অ্যাপশহর

কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি, পারিষদের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ

পুরসভার শীর্ষ কর্তারা ওই তিন কর্মীর বাড়িতে গিয়ে কার্যত চিরুনি তল্লাশি চালান বলে অভিযোগ

EiSamay.Com 30 Dec 2016, 1:05 pm
​প্রিন্স রায়
EiSamay.Com
কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি, পারিষদের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ


গত ১৫ ডিসেম্বর নয়াপট্টির স্টোরে কর্মরত বিদ্যুত্ বিভাগের তিন কর্মীর বাড়িতে চুরির অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুর পারিষদ(আলো, জল) বাপি মিত্র৷ ওই নির্দেশ পেয়েই পুরসভার শীর্ষ কর্তারা ওই তিন কর্মীর বাড়িতে গিয়ে কার্যত চিরুনি তল্লাশি চালান বলে অভিযোগ৷ তল্লাশি থেকে বাদ যায়নি কর্মীদের বাড়ির খাটের তলা থেকে শুরু করে আলমারির লকারও৷ যদিও ওই তল্লাশিতে মেলেনি কিছুই৷ বৃহস্পতিবার পুর পারিষদের ওই সিদ্ধান্তের কথা তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কাউন্সিলরদের একাংশ৷ তাঁরা বলেন, পুর পারিষদের কাউকে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি থানায় জানাতে পারতেন৷ থানায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিত৷ পুর পারিষদ কীভাবে আইন নিজের হাতে তোলেন? অভিযোগ প্রসঙ্গে এদিন রাতে অবশ্য বাপি মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুধু জানান,‘যা জানানোর চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি৷ এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই৷’​ প্রিন্স রায়

স্বাভাবিকভাবেই পুরো ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে কর্মীদের একাংশের মধ্যে৷ যে কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তাদেরই একজন তন্ময় ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘এতদিন ধরে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করছি, তারপরেও এমন দেখতে হবে ভাবিনি৷’ ঘটনার কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুর আইন বিশেষজ্ঞরাও৷ আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পুরো ঘটনার কথা শুনে বলছেন,‘বিষয়টি পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত ছিল৷ উনি(বাপি মিত্র) বে-আইনি কাজ করেছেন৷’ ‘কাউন্সিলর হয়তো নিজেকে পুলিশের পদস্থ কর্তা ভেবে বসেছেন৷ তাই এই ধরনের নির্দেশ দিয়েছেন’, মন্তব্য অরুণাভ ঘোষের৷

ইতিমধ্যেই মেট্রো প্রকল্পে জবদরখলকারী ৫০০-র বেশি পরিবারের বাড়ি তৈরির জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার৷ ওই প্রকল্পের কাজ নিয়েও এদিনের বোর্ড মিটিংয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলরদের একাংশ৷ সূত্রের দাবি, বোর্ড মিটিংয়ে কাউন্সিলরদের একাংশ অভিযোগ করেন, ইচ্ছেমতো পুনবার্সন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে৷ নির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদারকেই কাজ দেওয়া হচ্ছে, এমনকি কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ঠিকাদারদের টাকা পেয়ে যাচ্ছেন৷ এক কাউন্সিলর চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাস্তাঘাটে বেরিয়ে ওয়ার্ডের লোকের মেট্রো প্রকল্পের কথা তুলে আমাদের কটাক্ষ করছেন, আমরা কোনও জবাব দিতে পারছি না৷ দাবি ওঠে, কাজের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় বোর্ড মিটিংয়ে তুলে ধরতে হবে৷ চাপের মুখে পড়ে চেয়ারম্যান আগামী বোর্ড মিটিংয়ে এ ব্যাপাকের সমস্ত তথ্য পেশ করার প্রতিশ্রীতি দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি৷
সম্প্রতি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সুরজিত্ রায়চৌধুরীর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে কাজ না করেও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল৷

সূত্রের দাবি, চাপের মুখে পরে পুরো ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ নভেম্বর একটি কমিটি গঠন করে পুরসভা৷ যেদিন ওই কমিটি গঠন করা হয় সেদিনই ওই পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় পুর কর্তৃপক্ষ৷ ওই বিষয়টি নিয়েই এদিন সোচ্চার হন কাউন্সিলরদের একাংশ৷ চেয়ারম্যান পাচু রায় কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি৷
West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল