এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দাদা জনপ্রিয় কাউন্সিলর। ভাই পুরসভারই কর্মী। পুরভবন চত্বরে পাশাপাশি দুই ভাইয়ের দেহ এনে রাখা হল বিকেল সোওয়া তিনটে নাগাদ। ভিড় তখন উপচে পড়েছে পুরভবন চত্বরে। দিনভর কোনও কাজ হয়নি পুরসভায়। এক পুরকর্মী বললেন, 'পুরসভা আজ খোলাই ছিল। কিন্তু আমাদের কারও কাজের মানসিকতা ছিল না। যারা পরিষেবা নিতে এসেছিলেন, তাঁদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি সকলে।'
শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বারাসত পুরসভার শিক্ষা দপ্তরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রদ্যোত ভট্টাচার্য ও তাঁর ভাই প্রণব ভট্টাচার্যের দেহ নিয়ে ফিরতে ফিরতে বেলা গড়িয়ে যায়। শববাহী গাড়িতে চাপিয়ে দুই ভাইকে প্রথমে নিয়ে আসা হয় পুরভবন চত্বরে। বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান দু'জনকে। মালা দেন তৃণমূল ও বিরোধী দলের কাউন্সিলররা, বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বও। মিনিট ৪৫ পর পুরভবন থেকে প্রদ্যোতের মরদেহ দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাঁদের সদ্যপ্রয়াত কাউন্সিলরকে সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানান। দুই ভাইয়ের দেহ এরপর আনা হয় কেএনসি রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর পাড়ার ক্লাব কেএনসি হয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দুই ভাইয়ের দেহ।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রদ্যোত ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে আগামী সাত দিন পুর এলাকায় তৃণমূলের যাবতীয় দলীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে। তিন দিন প্রদ্যোত এবং প্রণবের মৃত্যুতে শোক পালন করবে দল।'
বারাসত পুরভবন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, কেএনসি রোডের পার্টি অফিস, কেএনসি ক্লাব হয়ে প্রদ্যোত এবং প্রণবের দেহ যখন নয়নকাননে পৌঁছল তখন পাঁচটা বেজে গিয়েছে। অপ্রশস্ত নয়নকাননের গলি থেকে কেএনসি রোড তখন জনপ্লাবন। সকলেই এসেছেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও তাঁর ভাইকে শেষ দেখা দেখতে।
বাড়ির সামনে প্রথমে নামানো হয় প্রদ্যোতের দেহ। নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি মৌমিতা। স্বামীর মাথায় নিজের কপাল ছুঁয়ে বসে পড়েন তিনি। অঝোরে কেঁদেই চলেছেন। বাবার মৃতদেহের সামনে বসে সমানে তখন কাঁদছে মেয়ে সুতীর্থা। মা-মেয়েকে সামলাতে তখন বাকিদের হিমসিম অবস্থা। মৌমিতা মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি বুঝে প্রদ্যোতের দেহ তখন দ্রুত গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন পরিচিতরা।
প্রদ্যোতের পর আসে প্রণবের দেহ। এই প্রণবের ছেলের অন্নপ্রাশনের নেমন্তন্ন সেরে ফেরার পথে রবিবার চণ্ডীতলায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কয়েক জন আত্মীয়া প্রণবের স্ত্রী নন্দিনীকে আটকে রাখার চেষ্টা করছিলেন। সকলের হাত ছাড়িয়ে নন্দিনী চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলে ওঠেন, 'কি গো ওঠো। আর ঘুমিও না। চোখ মেলে একবার ছেলেটাকে দেখ।' সকলের চোখেই তখন জল। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রণবের ছেলে সোহমের অন্নপ্রাশন দিন স্থির হয়েছিল। ধুমধাম করে অন্নপ্রাশনের আয়োজনও করেছিলেন বাবা, মা, জেঠু, জেঠিমারা। কিন্তু রবিবারের দুর্ঘটনা সব কিছু মুহূর্তে পাল্টে দিল। সোমবার যখন বাবা-জেঠুর দেহ ফিরল বাড়ির সামনে ছোট্ট সোহম তখন ঘুমে কাদা।
সাড়ে ছ'টা নাগাদ দুই ভাইয়ের দেহ নিয়ে শববাহী গাড়ি রওনা দিল বাঁকুড়ার পথে। প্রদ্যোত-প্রণবের দেশের বাড়িতে। অন্নপ্রাশনের নেমন্তন্ন সেরে যে বাঁকুড়ার বাড়ি থেকে রবিবার বেরিয়ে এসেছিলেন প্রদ্যোতরা। বাঁকুড়াতেই হল শেষকৃত্য।
শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বারাসত পুরসভার শিক্ষা দপ্তরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রদ্যোত ভট্টাচার্য ও তাঁর ভাই প্রণব ভট্টাচার্যের দেহ নিয়ে ফিরতে ফিরতে বেলা গড়িয়ে যায়। শববাহী গাড়িতে চাপিয়ে দুই ভাইকে প্রথমে নিয়ে আসা হয় পুরভবন চত্বরে। বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান দু'জনকে। মালা দেন তৃণমূল ও বিরোধী দলের কাউন্সিলররা, বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বও। মিনিট ৪৫ পর পুরভবন থেকে প্রদ্যোতের মরদেহ দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাঁদের সদ্যপ্রয়াত কাউন্সিলরকে সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানান। দুই ভাইয়ের দেহ এরপর আনা হয় কেএনসি রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর পাড়ার ক্লাব কেএনসি হয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দুই ভাইয়ের দেহ।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রদ্যোত ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে আগামী সাত দিন পুর এলাকায় তৃণমূলের যাবতীয় দলীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে। তিন দিন প্রদ্যোত এবং প্রণবের মৃত্যুতে শোক পালন করবে দল।'
বারাসত পুরভবন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, কেএনসি রোডের পার্টি অফিস, কেএনসি ক্লাব হয়ে প্রদ্যোত এবং প্রণবের দেহ যখন নয়নকাননে পৌঁছল তখন পাঁচটা বেজে গিয়েছে। অপ্রশস্ত নয়নকাননের গলি থেকে কেএনসি রোড তখন জনপ্লাবন। সকলেই এসেছেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও তাঁর ভাইকে শেষ দেখা দেখতে।
বাড়ির সামনে প্রথমে নামানো হয় প্রদ্যোতের দেহ। নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি মৌমিতা। স্বামীর মাথায় নিজের কপাল ছুঁয়ে বসে পড়েন তিনি। অঝোরে কেঁদেই চলেছেন। বাবার মৃতদেহের সামনে বসে সমানে তখন কাঁদছে মেয়ে সুতীর্থা। মা-মেয়েকে সামলাতে তখন বাকিদের হিমসিম অবস্থা। মৌমিতা মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি বুঝে প্রদ্যোতের দেহ তখন দ্রুত গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন পরিচিতরা।
প্রদ্যোতের পর আসে প্রণবের দেহ। এই প্রণবের ছেলের অন্নপ্রাশনের নেমন্তন্ন সেরে ফেরার পথে রবিবার চণ্ডীতলায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কয়েক জন আত্মীয়া প্রণবের স্ত্রী নন্দিনীকে আটকে রাখার চেষ্টা করছিলেন। সকলের হাত ছাড়িয়ে নন্দিনী চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলে ওঠেন, 'কি গো ওঠো। আর ঘুমিও না। চোখ মেলে একবার ছেলেটাকে দেখ।' সকলের চোখেই তখন জল। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রণবের ছেলে সোহমের অন্নপ্রাশন দিন স্থির হয়েছিল। ধুমধাম করে অন্নপ্রাশনের আয়োজনও করেছিলেন বাবা, মা, জেঠু, জেঠিমারা। কিন্তু রবিবারের দুর্ঘটনা সব কিছু মুহূর্তে পাল্টে দিল। সোমবার যখন বাবা-জেঠুর দেহ ফিরল বাড়ির সামনে ছোট্ট সোহম তখন ঘুমে কাদা।
সাড়ে ছ'টা নাগাদ দুই ভাইয়ের দেহ নিয়ে শববাহী গাড়ি রওনা দিল বাঁকুড়ার পথে। প্রদ্যোত-প্রণবের দেশের বাড়িতে। অন্নপ্রাশনের নেমন্তন্ন সেরে যে বাঁকুড়ার বাড়ি থেকে রবিবার বেরিয়ে এসেছিলেন প্রদ্যোতরা। বাঁকুড়াতেই হল শেষকৃত্য।