বারাসত (Barasat) শেঠপুকুর এলাকায় অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটল। বাড়িতে পরিচারিকা পরিচয় দিয়ে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। একেবারে ব্যাগ ভর্তি করে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে সে। ঘটনায় হতবাক পরিবার সহ পাড়া প্রতিবেশী। শুক্রবার ভরদুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসত (Barasat) শেঠপুকুরে অগ্রদূত ক্লাবের পাশে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে বারাসত শেঠপুকুরে অগ্রদূত ক্লাবের পাশে প্রশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়িতে সেই সময় প্রশান্ত দাস নিজে এবং ওনার মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। নিজেকে পরিচারিকার পরিচয় দিয়ে হঠাৎ বাড়িতে আসেন এক মহিলা। সেই মহিলা প্রশান্তবাবুকে চেনেন বলে জানান। কিন্তু প্রশান্তবাবু তাকে চিনতে পারেননি। তা সত্ত্বেও বাড়িতে পরিচারিকার প্রয়োজনীয়তা থাকায় ওই মহিলাকে ঢুকতে দেওয়া হয়। এরপর সকলের চোখের আড়ালে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে ওই মহিলা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
ওই পরিবার সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন আগে থেকেই ওনাদের বাড়িতে পরিচারিকা আসছিলেন না। সেই কারণে ওই মহিলা জানায়, সে বাড়ির সব কাজ করে দেবে। সেইমতো, ওই মহিলা ওনাদের বাড়ির ঘর পরিস্কার করার কাজ শুরু করে। কিছু সময় পর আরও এক মহিলা আসে এই পরিচারিকা মহিলার বোন পরিচয় দিয়ে। সেই মহিলা এসে প্রশান্তবাবুর সঙ্গে গল্প জমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, প্রশান্তবাবুর মেয়ে চৈতালি হালদার বাড়ির বাইরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাজ করে বেড়িয়ে যায় ওই দুই মহিলা। প্রশান্তবাবু মহিলার হাতে ৩০ টাকা দেন কিছু জলখাবারের জন্য। তারপর ঘরে ঢুকেই চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় ওনার। উনি লক্ষ্য করেন, সারা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে।
প্রশান্ত দাস জানান, ওনার টাকার ব্যাগ খাটের তলায় পরেছিল। আলমারি খোলা ছিল। কয়েক ভরি সোনার অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় ওই মহিলা। ব্যাগে থাকা ৬-৭ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। তিনি বলেন, " আমাদের আলমারি এমনিতে খোলাই থাকে, আলমারির গায়ে চাবিটা লাগানো থাকে। প্রায় ৬ ভরির কাছে সোনা, কিছু রূপোর গয়না আর প্রায় সাত হাজারের কাছাকাছি নগদ টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে। দ্বিতীয় ওই মহিলা প্রথম মহিলাকে গার্ড করতে এসেছিল বলেই মনে হচ্ছে। তখন বুঝতে পারিনি। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।"
পুরো বিষয়টা বুঝতে পেরে হতবাক হয়ে যান প্রশান্তবাবু ও তাঁর মেয়ে। গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে বারাসত থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ (Barasat Police)। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় পরিবার। ঘটনা জানাজানি হয়ে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে বারাসত শেঠপুকুরে অগ্রদূত ক্লাবের পাশে প্রশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়িতে সেই সময় প্রশান্ত দাস নিজে এবং ওনার মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। নিজেকে পরিচারিকার পরিচয় দিয়ে হঠাৎ বাড়িতে আসেন এক মহিলা। সেই মহিলা প্রশান্তবাবুকে চেনেন বলে জানান। কিন্তু প্রশান্তবাবু তাকে চিনতে পারেননি। তা সত্ত্বেও বাড়িতে পরিচারিকার প্রয়োজনীয়তা থাকায় ওই মহিলাকে ঢুকতে দেওয়া হয়। এরপর সকলের চোখের আড়ালে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে ওই মহিলা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
ওই পরিবার সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন আগে থেকেই ওনাদের বাড়িতে পরিচারিকা আসছিলেন না। সেই কারণে ওই মহিলা জানায়, সে বাড়ির সব কাজ করে দেবে। সেইমতো, ওই মহিলা ওনাদের বাড়ির ঘর পরিস্কার করার কাজ শুরু করে। কিছু সময় পর আরও এক মহিলা আসে এই পরিচারিকা মহিলার বোন পরিচয় দিয়ে। সেই মহিলা এসে প্রশান্তবাবুর সঙ্গে গল্প জমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, প্রশান্তবাবুর মেয়ে চৈতালি হালদার বাড়ির বাইরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাজ করে বেড়িয়ে যায় ওই দুই মহিলা। প্রশান্তবাবু মহিলার হাতে ৩০ টাকা দেন কিছু জলখাবারের জন্য। তারপর ঘরে ঢুকেই চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় ওনার। উনি লক্ষ্য করেন, সারা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে।
প্রশান্ত দাস জানান, ওনার টাকার ব্যাগ খাটের তলায় পরেছিল। আলমারি খোলা ছিল। কয়েক ভরি সোনার অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় ওই মহিলা। ব্যাগে থাকা ৬-৭ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। তিনি বলেন, " আমাদের আলমারি এমনিতে খোলাই থাকে, আলমারির গায়ে চাবিটা লাগানো থাকে। প্রায় ৬ ভরির কাছে সোনা, কিছু রূপোর গয়না আর প্রায় সাত হাজারের কাছাকাছি নগদ টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে। দ্বিতীয় ওই মহিলা প্রথম মহিলাকে গার্ড করতে এসেছিল বলেই মনে হচ্ছে। তখন বুঝতে পারিনি। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।"
পুরো বিষয়টা বুঝতে পেরে হতবাক হয়ে যান প্রশান্তবাবু ও তাঁর মেয়ে। গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে বারাসত থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ (Barasat Police)। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় পরিবার। ঘটনা জানাজানি হয়ে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।