এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এবার এক মহিলার শরীরও পরিণত হয়েছে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে। লোহার জিনিস আকর্ষণ করছে ওই মহিলার শরীরে। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত বেলতলা চৌধুরী পাড়া এলাকায়। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বারাসতের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, বারাসত বেলতলা চৌধুরী পাড়া এলাকার বাসিন্দা সৌমেন নস্কর প্রথম টিভিতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ‘ম্যাগনেট ম্যান’-এ পরিণত হওয়ার খবরটি জানতে পারেন। সম্প্রতি তাঁর মা, বাবাও করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন। ফলে ভ্যাকসিন নিলেই ‘ম্যাগনেট ম্যান’ হতে হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হয় সৌমেনের মনে। পরীক্ষা করতে সোমবার তিনি তাঁর বাবা, মায়ের শরীরে লোহার সামগ্রী ঠেকান। বাবার শরীরে কিছু না হলেও মায়ের শরীরে চুম্বকত্বের প্রমাণ পেয়েছেন। সৌমেন জানান, চৌম্বকত্বের ক্ষমতা খুব বেশি না হলেও লোহার জিনিস তাঁর মায়ের শরীরে আকর্ষিত হচ্ছে। এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বারাসতের এই নস্কর পরিবার। কী করবে তা ভেবে না পেয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনাটি সম্প্রচার করার আবেদন করে এবং কী করণীয় তা প্রশাসনের কাছে জানতে চায় এই পরিবার।
যদিও শরীরে চৌম্বকত্ব তৈরি হওয়ার সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি জানান বারাসত হাসপাতালের সুপার ডা. সুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, প্রতিদিন বারাসত জেলা হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এরকম কোনো ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমনকি বেলতলা চৌধুরী পাড়ার নস্কর পরিবারের ঘটনার সঙ্গেও করোনা ভ্যাকসিনের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি জানিয়ে ডা. সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা একটু ব্যথা অনুভব করতে পারেন যে কোনো মানুষ। এর বাইরে এখনও পর্যন্ত তেমন কোন কিছু শোনা যায়নি। আর শরীরে চৌম্বকত্ব তৈরির ঘটনার সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও কোনো সম্পর্ক নেই। যদি সেরকম কিছু কারোর শরীরে অনুভূত হয়ে থাকে তাহলে তাঁর শরীরের অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই প্রকৃত কারণ বলা যেতে পারে।’ এরকম কেউ থাকলে তাঁকে বারাসত হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দিয়েছেন সুব্রতবাবু।
যদিও কেবল বারাসত নয়, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ির পর এদিন হুগলির কোন্নগরের এক ব্যক্তির শরীরেও চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কোন্নগরের এম.এন বোস এলাকার ব্যবসায়ী গৌতম কুমার দে কয়েকদিন আগেই ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন আচমকাই ১০ টাকার কয়েন বুকে রাখলে সেটা লেগে থাকে। তারপর লোহার যে কোনো জিনিস শরীরে লাগালে সেটিও চুম্বকের মতো লেগে যায়। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন গৌতমবাবু ইতিমধ্যে পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো জবাব মেলেনি। তবে তাঁর অভিযোগ, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই শরীরে চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি গৌতমবাবু আতঙ্কিত বলেও জানান। তবে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে চৌম্বকত্ব সৃষ্টির বিষয়টি নিছক গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে রায়গঞ্জে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাই এই রহস্যের পর্দা ফাঁস করেছেন।
এদিন রায়গঞ্জ ব্লকের রায়পুরে হঠাৎই খবর আসে, কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই ওই এলাকার কয়েকজনের শরীরে শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। পয়সা থেকে শুরু করে চাবির রিং, হাতা, খুন্তি সহ লোহার সমস্ত সামগ্রীই আটকে যাচ্ছে শরীরে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। যাঁদের শরীরে লোহার জিনিস আটকে যাচ্ছিল, তাঁদের শরীরে ভালো করে পাউডার লাগানোর ব্যবস্থা করেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কী আশ্চর্য! এরপর শরীরে আর কোনো কিছুই আটকে থাকল না। অর্থাৎ গোটা ঘটনা যে নেহাতই গুজব, তা স্পষ্ট হল। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন এলাকাবাসীও। হীরালাল দাস নামে একগ্রামবাসীর কথায়, ‘কোভিডের দুটি ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর আমার শরীরে লোহার জিনিস আটকে যাচ্ছিল। কিন্তু পরে পাউডার দেওয়ার পর সেই সমস্যা কেটে গিয়েছে। মনে হচ্ছে চুম্বকত্বের ব্যাপারটি গুজব।’ এপ্রসঙ্গে গ্রামীণ ডাক্তার সম্পদ দাস বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে শরীরে চুম্বকত্ব সৃষ্টির ঘটনা যে গুজব, তা প্রমাণিত হয়েছে। মানুষকে এবিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে পাথরের গনেশ মূর্তিকে দুধ খাওয়ানো কিংবা পাথরের বিগ্রহের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ-হিস্ট্রিরিয়া তৈরি হয়েছিল জনমানসে। ধর্মীয় স্থানগুলিতে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। শেষপর্যন্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় প্রমাণিত হয়, এসবই কুসংস্কার। করোনাকালে এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ছে জেলায় জেলায়।
যদিও শরীরে চৌম্বকত্ব তৈরি হওয়ার সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি জানান বারাসত হাসপাতালের সুপার ডা. সুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, প্রতিদিন বারাসত জেলা হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এরকম কোনো ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমনকি বেলতলা চৌধুরী পাড়ার নস্কর পরিবারের ঘটনার সঙ্গেও করোনা ভ্যাকসিনের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি জানিয়ে ডা. সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা একটু ব্যথা অনুভব করতে পারেন যে কোনো মানুষ। এর বাইরে এখনও পর্যন্ত তেমন কোন কিছু শোনা যায়নি। আর শরীরে চৌম্বকত্ব তৈরির ঘটনার সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও কোনো সম্পর্ক নেই। যদি সেরকম কিছু কারোর শরীরে অনুভূত হয়ে থাকে তাহলে তাঁর শরীরের অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই প্রকৃত কারণ বলা যেতে পারে।’ এরকম কেউ থাকলে তাঁকে বারাসত হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দিয়েছেন সুব্রতবাবু।
যদিও কেবল বারাসত নয়, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ির পর এদিন হুগলির কোন্নগরের এক ব্যক্তির শরীরেও চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কোন্নগরের এম.এন বোস এলাকার ব্যবসায়ী গৌতম কুমার দে কয়েকদিন আগেই ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন আচমকাই ১০ টাকার কয়েন বুকে রাখলে সেটা লেগে থাকে। তারপর লোহার যে কোনো জিনিস শরীরে লাগালে সেটিও চুম্বকের মতো লেগে যায়। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন গৌতমবাবু ইতিমধ্যে পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো জবাব মেলেনি। তবে তাঁর অভিযোগ, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই শরীরে চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি গৌতমবাবু আতঙ্কিত বলেও জানান। তবে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে চৌম্বকত্ব সৃষ্টির বিষয়টি নিছক গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে রায়গঞ্জে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাই এই রহস্যের পর্দা ফাঁস করেছেন।
এদিন রায়গঞ্জ ব্লকের রায়পুরে হঠাৎই খবর আসে, কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই ওই এলাকার কয়েকজনের শরীরে শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। পয়সা থেকে শুরু করে চাবির রিং, হাতা, খুন্তি সহ লোহার সমস্ত সামগ্রীই আটকে যাচ্ছে শরীরে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। যাঁদের শরীরে লোহার জিনিস আটকে যাচ্ছিল, তাঁদের শরীরে ভালো করে পাউডার লাগানোর ব্যবস্থা করেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কী আশ্চর্য! এরপর শরীরে আর কোনো কিছুই আটকে থাকল না। অর্থাৎ গোটা ঘটনা যে নেহাতই গুজব, তা স্পষ্ট হল। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন এলাকাবাসীও। হীরালাল দাস নামে একগ্রামবাসীর কথায়, ‘কোভিডের দুটি ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর আমার শরীরে লোহার জিনিস আটকে যাচ্ছিল। কিন্তু পরে পাউডার দেওয়ার পর সেই সমস্যা কেটে গিয়েছে। মনে হচ্ছে চুম্বকত্বের ব্যাপারটি গুজব।’ এপ্রসঙ্গে গ্রামীণ ডাক্তার সম্পদ দাস বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে শরীরে চুম্বকত্ব সৃষ্টির ঘটনা যে গুজব, তা প্রমাণিত হয়েছে। মানুষকে এবিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে পাথরের গনেশ মূর্তিকে দুধ খাওয়ানো কিংবা পাথরের বিগ্রহের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ-হিস্ট্রিরিয়া তৈরি হয়েছিল জনমানসে। ধর্মীয় স্থানগুলিতে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। শেষপর্যন্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় প্রমাণিত হয়, এসবই কুসংস্কার। করোনাকালে এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ছে জেলায় জেলায়।