নৈহাটি, অশীন বিশ্বাস : এবার ৯৯ বছরে পড়ল নৈহাটির (Naihati) 'বড় মা'-র পুজো। যে পুজোর খ্যাতি এখন নৈহাটির গণ্ডি পেরিয়ে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এই 'বড় মা'-র টানে প্রতি বছর কালীপুজোর (Kali Puja 2022) দিনে ভিড় জমান লক্ষাধিক ভক্ত। এ বছর থেকেই পুজোর শতবর্ষের প্রস্তুতিও শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা। যেখানে নতুন ভবন তৈরির পাশাপাশি ফটো ফ্রেমের পরিবর্তে মায়ের স্থায়ী মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে। নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পুজো। বলা হয়, কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে নবদ্বীপের রাস উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রাধাকৃষ্ণের বিশাল মূর্তি দেখে ভবেশ মনস্থির করেন উঁচু প্রতিমা বানিয়ে তাঁরাও কালীপুজো করবেন। সেইমতো নৈহাটি ফিরে ২১ ফুটের কালীপ্রতিমা বানিয়ে পুজো শুরু করেন। যা প্রথমে 'ভবেশ কালী' নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু লোকমুখে তা ধীরে ধীরে 'বড় মা' হয়ে যায়।
দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপুজোর বিশেষ দিনে 'বড় মা'-র পুজো শুরু না হলে নৈহাটির কোনও পুজো হয় না। আবার 'বড় মা'-র বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির কোনও প্রতিমার বিসর্জন হয় না। বৈষ্ণব মতে দক্ষিণাকালীরূপে পূজিতা হন 'বড় মা'। তাই কোনও বলিদানের প্রচলন নেই এই পুজোয়। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন কাঠামো পুজো হয়। সেই দিন থেকেই ২১ ফুটের প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। 'বড় মা'র পুজোয় কোনও চাঁদা নেওয়া হয় না। সারা বছর ধরে ভক্তদের দেওয়া অনুদানের টাকায় মায়ের পুজো হয়। তেমনই ভক্তদের দেওয়া একশো ভরি সোনা এবং দুশো ভরি রুপোর অলঙ্কারে মাকে সাজানো হয়।
পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, 'গত দু'বছর বিধিনিষেধ থাকলেও এ বার সশরীরে হাজির হয়ে ভক্তরা যেমন পুজো দিতে পারবেন তেমনই ভার্চুয়াল পুজো দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ বারও দণ্ডি কাটবেন ভক্তরা। সেই মতো নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর দিন মাখা সন্দেশ, পোলাও ও খিচুড়ি মাকে ভোগ দেওয়া হবে৷ এ ছাড়া ভাইফোঁটার দিন লাড্ডু, তারপরের দিন কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া এবং বিসর্জনের দিন ভোগ হিসেবে মাকে বোঁদে দেওয়া হবে।' জানা গেল, পুজোর দিনে যে বিপুল পরিমাণ ফল জমা পড়ে, তা হাসপাতালগুলিতে যেমন বিতরণ করা হয়, তেমনই পুজোর শাড়ি দান করা হয় দুঃস্থদের। বেনারসি শাড়ি কোনও গরিব পরিবারের মেয়ের বিয়েতে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
এ বছর থেকেই শতবর্ষের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের আট কাঠা জমিতে চার তলা ভবন তৈরি হচ্ছে। যে ভবনে পাকাপাকি কষ্টি পাথরের কালীমূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূর্তিটি আনা হবে উদয়পুর থেকে। প্রসঙ্গত, বলে রাখা দরকার 'বড় মা'র বিসর্জনের পর মায়ের ছবিতেই এত বছর ধরে পুজো হয়ে এসেছে।
নতুন ভবনে বৃদ্ধাশ্রম করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে নিখরচায় অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধারা থাকতে পারবেন। পাশাপাশি একসঙ্গে অনেক মানুষের ভোগ খাওয়ার জায়গা, অতিথি নিবাসও করারও পরিকল্পনা নিয়েছে 'বড় মা' পুজো কমিটি। নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'নতুন যা যা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করে শতবর্ষেই মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মানুষের অনুদানের টাকাতেই গোটা কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।'
দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপুজোর বিশেষ দিনে 'বড় মা'-র পুজো শুরু না হলে নৈহাটির কোনও পুজো হয় না। আবার 'বড় মা'-র বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির কোনও প্রতিমার বিসর্জন হয় না। বৈষ্ণব মতে দক্ষিণাকালীরূপে পূজিতা হন 'বড় মা'। তাই কোনও বলিদানের প্রচলন নেই এই পুজোয়। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন কাঠামো পুজো হয়। সেই দিন থেকেই ২১ ফুটের প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। 'বড় মা'র পুজোয় কোনও চাঁদা নেওয়া হয় না। সারা বছর ধরে ভক্তদের দেওয়া অনুদানের টাকায় মায়ের পুজো হয়। তেমনই ভক্তদের দেওয়া একশো ভরি সোনা এবং দুশো ভরি রুপোর অলঙ্কারে মাকে সাজানো হয়।
পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, 'গত দু'বছর বিধিনিষেধ থাকলেও এ বার সশরীরে হাজির হয়ে ভক্তরা যেমন পুজো দিতে পারবেন তেমনই ভার্চুয়াল পুজো দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ বারও দণ্ডি কাটবেন ভক্তরা। সেই মতো নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর দিন মাখা সন্দেশ, পোলাও ও খিচুড়ি মাকে ভোগ দেওয়া হবে৷ এ ছাড়া ভাইফোঁটার দিন লাড্ডু, তারপরের দিন কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া এবং বিসর্জনের দিন ভোগ হিসেবে মাকে বোঁদে দেওয়া হবে।' জানা গেল, পুজোর দিনে যে বিপুল পরিমাণ ফল জমা পড়ে, তা হাসপাতালগুলিতে যেমন বিতরণ করা হয়, তেমনই পুজোর শাড়ি দান করা হয় দুঃস্থদের। বেনারসি শাড়ি কোনও গরিব পরিবারের মেয়ের বিয়েতে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
এ বছর থেকেই শতবর্ষের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের আট কাঠা জমিতে চার তলা ভবন তৈরি হচ্ছে। যে ভবনে পাকাপাকি কষ্টি পাথরের কালীমূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূর্তিটি আনা হবে উদয়পুর থেকে। প্রসঙ্গত, বলে রাখা দরকার 'বড় মা'র বিসর্জনের পর মায়ের ছবিতেই এত বছর ধরে পুজো হয়ে এসেছে।
নতুন ভবনে বৃদ্ধাশ্রম করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে নিখরচায় অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধারা থাকতে পারবেন। পাশাপাশি একসঙ্গে অনেক মানুষের ভোগ খাওয়ার জায়গা, অতিথি নিবাসও করারও পরিকল্পনা নিয়েছে 'বড় মা' পুজো কমিটি। নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'নতুন যা যা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করে শতবর্ষেই মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মানুষের অনুদানের টাকাতেই গোটা কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।'