West Bengal News : পড়াশোনার নামগন্ধ ছিল না। সেই জায়গায় সবসময় মোবাইল (Mobile) ঘাঁটায় মায়ের কাছে খায় বকুনি। আর তার জেরেই বাড়ি ছেড়ে হাওড়া (Howrah) থেকে সোজা জয়নগরে পৌঁছে গেল সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্র! নিখোঁজও রইল টানা ৪৮ ঘন্টা। অবশেষে ওই নাবালক ছাত্রকে তার মায়ের হাতে তুলে দিল জয়নগর থানার পুলিশ (Jaynagar Police Station)। পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, মা বকাবকি করায় অভিমানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাওড়া (Howrah) থেকে বাস ধরে সোজা শিয়ালদহ আসে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র আল আমিন মল্লিক।
তারপর ট্রেনে চেপে সোজা জয়নগর। আল আমিনের মাসির বাড়ি জয়নগর। এর আগে কয়েকবার মায়ের সঙ্গে এখানে এসেছে। তবে ষ্টেশনে নেমে কোথায় মাসি বাড়ি তা আর খুঁজে পায়নি সে। খুঁজে না পেয়ে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি শুরু করে। সেই সময় অর্থাৎ রবিবার রাতে জয়নগর থানার (Jaynagar Police Station) কর্তব্যরত SI রাজু গুপ্তা দুর্গাপুর মোড়ের কাছে এক নাবালককে ফাঁকা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। রাস্তায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাকে কাছে ডেকে পরিচয় জানার চেষ্টা করলে তার কথায় অসংগতি লক্ষ্য করেন তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে ওই নাবালককে ধরে নিয়ে সোজা জয়নগর থানায় চলে আসেন কর্তব্যরত অফিসার। পুলিশের কাছে প্রথমে তার পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টা করে ওই নাবালক। কিন্তু জয়নগর থানার IC রাকেশ চ্যাটার্জী তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। ওই নাবালককে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে তার নাম আল আমিন মল্লিক। বাড়ি হাওড়া জেলার রাজাপুর থানার অন্তর্গত কুলগাছিয়া এলাকায়। নাবালকের কথার গুরুত্ব দিয়ে রাজাপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে জয়নগর থানার পুলিশ এবং সেখান থেকে তার বাড়িতে খবর পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালেই জয়নগর থানায় হাজির হন উদ্ধারকৃত নাবালকের মা দাদু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ওই নাবালকের মা নুরজাহান বিবি বলেন, “আমার ছেলে আল আমিন মল্লিক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। পড়াশোনা না করার জন্য ছেলেকে বকাবকি করেছিলাম, আর তারপরই বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। গত রাতে জয়নগর থানার ফোন পেয়ে আমরা দৌড়ে আসি”। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি মা নুর জাহান বিবি।
ওই নাবালকের দাদু মহরম মল্লিক বলেন, “আমার নাতি পড়াশোনা না করে মোবাইল ফোন দেখছিল বলে তার মা বকাবকি করায় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার পরে আর তাকে খুঁজে পাইনি আমরা। জয়নগর থানার পুলিশদের অনেক ধন্যবাদ, তাঁরা আমার নাতিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন”। আজ মঙ্গলবার জয়নগর থানার এসআই রাজু গুপ্তার উপস্থিতিতে জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চ্যাটার্জি উদ্ধারকৃত নাবালককে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন।
তারপর ট্রেনে চেপে সোজা জয়নগর। আল আমিনের মাসির বাড়ি জয়নগর। এর আগে কয়েকবার মায়ের সঙ্গে এখানে এসেছে। তবে ষ্টেশনে নেমে কোথায় মাসি বাড়ি তা আর খুঁজে পায়নি সে। খুঁজে না পেয়ে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি শুরু করে। সেই সময় অর্থাৎ রবিবার রাতে জয়নগর থানার (Jaynagar Police Station) কর্তব্যরত SI রাজু গুপ্তা দুর্গাপুর মোড়ের কাছে এক নাবালককে ফাঁকা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। রাস্তায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাকে কাছে ডেকে পরিচয় জানার চেষ্টা করলে তার কথায় অসংগতি লক্ষ্য করেন তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে ওই নাবালককে ধরে নিয়ে সোজা জয়নগর থানায় চলে আসেন কর্তব্যরত অফিসার। পুলিশের কাছে প্রথমে তার পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টা করে ওই নাবালক। কিন্তু জয়নগর থানার IC রাকেশ চ্যাটার্জী তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। ওই নাবালককে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে তার নাম আল আমিন মল্লিক। বাড়ি হাওড়া জেলার রাজাপুর থানার অন্তর্গত কুলগাছিয়া এলাকায়। নাবালকের কথার গুরুত্ব দিয়ে রাজাপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে জয়নগর থানার পুলিশ এবং সেখান থেকে তার বাড়িতে খবর পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালেই জয়নগর থানায় হাজির হন উদ্ধারকৃত নাবালকের মা দাদু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ওই নাবালকের মা নুরজাহান বিবি বলেন, “আমার ছেলে আল আমিন মল্লিক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। পড়াশোনা না করার জন্য ছেলেকে বকাবকি করেছিলাম, আর তারপরই বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। গত রাতে জয়নগর থানার ফোন পেয়ে আমরা দৌড়ে আসি”। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি মা নুর জাহান বিবি।
ওই নাবালকের দাদু মহরম মল্লিক বলেন, “আমার নাতি পড়াশোনা না করে মোবাইল ফোন দেখছিল বলে তার মা বকাবকি করায় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার পরে আর তাকে খুঁজে পাইনি আমরা। জয়নগর থানার পুলিশদের অনেক ধন্যবাদ, তাঁরা আমার নাতিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন”। আজ মঙ্গলবার জয়নগর থানার এসআই রাজু গুপ্তার উপস্থিতিতে জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চ্যাটার্জি উদ্ধারকৃত নাবালককে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন।