আশিস নন্দী, শাসন সন্দেহভাজন দুই আল কায়দা জঙ্গির গ্রেপ্তারির পরই শিরোনামে চলে এসেছে কলকাতার একেবারে গায়ে শাসনের খড়িবাড়ি এলাকা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মেরেকেটে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে এই খড়িবাড়িকেই মিটিং পয়েন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছিল সন্দেহভাজন দুই আল কায়দা জঙ্গি। খড়িবাড়ির বুক চিরে বেরিয়ে গেছে বেলিয়াঘাটা-রাজারহাট রোড। এই রাস্তা ধরে কলকাতা থেকে রাজারহাট হয়ে কামদুনি, শাসন, খড়িবাড়ি, আমিনপুর হয়ে সোজা পৌঁছে যাওয়া যায় বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে। এসটিএফের গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, বাংলাদেশ সীমান্তের এই সহজ করিডরটিকেই টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা।
বুধবার রাতে নির্দিষ্ট সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বারাসত ২ ব্লকের শাসন থানার বেলিয়াঘাটা-রাজারহাট রোডের চৌমহা ব্যাকের মোড় থেকে আল কায়দার দুই সন্দেহভাজন সদস্য আব্দুর রাকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। চওড়া রাস্তার দু'ধারে মাছের ভেড়ি। খড়িবাড়িতে গ্রামের ভিতরের দিকে জনবসতি থাকলেও রাস্তার দু'পাশ তুলনামূলক ভাবে নির্জন। দুই জঙ্গিকে যেখান থেকে এসটিএফ বুধবার রাতে ধরেছে, সেখানটা একেবারেই জনবিরল। কাছাকাছি একটি পেট্রল পাম্প ছাড়া কিছুই নেই।
তবে সম্প্রতি ওই এলাকায় রাস্তা চওড়া হওয়ায় রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি ছোটখাটো চায়ের বা খাবারের দোকান হয়েছে। ইদানীং কলকাতা থেকে বা বারাসত থেকে যাওয়া গাড়ির যাত্রীরা ওখানে গাড়ি বা বাইক থামিয়ে চা কফি খায়। ভেড়ি এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ছবি তুলতেও আসেন অনেকে। সেই সুবাদে বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে ওই দোকানগুলি ঘিরে কিছুটা ভিড় হয়।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে খড়িবাড়ি মোড়। সেখানে মাছের আড়তকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের ভিড় লেগেই থাকে। ভিনরাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে ওই এলাকায় থাকে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এলাকায় অচেনা মুখ দেখা খুব স্বাভাবিক হয়ে ঠেকেছে। রাকিব ও আহসানের খোঁজে মাস তিনেক আগেও এলাকায় আসেন এসটিএফের গোয়ন্দারা। স্থানীয়দের সঙ্গে এই দু'জনের নাম করে খোঁজখবর করলেও এদের সম্পর্কে স্থানীয়রা বিশেষ কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু মাস দুই-তিন ধরে এই এলাকায় এদের আসা যাওয়ার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছেছিল স্থানীয় কোনও সূত্রেই।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, শহর থেকে এত সহজে সোজা রাস্তা ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পৌঁছে যাওয়ার এই রুটটাকে সেফ জোন হিসেবেই বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। স্থানীয় কীর্তিপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান রবিউল ইসলাম বলেন, 'দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের খবর মিডিয়ার কাছ থেকেই জেনেছি। খড়িবাড়ি মাছের আড়তের কাছে ভিন রাজ্যের অনেকেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। তাদের সবাইকেই চিনি। তাদের পরিচয়পত্রও রয়েছে পঞ্চায়েতে। কিন্তু এদের দু'জনকে আগে দেখিনি।'
স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, 'এলাকা থেকে দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের কথা শুনেছি। কিন্তু লোকদুটোকে আগে দেখিনি।' স্থানীয় দোকানদার সাইদন বিবি এবং মাসু খাতুন বলেন, 'ব্যাকের মোড় থেকে জঙ্গি ধরা পড়েছে বলে সকাল থেকে হইচই হচ্ছে। কিন্তু এদের আগে কখনও দেখিনি।'
বুধবার রাতে নির্দিষ্ট সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বারাসত ২ ব্লকের শাসন থানার বেলিয়াঘাটা-রাজারহাট রোডের চৌমহা ব্যাকের মোড় থেকে আল কায়দার দুই সন্দেহভাজন সদস্য আব্দুর রাকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। চওড়া রাস্তার দু'ধারে মাছের ভেড়ি। খড়িবাড়িতে গ্রামের ভিতরের দিকে জনবসতি থাকলেও রাস্তার দু'পাশ তুলনামূলক ভাবে নির্জন। দুই জঙ্গিকে যেখান থেকে এসটিএফ বুধবার রাতে ধরেছে, সেখানটা একেবারেই জনবিরল। কাছাকাছি একটি পেট্রল পাম্প ছাড়া কিছুই নেই।
তবে সম্প্রতি ওই এলাকায় রাস্তা চওড়া হওয়ায় রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি ছোটখাটো চায়ের বা খাবারের দোকান হয়েছে। ইদানীং কলকাতা থেকে বা বারাসত থেকে যাওয়া গাড়ির যাত্রীরা ওখানে গাড়ি বা বাইক থামিয়ে চা কফি খায়। ভেড়ি এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ছবি তুলতেও আসেন অনেকে। সেই সুবাদে বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে ওই দোকানগুলি ঘিরে কিছুটা ভিড় হয়।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে খড়িবাড়ি মোড়। সেখানে মাছের আড়তকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের ভিড় লেগেই থাকে। ভিনরাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে ওই এলাকায় থাকে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এলাকায় অচেনা মুখ দেখা খুব স্বাভাবিক হয়ে ঠেকেছে। রাকিব ও আহসানের খোঁজে মাস তিনেক আগেও এলাকায় আসেন এসটিএফের গোয়ন্দারা। স্থানীয়দের সঙ্গে এই দু'জনের নাম করে খোঁজখবর করলেও এদের সম্পর্কে স্থানীয়রা বিশেষ কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু মাস দুই-তিন ধরে এই এলাকায় এদের আসা যাওয়ার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছেছিল স্থানীয় কোনও সূত্রেই।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, শহর থেকে এত সহজে সোজা রাস্তা ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পৌঁছে যাওয়ার এই রুটটাকে সেফ জোন হিসেবেই বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। স্থানীয় কীর্তিপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান রবিউল ইসলাম বলেন, 'দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের খবর মিডিয়ার কাছ থেকেই জেনেছি। খড়িবাড়ি মাছের আড়তের কাছে ভিন রাজ্যের অনেকেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। তাদের সবাইকেই চিনি। তাদের পরিচয়পত্রও রয়েছে পঞ্চায়েতে। কিন্তু এদের দু'জনকে আগে দেখিনি।'
স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, 'এলাকা থেকে দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের কথা শুনেছি। কিন্তু লোকদুটোকে আগে দেখিনি।' স্থানীয় দোকানদার সাইদন বিবি এবং মাসু খাতুন বলেন, 'ব্যাকের মোড় থেকে জঙ্গি ধরা পড়েছে বলে সকাল থেকে হইচই হচ্ছে। কিন্তু এদের আগে কখনও দেখিনি।'