লাগাতার ধর্ষণ এবং জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ানোর জেরে মারণ রোগ ক্যানসারে আক্রান্ত কিশোরী। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে দ্বাদশ শ্রেণীর (Class Twelve Student) এক ছাত্রী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কিশোরীর পরিবার। দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বিবাহিত। পাশাপাশি তাঁর এক সন্তানও রয়েছেন। কিশোরীর এক আত্মীয় জানান, ৩ মে ওই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। পরের দিনই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে (Alipurduar District Hospital)। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কোচবিহারের (Cooch Behar) একটি বেসরকারি নার্সিংহোম এবং পরে সেখান থেকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন যে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি গত সাত-আট মাস আগে থেকেই কিশোরীকে ধর্ষণ করতেন। এমনকী, কিশোরীকে খুনের হুমকিও দিতেন তিনি। তার জেরে এতদিন কাউকে কিছুই বলেনি কিশোরী। এদিকে লাগাতার ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে কিশোরী। এরপর ওই ব্যক্তি ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে গর্ভপাত করানোর ওষুধ খাওয়াতে শুরু করে।
কিশোরীর পরিবারের আরও অভিযোগ, গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর ফলে কিশোরীর পেটে ঘা হয়ে যায়। আর তার জেরেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় ওই কিশোরী। ভয়ে এতদিন কাউকে কিছুই জানায়নি সে। হঠাৎ করে তার শরীর খারাপ হয়ে যেতেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। তারপরই পরিবারের সদস্যদের সব কথা জানায় সে। কিশোরীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, প্রতিদিন ক্যানসারের যন্ত্রণায় ছটফট করছে কিশোরী। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে সে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা।
কিশোরীর চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করেছেন তার পরিবার। সেই চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের। কোথা থেকে চিকিৎসার খরচ আসবে তা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা। কোনও রকমে ধার করে কিশোরীর চিকিৎসার খরচ তোলা হচ্ছে। আর বাকি চিকিৎসার খরচ তোলার জন্য নিজেদের জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। এদিকে ঘটনার কথা জানার পরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও তারপর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, "ওই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের একটি দল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।"
কিশোরীর পরিবারের আরও অভিযোগ, গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর ফলে কিশোরীর পেটে ঘা হয়ে যায়। আর তার জেরেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় ওই কিশোরী। ভয়ে এতদিন কাউকে কিছুই জানায়নি সে। হঠাৎ করে তার শরীর খারাপ হয়ে যেতেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। তারপরই পরিবারের সদস্যদের সব কথা জানায় সে। কিশোরীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, প্রতিদিন ক্যানসারের যন্ত্রণায় ছটফট করছে কিশোরী। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে সে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা।
কিশোরীর চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করেছেন তার পরিবার। সেই চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের। কোথা থেকে চিকিৎসার খরচ আসবে তা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা। কোনও রকমে ধার করে কিশোরীর চিকিৎসার খরচ তোলা হচ্ছে। আর বাকি চিকিৎসার খরচ তোলার জন্য নিজেদের জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। এদিকে ঘটনার কথা জানার পরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও তারপর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, "ওই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের একটি দল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।"