অ্যাপশহর

মণ্ডপে ঢোকায় বাধা কেন? প্রশ্ন বীজপুরবাসীর

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কেবলমাত্র ত্রিপর্ণ ক্লাবের পুজো মণ্ডপেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশ মেনেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মূল উদ্যোক্তা।

Lipi 11 Oct 2021, 1:21 pm

হাইলাইটস

  • বাংলার মানুষ দুর্গাপুজোর আনন্দে মশগুল
  • ত্রিপর্ণ ক্লাবের পুজো মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি
  • ব্যারিকেড ভেঙে মণ্ডপে ঢোকার হুঁশিয়ার দিয়েছে বীজপুরের ক্ষিপ্ত দর্শনার্থীরা
EiSamay.Com durga
মণ্ডপের বাইরে প্রবেশ নিষেধ পোস্টার
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত বাংলার মানুষ দুর্গাপুজোর আনন্দে মশগুল। ঠাকুর দেখতে শুরু করে দিয়েছেন সকলে। তবে মন খুশি নেই উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের বাসিন্দাদের! রবিবার, পঞ্চমীর সন্ধ্যায় একটি মণ্ডপে হঠাৎ করে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বীজপুরের বাসিন্দারা। প্রতিবাদে মণ্ডপের সমস্ত আলো নিভিয়ে, এলাকা অন্ধকার করে বিক্ষোভও দেখান বাসিন্দারা।
ঘটনার সূত্রপাত, হালিশহর বাগমোর সংলগ্ন এলাকায় ত্রিপর্ণ ক্লাবের পুজো মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে। এদিন রাত আটটা নাগাদ ত্রিপর্ণ পুজো মণ্ডপের সামনে প্রবেশ নিষেধ বলে পোস্টার ঝোলানো হয়। হঠাৎ করে এই বিধি জারি হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, কেবল এই মণ্ডপেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আরও অনেক জায়গায় বড়-বড় পুজো হচ্ছে। সেখানে সকলকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া না হলে আলো সহ সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি তোলেন ক্ষিপ্ত বীজপুরবাসী।

উত্তেজনা ঠেকাতে অবশেষে ত্রিপর্ণ পুজো কমিটির তরফে মণ্ডপের সমস্ত আলো নিভিয়ে একেবারে অন্ধকার করে দেওয়া হয়। কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই অবশ্য আবার কিছু আলো জ্বালানো হয়। এরপর বীজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বুঝতে নারাজ তাঁরা। দর্শনার্থীদের ঠেকাতে মণ্ডপের সামনে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ।

মহাষষ্ঠীর আবহে মেঘমুক্ত কলকাতার আকাশ, উধাও বৃষ্টি
যদিও ব্যারিকেড ভেঙে মণ্ডপে ঢোকার হুঁশিয়ার দিয়েছে বীজপুরের ক্ষিপ্ত দর্শনার্থীরা। এদিকে, সরকারি নির্দেশ মেনেই পুজো মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানান ত্রিপর্ণ পুজো মণ্ডপের মূল উদ্যোক্তা প্রবীর সরকার। তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, পুজো প্যান্ডেলের ভিতরে কেউ ঢুকবে না। আজ সকালে নোটিশও এসেছে। তাই প্যান্ডেলে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছি।’

তবে প্রশাসনের এই নির্দেশে হতবাক প্রবীরবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে আমরা সম্পূর্ণ খোলামেলা প্যান্ডেল করেছি। তারপরেও প্রশাসন কেন এমন বলল জানি না?’

হঠাৎ করে মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে প্রশাসনের কাছে জবাব চাইছে বীজপুরের মানুষ। রজনী বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘কেন বীজপুরের লোকেরা ঠাকুর দেখতে পাবে না? কেন প্রশাসন এরকম করছে? জবাব দিতে হবে।’

আবার রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘সারা বাংলার মানুষ আনন্দ করছে। কেন বীজপুরের মানুষ করবে না! প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ব্যারিকেড ভেঙে আমরা ঢুকে যাব।’ প্রশাসনের তরফে অবশ্য কোনও জবাব মেলেনি। উত্তেজনা ঠেকাতে মণ্ডপ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গতবারের মত এবারেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে পুজো মণ্ডপে প্রথমে নো এন্ট্রি নির্দেশিকা জারি করলেও সম্প্রতি ডবল ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে মণ্ডপে প্রবেশ থেকে সিঁদুর খেলায় ছাড় দিয়েছে হাইকোর্ট।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল