Gobardanga: গোবরডাঙার জমিদার বাড়ির ৩১১ বছরের আড়ম্বরহীন দুর্গাপুজোয় নেই নিয়মের কোনও ফাঁক
Durga Pujo 2022 বাঙালিদের দুর্গাপুজোর একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নস্টালজিয়া। বিশেষ করে বনেদী বাড়ি হলে তো পুজোর কয়েকটা দিন বাড়ি সেজে ওঠে আলো, রোশনাই-এ । গম গম করে লোকজন। ঠিক এমনই এবার ৩১১ বছরে পা দিল গোবরডাঙার জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। একসময় জমিদার বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনের পর গ্রাম বা বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হত। এখন আর সেসব হয় না। আড়ম্বরও আর নেই এই পুজোয়।
Lipi 21 Sep 2022, 11:28 am
হাইলাইটস
- ৩১১ বছরে পড়ল গোবরডাঙা জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো।
- এই পুজোয় নেই কোনও আড়ম্বর ।
- তবে পুজো করা হয় সমস্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই।
বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবর্তন এসেছে অনেক কিছুতেই৷ সেই প্রভাব পড়েছে গোবরডাঙার জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোতেও৷ একসময় জমিদার বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনের পর গ্রাম বা বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হত। এখন সেসব অতীত। আড়ম্বরও আর নেই এই পুজোয়। তবে আড়ম্বরহীন পুজোতেও নিয়মটা রয়ে গিয়েছে গোবরডাঙার জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোয়। এবার ৩১১ বছরে পড়ল এই দুর্গাপুজোটি। এমনটাই জানালেন গোবরডাঙার জমিদার বংশের অষ্টম পুরুষ অঞ্জন প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।
গত দু'বছর করোনার কারণে মূর্তি পুজো বন্ধ ছিল। তার পরিবর্তে প্রসন্নময়ী কালী মন্দিরে ঘট পুজোর মাধ্যমে দুর্গাপুজো হয়। স্বাভাবিকভাবেই করোনার কারণে গত দু’বছর জমিদার বাড়িতে উৎসবের আমেজ ছিল না। কিন্তু এ বছর আবার মূর্তি পুজো শুরু হল। ফলে উৎসবের আমেজ আবারও ফিরে এসেছে গোবরডাঙা জমিদার বাড়িতে। জোরকদমে জমিদার বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে৷ এছাড়াও বাড়িতে রং করা সহ অন্যান্য কাজকর্মও চলছে।
সারা বছর হাতেগোনা কয়েকজন পরিবারের সদস্যরা থাকেন এই বাড়িতে। কিন্তু পুজোর সময় আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে সকলেই বাড়িতে আসেন। এই সময় দূর দূরান্ত থেকে পরিবারের সদস্যরা আসেন শারদোৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে৷ গমগম করে এই জমিদার বাড়িটি৷ পুজোর কটাদিন জমজমাট থাকে গোবরডাঙা জমিদার বাড়ি। একসময় দুর্গাপুজোয় মহিষ বলি হত। পাঠা বলি হত। ১৯৯৭ সাল থেকে বলি প্রথা বন্ধ। তার পরিবর্তে চালকুমড়ো, আখ বলি দেওয়া হয়। মধু, চিনি উৎসর্গ করা হয় দেবতার উদ্দেশ্যে। একচালার প্রতিমা হয়। বাবলা কাঠের কাঠামোয় তৈরি হয় প্রতিমা। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই নিয়ম আজও চলে আসছে। বিসর্জনের দিন আকাশে তারা দেখে বিসর্জন করার নিয়ম।
একসময় জমিদার বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনের পর গ্রাম বা বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হত। এখন আর সেসব হয় না। আড়ম্বরও আর নেই এই পুজোয়। আগে অনেক আড়ম্বর ছিল এই জমিদার বাড়ির পুজোয়৷ এখন জমিদারিও নেই৷ আর নেই আড়ম্বরও৷ তবে আড়ম্বর না থাকলেও, পুজো হয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনে৷ আজও প্রাচীন নিয়মই বহাল রয়ে গিয়েছে গোবরডাঙার জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোয়। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়ে আসছে এখানে৷ এমনটাই জানালেন বাড়ির সদস্যরা৷ নিয়ম মেনে ভক্তিভরে দেবী দুর্গার আধারনায় মাতেন পরিবরারে সকল সদস্য৷
গত দু'বছর করোনার কারণে মূর্তি পুজো বন্ধ ছিল। তার পরিবর্তে প্রসন্নময়ী কালী মন্দিরে ঘট পুজোর মাধ্যমে দুর্গাপুজো হয়। স্বাভাবিকভাবেই করোনার কারণে গত দু’বছর জমিদার বাড়িতে উৎসবের আমেজ ছিল না। কিন্তু এ বছর আবার মূর্তি পুজো শুরু হল। ফলে উৎসবের আমেজ আবারও ফিরে এসেছে গোবরডাঙা জমিদার বাড়িতে। জোরকদমে জমিদার বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে৷ এছাড়াও বাড়িতে রং করা সহ অন্যান্য কাজকর্মও চলছে।
সারা বছর হাতেগোনা কয়েকজন পরিবারের সদস্যরা থাকেন এই বাড়িতে। কিন্তু পুজোর সময় আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে সকলেই বাড়িতে আসেন। এই সময় দূর দূরান্ত থেকে পরিবারের সদস্যরা আসেন শারদোৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে৷ গমগম করে এই জমিদার বাড়িটি৷ পুজোর কটাদিন জমজমাট থাকে গোবরডাঙা জমিদার বাড়ি। একসময় দুর্গাপুজোয় মহিষ বলি হত। পাঠা বলি হত। ১৯৯৭ সাল থেকে বলি প্রথা বন্ধ। তার পরিবর্তে চালকুমড়ো, আখ বলি দেওয়া হয়। মধু, চিনি উৎসর্গ করা হয় দেবতার উদ্দেশ্যে। একচালার প্রতিমা হয়। বাবলা কাঠের কাঠামোয় তৈরি হয় প্রতিমা। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই নিয়ম আজও চলে আসছে। বিসর্জনের দিন আকাশে তারা দেখে বিসর্জন করার নিয়ম।
একসময় জমিদার বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনের পর গ্রাম বা বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হত। এখন আর সেসব হয় না। আড়ম্বরও আর নেই এই পুজোয়। আগে অনেক আড়ম্বর ছিল এই জমিদার বাড়ির পুজোয়৷ এখন জমিদারিও নেই৷ আর নেই আড়ম্বরও৷ তবে আড়ম্বর না থাকলেও, পুজো হয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনে৷ আজও প্রাচীন নিয়মই বহাল রয়ে গিয়েছে গোবরডাঙার জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোয়। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়ে আসছে এখানে৷ এমনটাই জানালেন বাড়ির সদস্যরা৷ নিয়ম মেনে ভক্তিভরে দেবী দুর্গার আধারনায় মাতেন পরিবরারে সকল সদস্য৷