এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর দুদিনে দুটি রায়। এই বাংলার দুই আদালতের রায়েই এখন যেন আশার আলো দেখছেন নির্যাতিতারা। বছর পাঁচেক আগে হুগলির বলাগড়ে এক বালিকাকে অপহরণ করে নৃশংস খুন এবং তার আগে-পরে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দু'জনকে সোমবার ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল চুঁচুড়া জেলা আদালত। তারপরে কাটল না ২৪ ঘণ্টাও। এবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দুই আসামিকে ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত। ঘটনা অবশ্য ১৩ বছর আগে ২০০৭ সালের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বনহুগলি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিয়ারি মালপাড়া এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ৩ জনের বিরুদ্ধে। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই নাবালিকাকে। খুনের পর দেহ ফেলে দেওয়া হয় জলাশয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে ৩ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তাঁর বিচার হচ্ছিল জুভেনাইল কোর্টে। বাকি দুই অভিযুক্ত সাবির আলি লস্কর ও পালান লস্করের বিচার চলছিল বারুইপুর জেলা ও দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। এদিন সেখানেই দুই অাসামিকে ফাঁসির সাজা শোনালেন বিচারক।
অপরদিকে সোমবার বলাগড়ের ঘটনায় আসামি গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু ও কৌশিক মালিককে চরম সাজা শোনান চুঁচুড়া আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মানসরঞ্জন সান্যাল। অপহরণের পর চিৎকার করছিল নাবালিকা। গলা টিপে খুনের আগে এগারো বছরের মেয়েটিকে বারবার গণধর্ষণ করা হয়। তার লাশকেও রেহাই দেয়নি ওই পিশাচরা। মৃত্যুর পরও চলে গণধর্ষণ। শেষে কোদাল দিয়ে দেহ টুকরো করে বস্তায় ভরে পুঁতে দেওয়া হয় গঙ্গার চরে। মামলাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে আসামিদের ফাঁসির সাজা দেন বিচারক।
ঘটনার তদন্তে নেমে ৩ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তাঁর বিচার হচ্ছিল জুভেনাইল কোর্টে। বাকি দুই অভিযুক্ত সাবির আলি লস্কর ও পালান লস্করের বিচার চলছিল বারুইপুর জেলা ও দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। এদিন সেখানেই দুই অাসামিকে ফাঁসির সাজা শোনালেন বিচারক।
অপরদিকে সোমবার বলাগড়ের ঘটনায় আসামি গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু ও কৌশিক মালিককে চরম সাজা শোনান চুঁচুড়া আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মানসরঞ্জন সান্যাল। অপহরণের পর চিৎকার করছিল নাবালিকা। গলা টিপে খুনের আগে এগারো বছরের মেয়েটিকে বারবার গণধর্ষণ করা হয়। তার লাশকেও রেহাই দেয়নি ওই পিশাচরা। মৃত্যুর পরও চলে গণধর্ষণ। শেষে কোদাল দিয়ে দেহ টুকরো করে বস্তায় ভরে পুঁতে দেওয়া হয় গঙ্গার চরে। মামলাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে আসামিদের ফাঁসির সাজা দেন বিচারক।