গোয়াল ঘরে জন্ম শিশুর, নাড়ি না কেটেই মা ও সদ্যোজাতকে ফেরাল হাসপাতাল!
South 24 Parganas: বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি অ্যাম্বুল্যান্স(Ambulance) পরিষেবা। অগত্যা গোয়ালঘরেই প্রসব করলেন এক মহিলা। বিষয়টি ঠিক কী, জেনে নিন বিস্তারিত…
Lipi 25 Jul 2021, 4:33 pm
হাইলাইটস
- সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের হেল্পলাইনে বারবার ফোন করেও মেলেনি পরিষেবা।
- অগত্যা প্রসব বেদনায় কাতর অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে টোটোয় চড়িয়েই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিজনেরা।
- ফলে স্থানীয় মহিলাদের সাহায্যে রাস্তার পাশে একটি গোয়ালঘরেই সন্তান প্রসব করেন তিনি।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স হেল্পলাইনে বারবার ফোন করেও মেলেনি পরিষেবা। অগত্যা প্রসব বেদনায় কাতর অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে টোটোয় চড়িয়েই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিজনেরা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই প্রসব বেদনা চরমে ওঠে। ফলে স্থানীয় মহিলাদের সাহায্যে রাস্তার পাশে একটি গোয়ালঘরেই সন্তান প্রসব করেন তিনি। বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে দুর্ভোগের এখানেই শেষ নয়, সন্তান প্রসবের পর বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে করে মা ও সন্তানকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সদ্যজাতের জন্ম সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি মা ও শিশুটির মধ্যেকার নাড়ি কাটতেও অস্বীকার করেন নার্সরা। তারপর প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে চুনাখালিতে এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে মা ও শিশুটির নাড়ি কাটার ব্যবস্থা করেন পরিবারের সদস্যরা। আপাতত মা ও সন্তান সেখানেই চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনায় ক্যানিং মহকুমার সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগের কাঠগড়ায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল।
জানা গিয়েছে, চরম দুর্ভোগের শিকার মিতা খন্ডিত নামে ওই অন্তঃসত্ত্বা গোসাবার পূর্ব রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাঁকে ছোট মোল্লাখালি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু রক্তচাপ বেশি থাকায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। দীর্ঘ নদীপথ পেরিয়ে রোগীকে নিয়ে চুনাখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। মিতার পরিবারের অভিযোগ, নদীপথে আসার সময় বারবারে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ১০২ নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। তারপর রাস্তায় সন্তান প্রসবের পর নাড়ি সহ মা ও সদ্যজাতকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা তাঁদের কোনও পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনায় ক্যানিংয়ের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও মিতার পরিবার এখনও পর্যন্ত ক্যানিং হাসপাতালের বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। মিতার স্বামীর কথায়, মা ও সন্তানকে বাঁচানোই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জানা গিয়েছে, চরম দুর্ভোগের শিকার মিতা খন্ডিত নামে ওই অন্তঃসত্ত্বা গোসাবার পূর্ব রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাঁকে ছোট মোল্লাখালি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু রক্তচাপ বেশি থাকায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। দীর্ঘ নদীপথ পেরিয়ে রোগীকে নিয়ে চুনাখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। মিতার পরিবারের অভিযোগ, নদীপথে আসার সময় বারবারে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ১০২ নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। তারপর রাস্তায় সন্তান প্রসবের পর নাড়ি সহ মা ও সদ্যজাতকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা তাঁদের কোনও পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনায় ক্যানিংয়ের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও মিতার পরিবার এখনও পর্যন্ত ক্যানিং হাসপাতালের বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। মিতার স্বামীর কথায়, মা ও সন্তানকে বাঁচানোই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।