অ্যাপশহর

সুন্দরবনে লুকিয়ে চলছিল অস্ত্রকারখানা, গ্রেফতার ২ কারবারি

পুলিশ সূত্রে খবর, ঢোলাহাটের ওই বেআইনি অস্ত্র কারখানা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এবং জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা-গুলি সরবরাহ করা হত। ঢোলাহাট থানার পুলিশের সঙ্গে সুন্দরবন জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে, ওই অস্ত্রকারখানার হদিশ পায়।

EiSamay.Com 28 Nov 2019, 3:07 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল। ঢোলাহাট থানার আমিরপুর গ্রামের একটি বাড়িতে লুকিয়ে চলছিল ওই অস্ত্র কারখানা। বুধবার সেখানে হানা দিয়ে, বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পায় পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও মিলেছে বোমা তৈরির মশলা। অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম-সহ এগুলি সব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বেআইনি অস্ত্রের দুই কারবারিকে। ধৃতদের একজন ওই বাড়ির মালিক জাহির মির এবং অপরজন মথুরাপুর থানার হরিণবাটির বাসিন্দা এরাদ আলি লস্কর।
EiSamay.Com illegal_arms_factory---cms_5416826_835x547-m


ঢোলাহাট থানা থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে রমরমিয়ে চলছিল এই অস্ত্র কারখানা। অথচ, স্থানীয় গ্রামবাসী এবং পুলিশ কিচ্ছুটি টের পায়নি।

দিন কয়েক আগে ঢোলাহাট থানার আমিরপুর গ্রামে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজিও হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নামে ঢোলাহাট থানার পুলিশ জানতে পারে, গ্রামেরই এক বাড়িতে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখান থেকেই বোমাগুলি কেনা হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঢোলাহাটের ওই বেআইনি অস্ত্র কারখানা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এবং জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা-গুলি সরবরাহ করা হত। ঢোলাহাট থানার পুলিশের সঙ্গে সুন্দরবন জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে, ওই অস্ত্রকারখানার হদিশ পায়।

গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল জনৈক জাহির মীরের বাড়ি ঘিরে ফেলে। সেই বাড়িতেই অভিযান চালিয়ে এই বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ মেলে। গ্রেফতার হয় দুই অস্ত্র কারবারি।

পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, ঢোলাহাট থানার অফিসার ইন-চার্জ, মন্দিরবাজারের ডিএসপি এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে। সেখান থেকে তিনটি বড় রাইফেল, একটি ছোট রিভলভার, দু'টি ওভার সোল্ডার লঞ্চার, তিন হাজারের বেশি তাজা বোমা, বোমা তৈরির মশলা, গান পাউডার, ছ'প্যাকেট বোমায় ব্যবহারের জন্য লোহার বল, ওয়েল্ডিং মেশিন এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির আরও নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত দু'জনকে বুধবার কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হলে, বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই অস্ত্র সরবারাহের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত তা জানতে ধৃত দুই অস্ত্র কারবারিকে জেরা করছে পুলিশ।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল