিবেগ। সুগম হবে যাত্রী পরিষেবা। সব মিলিয়ে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির যোগাযোগ সুগম করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী দুই দেশ ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গেও রেলপথে ভারতকে জোড়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে আগামীতে তিন দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পর্যটনে এক নতুন ও যুগান্তকারী দিশা আসতে চলেছে বলে দাবি রেল কর্তাদের।