অ্যাপশহর

সম্পত্তির লোভে দাদুকে খুন নাতির

মৃতের নাম লক্ষ্মণ চৌধুরী (৮৩)। নয়ানগরে নাতি রঞ্জিত চৌধুরী ও নাতবৌ রীনা দাস চৌধুরীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দাদুকে ঠিক মতো খেতে দিত না নাতি ও নাতবৌ। সম্পত্তি লিখিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার দাদুকে চাপ দিত। সোমবার রাতে দাদুর সঙ্গে একপ্রস্থ ঝামেলাও হয়। পাড়াপ্রতিবেশী কয়েকজন গিয়ে বিবাদ মিটিয়েও দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ফের ঝামেলা শুরু হয়। ফের পড়শিরা চৌধুরীদের বাড়ি যান। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন বৃদ্ধ লক্ষ্মণ। ঘরে ঢুকে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন তিনি।

EiSamay.Com 11 Feb 2020, 10:42 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পত্তির লোভে লাঠি দিয়ে প্রথমে মাথায় আঘাত। তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে দাদুকে খুনের অভিযোগ উঠল নাতি ও নাতবৌয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কাঁকিনাড়ার নয়ানগরের। ভাটপাড়া থানার পুলিশ দুজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অভিযুক্ত দুজনের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন পরিবার ও পড়শিরা।
EiSamay.Com 1577262208-NAGORIKBARTA-খুন
-


মৃতের নাম লক্ষ্মণ চৌধুরী (৮৩)। নয়ানগরে নাতি রঞ্জিত চৌধুরী ও নাতবৌ রীনা দাস চৌধুরীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দাদুকে ঠিক মতো খেতে দিত না নাতি ও নাতবৌ। সম্পত্তি লিখিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার দাদুকে চাপ দিত। সোমবার রাতে দাদুর সঙ্গে একপ্রস্থ ঝামেলাও হয়। পাড়াপ্রতিবেশী কয়েকজন গিয়ে বিবাদ মিটিয়েও দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ফের ঝামেলা শুরু হয়। ফের পড়শিরা চৌধুরীদের বাড়ি যান। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন বৃদ্ধ লক্ষ্মণ। ঘরে ঢুকে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন তিনি।

প্রতিবেশী অমরদীপ সাউ বলেন, 'আমরা সকালে প্রথম যখন যাই, তখন স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই চালানোর চেষ্টা করছিল দুজনে। কিন্তু সিঁড়িতে রক্ত পড়ে থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে রক্ত আবার ধুয়েও দেয়। খাটের নীচে দু'টি লাঠিও চোখে পড়ে আমাদের। তখনই নাতি-নাতবৌকে চেপে ধরি। তখনই ওদের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে।' এরপরেই ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা নাতি ও নাতবৌকে ধরে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ভাটপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে দু'জনকে আটক করে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, নাতি-নাতবৌ মিলে প্রথমে লাঠি দিয়ে দাদুর মাথায় আঘাত করে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য মাস চারেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রঞ্জিতের মা শোভা চৌধুরীর। আট মাস আগে দিদা শান্তি চৌধুরীরও মারা যান। তাঁদেরও রঞ্জিত ও তার বৌ ঠিকঠাক খেতে দিত না এবং সম্পত্তির জন্য জুলুম করত বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের সন্দেহ তাদের খুন করেছে এই দুজন।

লক্ষ্মণের মেয়ে রানি চৌধুরী বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে চলে আসেন। তিনি বলেন, 'সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য বহুদিন ধরেই চাপ সৃষ্টি করছিল আমার ভাইপো আর ভাইপোর বৌ। কিন্তু বাবা রাজি না হওয়ায় ওরা খুন করল। এক বছরের মধ্যে মা ও দিদার মৃত্যুও এখন সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।' বাসিন্দারা অভিযুক্ত দু'জনের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশ কর্তা বলেন, 'স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বাড়ির লোকের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল