এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বাঘের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে বাড়িতে ফিরে এলেন ৫০ বছর বয়সি পঞ্চানন ভক্তা। দক্ষিণ সুন্দরবনের মৎস্যজীবী পঞ্চানন ভক্তার দুঃসাহসী লড়াইয়ের কথা শুনে সকলেই হতবাক। তবে শেষ পর্যন্ত বাঘের হাত থেকে ছাড়া পেলেও গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। বর্তমানে কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পঞ্চানন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। জানা গিয়েছে, স্ত্রী পশামী ভক্তা এবং ন'জন প্রতিবেশীর সঙ্গে শনিবার দক্ষিণ সুন্দরবনের বিজয়াড়া জঙ্গলে নদীর তীরে কাকঁড়া ধরতে গিয়েছিলেন পঞ্চানন। সূর্যাস্ত হতেই বিজয়াড়া জঙ্গল থেকে বাড়ির ফেরার জন্য নৌকা ধরতে ঘাটের দিকে এগিয়ে যান তাঁরা। জানা গিয়েছে, পশামী সহ দলের সাতজন এগিয়ে গিয়েছিলেন নৌকার কাছে। সামনে কিছুটা দূরে ছিলেন আরও এক প্রতিবেশী। একেবারে শেষে ছিলেন পঞ্চানন। তাঁর হাতে ছিল লাঠি আর কাঁকড়ার ঝুড়ি। হঠাৎ করেই পিছন থেকে আক্রমণ করে একটি বাঘ। যদিও দারিদ্র্যতার সঙ্গে জলবেষ্টিত দ্বীপে লড়াই করে বাঁচা পঞ্চানন ভয় পাননি। বরং হাতের লাঠি নিয়েই বাঘের সামনে বুক চিতিয়ে পাল্টা রুখে দাঁড়ান। তারপর তাঁর চিৎকারে এগিয়ে যাওয়া দলের সাত সদস্যও লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে বাঘ-মানুষের খণ্ডযুদ্ধ। বাঘকে রীতিমতো লাঠিপেঠা, চিৎকার-চেঁচামেচি করে দীর্ঘক্ষণ মরণ-বাঁচন লড়াই চালান তিনি। অবশেষে বাঘের হাত থেকে রক্ষা পান পঞ্চানন। হার মেনে জঙ্গলে ফিরে যায় পশুটি।
ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় রাতেই পাথরপ্রতিমা থেকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত বলেই খবর। কিন্তু, এখনও আতঙ্ক কাটেনি। সংসারের জোয়ার টানতে আবারও জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে কিংবা নদীতে মাছ ধরতে যেতে হবে। সেখানে আবার বাঘের মুখে পড়তে হবে কিনা, সে নিয়ে চিন্তায় পঞ্চানন।
চলতি মাসেই পশ্চিম দাড়গাপুরে বাঘের কবলে পড়ে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছিল। হালে দক্ষিণ সুন্দরবনে প্রায় বাঘের হামলায় ২০-২২ জন মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার বাঘের কবলে আক্রান্ত আরও এক মৎস্যজীবী।
দক্ষিণ সুন্দরবনের বাসিন্দাদের ডাঙায় বাঘ আর জলে কুমির নিয়ে বসবাস। এভাবেই তাদের প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধ চালাতে হয়। পশ্চিম দাড়গাপুর আদিবাসীপল্লি মানুষদের মূল জীবিকা মাছ-কাঁকড়া ধরা। ফলে তাঁদের বাঘের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতেই হয়। এদিন পঞ্চাননকে ফিরে পেয়ে আপাতত স্বস্তিতে স্ত্রী সহ তাঁর পরিবার-পরিজন।
ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় রাতেই পাথরপ্রতিমা থেকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত বলেই খবর। কিন্তু, এখনও আতঙ্ক কাটেনি। সংসারের জোয়ার টানতে আবারও জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে কিংবা নদীতে মাছ ধরতে যেতে হবে। সেখানে আবার বাঘের মুখে পড়তে হবে কিনা, সে নিয়ে চিন্তায় পঞ্চানন।
চলতি মাসেই পশ্চিম দাড়গাপুরে বাঘের কবলে পড়ে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছিল। হালে দক্ষিণ সুন্দরবনে প্রায় বাঘের হামলায় ২০-২২ জন মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার বাঘের কবলে আক্রান্ত আরও এক মৎস্যজীবী।
দক্ষিণ সুন্দরবনের বাসিন্দাদের ডাঙায় বাঘ আর জলে কুমির নিয়ে বসবাস। এভাবেই তাদের প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধ চালাতে হয়। পশ্চিম দাড়গাপুর আদিবাসীপল্লি মানুষদের মূল জীবিকা মাছ-কাঁকড়া ধরা। ফলে তাঁদের বাঘের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতেই হয়। এদিন পঞ্চাননকে ফিরে পেয়ে আপাতত স্বস্তিতে স্ত্রী সহ তাঁর পরিবার-পরিজন।