কদম্বগাছিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি সরকারি গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়াল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাউকে না জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গোপনে এই গাছের ডাল কেটে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন৷ আর তখনই এলাকাবাসী গাছ কাটতে আসা কর্মীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে কদম্বগাছি এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি সরকারি গাছ কাটা শুরু হয় বলে অভিযোগ৷ যে সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, তিনি এই সরকারি জমিতেই মাছ চাষ ও সবজি চাষও করেন বলে দাবি স্থানীয়দের৷ এদিন হাসপাতালের ভিতরে থাকা শিরিষ গাছের ডাল কেটে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গোটা ঘটনার তদন্তে কদম্বগাছি ফাঁড়ির পুলিশ।
কদম্বগাছিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্মী তারিকুল ইসলামের দাবি, ‘‘আমার কাছে কোনও খবর ছিল না৷ আমি BMOH কে ফোন করলাম৷ উনি জানান আমার কাছেও কোনও তথ্য নেই৷ এব্যাপারে আমরা কোনও মন্তব্য করব না৷ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে যা বলার বলবে৷ স্যার আমাকে বললেন যে একবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা৷ আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম যে ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারাই গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে৷ আর কারা কাটছিল, সেটা আমারও জানা নেই৷’’
কোটরা কদম্বগাছি মণ্ডলের BJP সভাপতি কালীপদ ঘোষের দাবি, ‘‘যেখানে রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়ছে, কোটি কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করছে৷ সেখানে সেই দলের নিচুতলার কর্মীরা তো করবেই৷ তারা এর মধ্যে একশো দিনের কাজে পুকুর চুরি করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা চুরি করেছে৷ এখন সরকারি জায়গার গাছ বিক্রি করে খাবে না তো কী করবে৷ উপায় তো নেই৷ এটাই তো তৃণমূলের কালচার। এই জন্যই তো আমাদের বিরোধী দলনেতা বলছেন, এটা তোলামূল পার্টি৷’’
পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর দাবি, ‘‘ওখানে কোনও ডাল চুরি হয়নি৷ দু’-একদিন আগে একজন ফোন করে ওই শিরিষ গাছের সরু সরু কয়েকটি ডাল কাটতে চেয়েছিল৷ আমি বলি এবিষয়ে বলতে পারব না৷ আজ সকালে খবর পাই ডাল কাটছে৷ তবে কে বা কারা কাটছিল আমি জানি না৷ এখন যারা অভিযোগ করছে, তারা সবাই নেতা সাজতে চাইছে৷ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি দলের টিকিট একটা পাওয়া যায়৷ আমি দু’হাজার টাকার জন্য ডাল চুরি করব কেন৷ দরকার হলে গাছটাই চুরি নেব৷’’
কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম পালের দাবি, ‘‘ওখানে অনেকেই অভিযোগ করছে৷ ওই সরু সরু ডাল কেউ ব্যবসা করার জন্য বিক্রি করে না৷ পয়সার লেনদেনের ব্যাপার নেই৷ এর আগে ওই গাছের একটা ডাল মরে গিয়েছিল, BMOH কে জানিয়ে সেটা কেটে বিক্রি করে সেই টাকা রোগী কল্যাণ সমিতিতে দিয়ে দিয়েছি৷ এখন অনুব্রত, পার্থর দৌলতে যে রব উঠেছে, সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ৷’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে কদম্বগাছি এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি সরকারি গাছ কাটা শুরু হয় বলে অভিযোগ৷ যে সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, তিনি এই সরকারি জমিতেই মাছ চাষ ও সবজি চাষও করেন বলে দাবি স্থানীয়দের৷ এদিন হাসপাতালের ভিতরে থাকা শিরিষ গাছের ডাল কেটে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গোটা ঘটনার তদন্তে কদম্বগাছি ফাঁড়ির পুলিশ।
কদম্বগাছিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্মী তারিকুল ইসলামের দাবি, ‘‘আমার কাছে কোনও খবর ছিল না৷ আমি BMOH কে ফোন করলাম৷ উনি জানান আমার কাছেও কোনও তথ্য নেই৷ এব্যাপারে আমরা কোনও মন্তব্য করব না৷ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে যা বলার বলবে৷ স্যার আমাকে বললেন যে একবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা৷ আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম যে ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারাই গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে৷ আর কারা কাটছিল, সেটা আমারও জানা নেই৷’’
কোটরা কদম্বগাছি মণ্ডলের BJP সভাপতি কালীপদ ঘোষের দাবি, ‘‘যেখানে রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়ছে, কোটি কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করছে৷ সেখানে সেই দলের নিচুতলার কর্মীরা তো করবেই৷ তারা এর মধ্যে একশো দিনের কাজে পুকুর চুরি করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা চুরি করেছে৷ এখন সরকারি জায়গার গাছ বিক্রি করে খাবে না তো কী করবে৷ উপায় তো নেই৷ এটাই তো তৃণমূলের কালচার। এই জন্যই তো আমাদের বিরোধী দলনেতা বলছেন, এটা তোলামূল পার্টি৷’’
পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর দাবি, ‘‘ওখানে কোনও ডাল চুরি হয়নি৷ দু’-একদিন আগে একজন ফোন করে ওই শিরিষ গাছের সরু সরু কয়েকটি ডাল কাটতে চেয়েছিল৷ আমি বলি এবিষয়ে বলতে পারব না৷ আজ সকালে খবর পাই ডাল কাটছে৷ তবে কে বা কারা কাটছিল আমি জানি না৷ এখন যারা অভিযোগ করছে, তারা সবাই নেতা সাজতে চাইছে৷ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি দলের টিকিট একটা পাওয়া যায়৷ আমি দু’হাজার টাকার জন্য ডাল চুরি করব কেন৷ দরকার হলে গাছটাই চুরি নেব৷’’
কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম পালের দাবি, ‘‘ওখানে অনেকেই অভিযোগ করছে৷ ওই সরু সরু ডাল কেউ ব্যবসা করার জন্য বিক্রি করে না৷ পয়সার লেনদেনের ব্যাপার নেই৷ এর আগে ওই গাছের একটা ডাল মরে গিয়েছিল, BMOH কে জানিয়ে সেটা কেটে বিক্রি করে সেই টাকা রোগী কল্যাণ সমিতিতে দিয়ে দিয়েছি৷ এখন অনুব্রত, পার্থর দৌলতে যে রব উঠেছে, সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ৷’’