অ্যাপশহর

তৃণমূল নেতা খুনের চেষ্টায় ধৃত প্রধান অভিযুক্ত

অভিযোগ, আগেও বার দুই রাখালের দলবল বিনোদকে মারার চেষ্টা করেছিল। প্রতিবারই বেঁচে যান বিনোদ। ইতিমধ্যে বিনোদ রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে শাসকদলের স্থানীয় নেতা হয়ে ওঠেন। মধ্যমগ্রাম পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সভাপতির দায়িত্ব পান। মাস দেড়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় রাখাল। কিন্তু বিনোদের দাপটে এলাকায় ঢুকতেই পারছিল না সে।

EiSamay.Com 29 Sep 2019, 5:17 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বোমাবাজি ও যুবনেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত রাখাল নন্দীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এই রাখালের সঙ্গেই প্রোমোটিং, সিন্ডিকেটের বাঁটোয়ারা এবং এলাকার দখলদারি নিয়ে বিনোদ সিংয়ের ঝামেলা অনেকদিনের। রাখাল বেশ কয়েক বছর জেলে ছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বিনোদকে খুনের ছক কষে। ৯ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের পার্টি অফিসে যখন অনুগামীদের নিয়ে বসেছিলেন বিনোদ, তখন রাখালের দলবল হামলা চালায়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন বিনোদ। পুলিশ তদন্তে নেমে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু রাখাল অধরাই ছিল। শনিবার সেই রাখাল-সহ এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। এদের মধ্যে রাখালের ছেলে বিশালও আছে।
EiSamay.Com shutterstock_458574955


অভিযোগ, আগেও বার দুই রাখালের দলবল বিনোদকে মারার চেষ্টা করেছিল। প্রতিবারই বেঁচে যান বিনোদ। ইতিমধ্যে বিনোদ রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে শাসকদলের স্থানীয় নেতা হয়ে ওঠেন। মধ্যমগ্রাম পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সভাপতির দায়িত্ব পান। মাস দেড়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় রাখাল। কিন্তু বিনোদের দাপটে এলাকায় ঢুকতেই পারছিল না সে। এমনিতেই রাখাল মনে করত, বিনোদের কলকাঠি নাড়াতেই তাকে জেলে যেতে হয়েছে। তারপর এলাকায় ঢুকতে না পেরে বিনোদকে মারার ছক কষে। কিন্তু তৃতীয়বারের চেষ্টাতেও ব্যর্থ হয় রাখাল।

৯ সেপ্টেম্বর ভরসন্ধেয় মধ্যমগ্রামের কদমতলা বাজারে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসেছিলেন লক্ষ করে বোমাবাজি রাখালের দলবল। তৃণমূলের যুব সভাপতি বিনোদ সিংকে গুলিও করে। দুষ্কৃতীদের গুলি বিনোদ সিংয়ের মাথা ছুঁয়ে গিয়েছিল। গুরুতর জখম হয়েছিলেন বিনোদ সিং।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পুলিশের বুঝতে বাকি ছিল না এই হামলার পিছনে রয়েছে রাখালের মস্তিষ্ক। তারপর থেকেই রাখালের খোঁজ চলছিল। অথচ রাখাল আর বিনোদ একসময় একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দেগঙ্গার টাকি রোড থেকে শনিবার একজনকে নিষিদ্ধ তরল মাদক-সহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জানা যায় এই দুষ্কৃতীই মধ্যমগ্রামে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাখাল নন্দী। রাখালে গ্রেপ্তারির দিনে আরও চারজনও ধরা পড়ে। তারা কেউ কলকাতা অথবা মধ্যমগ্রাম থেকে। ধৃতরা হল বিশাল নন্দী, কুণাল সরকার, গনেশ হেলা, সানি সিং।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল