অ্যাপশহর

মা-মেয়ের মুখ বেঁধে দেগঙ্গায় দুঃসাহসিক ডাকাতি

গৃহকর্ত্রী এবং তাঁর তরুণী মেয়েকে মারধর করে, মুখ বেঁধে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বাড়িতে তাণ্ডব চালাল ১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল। নগদ, সোনা-রুপোর গয়না-সহ কয়েক লক্ষ টাকার জিনিসপত্র সাফের পর পরিবারের মোট চার জনকে তালাবন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায় তারা। শুক্রবার পুলিশ জানায়, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

EiSamay.Com 19 Oct 2019, 3:18 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহকর্ত্রী এবং তাঁর তরুণী মেয়েকে মারধর করে, মুখ বেঁধে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বাড়িতে তাণ্ডব চালাল ১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল। নগদ, সোনা-রুপোর গয়না-সহ কয়েক লক্ষ টাকার জিনিসপত্র সাফের পর পরিবারের মোট চার জনকে তালাবন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায় তারা। শুক্রবার পুলিশ জানায়, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
EiSamay.Com dacoits


দেগঙ্গা থানার যাদবপুর গ্রামে বাস মুখোপাধ্যায় পরিবারের। বছর দুই আগে মারা যান নমিতা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী। বৃহস্পতিবার দোতলার একটা ঘরে ছিলেন মেয়ে মিঠু। আর নীচের ঘরে ছিলেন নমিতা। ছেলে সম্রাট বাড়িতে ছিলেন না। রাত একটা নাগাদ ১৫ জনের দলটি ঢোকে মুখোপাধ্যায় বাড়িতে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বারান্দার গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢোকে ডাকাতরা। শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে নমিতার ঘরে চলে আসে। ভাঙার একটা শব্দ দোতলা থেকেই শুনতে পেয়েছিলেন মিঠু। সেটা ফোনে জানিয়ে দিয়েছিলেন দাদু-দিদাকে। কী হয়েছে, জানতে নীচে নামতেই মিঠুকে ধরে তার মায়ের ঘরে ঢুকিয়ে দেয় ডাকাতরা। মিঠু বলেন, 'তিন জনের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। মাকে মারধর করছে দেখে আমি এগিয়ে যাই। ডাকাতরা আমাকেও মারতে শুরু করে।' এর পর ওড়না দিয়ে মা-মেয়ের চোখ, মুখ বেঁধে দেয় ডাকাতরা। নাতনির ফোন পেয়ে ততক্ষণে মেয়ে নমিতার বাড়িতে চলে এসেছেন দাদু গোবিন্দ সাহা এবং তাঁর স্ত্রী মঞ্জু সাহা। মঞ্জু বলেন, 'মেয়ের বাড়ির সামনে আসতেই দেখি, কয়েক জন দাঁড়িয়ে আছে। তাদের হাতে রিভলভার। আমাদের দেখেই ওরা জোর করে ধরে মেয়ের ঘরে নিয়ে যায়। মেয়ে আর নাতনির মতো আমাদের দু'জনকেও বেঁধে রেখে ঘরে লুটপাট চালাতে থাকে।'

মিঠু জানান, চারটি ঘরের আলমারি ভেঙে জিনিসপত্র তছনছ করে দেয় ডাকাতরা। মিঠুর দাদু গোবিন্দ সাহা বলেন, 'কয়েক দিন আগে দেওঘরে যাওয়ার সময় মেয়ের কাছে আমাদের দুই ভরি সোনার গয়না এবং তিন লক্ষের মতো টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কাগজপত্র রেখে গিয়েছিলাম। ডাকাত দলটি সেগুলোও নিয়ে গিয়েছে।' মিঠু বলেন, 'ডাকাত দলটি সম্ভবত ভেবেছিল আমাদের বাড়িতে প্রচুর টাকা আছে। সেই লোভেই ১৫ জন সশস্ত্র অবস্থায় এসেছিল। কিন্তু বাবার অসুখেই আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম। তাই প্রত্যাশা মতো কিছু ওরা পায়নি।'

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল