আশিস নন্দী
এই সময় : বেসুরো বিধায়কদের নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না BJPর। আবার BJPর বেসুরো নেতাদের নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে তৃণমূলেও। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ব্যারাকপুর, গোবরডাঙা, বনগাঁ-সহ বাগদার BJP বিধায়ক থেকে নেতৃত্ব অনেকেই বেসুরো হয়েছেন। সেই তালিকার অন্যতম বাগদার BJP বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও আছেন। দল ছাড়ার কথা প্রকাশ্যে না বললেও সোমবার BJP বিধায়কদের নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজভবনে যাননি বিশ্বজিৎ। তবে গত শুক্রবার মুকুলের দলত্যাগের দিন দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক বৈঠকে গরহাজির অন্য দুই BJP বিধায়ক এ দিন রাজভবনে যান।
এ দিনই বাগদার হেলেঞ্চা বাজারের একাধিক জায়গায় বিশ্বজিৎকে তৃণমূলে ফেরানো নিয়ে আপত্তি জানিয়েই একাধিক পোস্টার পড়ে। ভোটের আগে বিধানসভার লবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ঘর ওয়াপসির জল্পনা বাড়ান বিশ্বজিৎ। তখনও গোপালনগরের একাধিক জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বজিৎ BJPর টিকিটেই বাগদা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। সম্প্রতি মুকুল রায়ের BJP ছাড়ার পরেই বিশ্বজিৎ দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। এতে অনেকেরই ধারণা হয়, বিশ্বজিৎ তৃণমূলে ফেরার রাস্তা মসৃণ করতে চাইছেন। তাই তাঁকে দলে ফেরানোর আপত্তি তুলে এদিন বাগদা হেলেঞ্চা বাজারের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়ে হেলেঞ্চার তৃণমূল কর্মীবৃন্দের নামে।
পোস্টারে লেখা 'মিরজাফরদের স্থান নেই তৃণমূলে'। লেখা আছে বিশ্বজিৎ গোরু পাচারে যুক্ত। প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা তুলতেন তিনি। এই পোস্টার নজরে আসতেই বিধায়ককে নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে হেলেঞ্চার চায়ের দোকান থেকে বাজারে। এ নিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, 'আমি কখনওই দলত্যাগ করার কথা বলিনি। তাই কোথায় পোস্টার পড়েছে, তাতে আমার মাথাব্যথা নেই।' শুভেন্দুর সঙ্গে রাজভবনে গরহাজির থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'উনি আমায় ফোন করেছিলেন যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি বলেছি অসুস্থ থাকায় যেতে পারব না।' এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, 'বাংলা জুড়ে বঙ্গ BJPর উৎখাত হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এই পোস্টার তৃণমূলের কেউ লাগায়নি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে BJP কর্মীরাই এই পোস্টার লাগিয়েছে।'
তবে এ দিন শুভেন্দুর সঙ্গে রাজভবনে যান গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়া এবং বনগাঁ দক্ষিণের স্বপন মজুমদার। স্বপন বলেন, 'নির্বাচনের পর রাজ্য জুড়ে হিংসায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' বিশ্বজিৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'উনি আগামী দিনে দলত্যাগ করবেন কি না জানি না। তবে এটা নিশ্চিত, বিশ্বজিৎ ছাড়া বনগাঁর তিন বিধায়কের কেউ BJP ছেড়ে তৃণমূলে যাবেন না।' গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন বিধানসভা ভিত্তিক হিংসা কবলিত এলাকা গুলিতে রাজ্যপাল যাতে পরিদর্শন করেন,তার আবেদন জানানো হয়েছে।
বাগদায় পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'সেন্টিমেন্ট থেকেই হয়তো দলের কেউ পোস্টার লাগাতে পারে। কিন্তু দলে কাকে নেওয়া হবে আর নেওয়া হবে না, সেটা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' শুভেন্দুর রাজভবনে যাওয়া প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'উনি দলের বিধায়কদের নিয়ে যেখানে খুশি যেতে পারেন। আগামী পাঁচ বছরে BJP কতবার হোঁচট খায়, সেটাই দেখার।'
এই সময় : বেসুরো বিধায়কদের নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না BJPর। আবার BJPর বেসুরো নেতাদের নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে তৃণমূলেও। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ব্যারাকপুর, গোবরডাঙা, বনগাঁ-সহ বাগদার BJP বিধায়ক থেকে নেতৃত্ব অনেকেই বেসুরো হয়েছেন। সেই তালিকার অন্যতম বাগদার BJP বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও আছেন। দল ছাড়ার কথা প্রকাশ্যে না বললেও সোমবার BJP বিধায়কদের নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজভবনে যাননি বিশ্বজিৎ। তবে গত শুক্রবার মুকুলের দলত্যাগের দিন দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক বৈঠকে গরহাজির অন্য দুই BJP বিধায়ক এ দিন রাজভবনে যান।
এ দিনই বাগদার হেলেঞ্চা বাজারের একাধিক জায়গায় বিশ্বজিৎকে তৃণমূলে ফেরানো নিয়ে আপত্তি জানিয়েই একাধিক পোস্টার পড়ে। ভোটের আগে বিধানসভার লবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ঘর ওয়াপসির জল্পনা বাড়ান বিশ্বজিৎ। তখনও গোপালনগরের একাধিক জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বজিৎ BJPর টিকিটেই বাগদা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। সম্প্রতি মুকুল রায়ের BJP ছাড়ার পরেই বিশ্বজিৎ দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। এতে অনেকেরই ধারণা হয়, বিশ্বজিৎ তৃণমূলে ফেরার রাস্তা মসৃণ করতে চাইছেন। তাই তাঁকে দলে ফেরানোর আপত্তি তুলে এদিন বাগদা হেলেঞ্চা বাজারের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়ে হেলেঞ্চার তৃণমূল কর্মীবৃন্দের নামে।
পোস্টারে লেখা 'মিরজাফরদের স্থান নেই তৃণমূলে'। লেখা আছে বিশ্বজিৎ গোরু পাচারে যুক্ত। প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা তুলতেন তিনি। এই পোস্টার নজরে আসতেই বিধায়ককে নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে হেলেঞ্চার চায়ের দোকান থেকে বাজারে। এ নিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, 'আমি কখনওই দলত্যাগ করার কথা বলিনি। তাই কোথায় পোস্টার পড়েছে, তাতে আমার মাথাব্যথা নেই।' শুভেন্দুর সঙ্গে রাজভবনে গরহাজির থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'উনি আমায় ফোন করেছিলেন যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি বলেছি অসুস্থ থাকায় যেতে পারব না।' এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, 'বাংলা জুড়ে বঙ্গ BJPর উৎখাত হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এই পোস্টার তৃণমূলের কেউ লাগায়নি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে BJP কর্মীরাই এই পোস্টার লাগিয়েছে।'
তবে এ দিন শুভেন্দুর সঙ্গে রাজভবনে যান গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়া এবং বনগাঁ দক্ষিণের স্বপন মজুমদার। স্বপন বলেন, 'নির্বাচনের পর রাজ্য জুড়ে হিংসায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' বিশ্বজিৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'উনি আগামী দিনে দলত্যাগ করবেন কি না জানি না। তবে এটা নিশ্চিত, বিশ্বজিৎ ছাড়া বনগাঁর তিন বিধায়কের কেউ BJP ছেড়ে তৃণমূলে যাবেন না।' গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন বিধানসভা ভিত্তিক হিংসা কবলিত এলাকা গুলিতে রাজ্যপাল যাতে পরিদর্শন করেন,তার আবেদন জানানো হয়েছে।
বাগদায় পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'সেন্টিমেন্ট থেকেই হয়তো দলের কেউ পোস্টার লাগাতে পারে। কিন্তু দলে কাকে নেওয়া হবে আর নেওয়া হবে না, সেটা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' শুভেন্দুর রাজভবনে যাওয়া প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'উনি দলের বিধায়কদের নিয়ে যেখানে খুশি যেতে পারেন। আগামী পাঁচ বছরে BJP কতবার হোঁচট খায়, সেটাই দেখার।'