অ্যাপশহর

হকার উচ্ছেদ ঘিরে রণক্ষেত্র বারুইপুর স্টেশন, বোমা-লাঠি

হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর স্টেশনে। হকারদের হাতে আক্রান্ত হলেন রেলকর্মীরা।

EiSamay.Com 4 Jun 2016, 5:43 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর স্টেশনে। হকারদের হাতে আক্রান্ত হলেন রেলকর্মীরা। স্টেশনচত্বরে ব্যাপক বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠল। আক্রান্তদের মধ্যে কমল ঘোষ নামে এক রেলকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোটা ঘটনার ভিডিয়োগ্রাফি করে, বারুইপুর স্টেশনের হকারদের বিরুদ্ধে FIR করল রেল কর্তৃপক্ষ।
EiSamay.Com
হকার উচ্ছেদ ঘিরে রণক্ষেত্র বারুইপুর স্টেশন, বোমা-লাঠি


হকারদের অভিযোগ, রেলপুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিনা নোটিশেই শনিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে এসেছিলেন রেলকর্মীরা। যে কারণে তাঁরা বাধা দেন। পুনর্বাসনেরও দাবি করতে থাকেন। রেল পুনর্বাসনের আশ্বাস না দেওয়ায়, বেঁকে বসেন হকাররা। উচ্ছেদ করতে আসা রেলকর্মীদের উপর তাঁরা চড়াও হন।


অভিযোগ, এই অশান্তির মধ্যেই কেউ বা কারা স্টেশন চত্বরে বোমাবাজি শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় গোটা পনেরো বোমা পড়ে। তাতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। খবর করতে গিয়ে হকারদের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। এদিকে বোমাবাজির খবর পেয়েই বারুইপুর স্টেশনে চলে আসে আরপিএফ জওয়ানরা।

পূর্ব রেলের সিপিআরও রবি মহাপাত্র জানান, পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, যাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছিল, কারওরই বৈধ অনুমতি নেই। জোর করে স্টেশন দখল করে রেখেছিল। রেলের হিসেব অনুযায়ী, স্টেশনে এমন প্রায় দেড় হাজার হকার রয়েছে।

কেন উচ্ছেদের আগে হকারদের আগাম নোটিশ দেওয়া হল না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে, রবি মহাপাত্র বলেন, বারুইপুর স্টেশনের অধিকাংশ হকারই বেআইনি ভাবে রেলের জমি আটকে রেখেছে। বৈধ হকার নয় বলেই রেল আগাম নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। তবে, গত দু-সপ্তাহ ধরেই রেলের তরফে মাইকিং করে হকারদের সরে যেতে বলা হয়েছে।



তিনি জানান, বৈধ হকারদের কিন্তু কখনোই উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়নি। শুধুমাত্র জবরদখলকারীদেরই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে। সংঘর্ষের কারণে এদিন অভিযান বন্ধ হলেও, রেল জানিয়েছে, ফের তারা অভিযানে নামবে। হকাররা অবশ্য নিজেদের অবস্থানেই অনড়। 'উচ্ছেদ হলে যাব কোথায়? রেলকে পুনর্বাসন দিতে হবে।' বারুইপুরের এই ঘটনায় এফআইআর হলেও, এদিন সন্ধে পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এদিকে, বারুইপুরে হকার উচ্ছেদ নিয়ে রেল পুলিশের মধ্যেই মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। শিয়ালদার এসআরপি জানান, বারুইপুর আরপিএফ এই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। শিয়ালদা আরপিএফকে কিছু জানানোই হয়নি।

এদিকে, নবান্নে আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা জানান, বারুইপুরে ঘটনার দায় রাজ্য প্রশাসনের নয়। রেলকে এক্ষুনি অভিযানে নামতে নিষেধ করা হয়েছিল। রেল নিজের দায়িত্বে এদিন অভিযান চালিয়েছে।
West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল